এসজিএমএইচ ক্রিকেট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল অনুষ্ঠিত
Published: 1st, March 2025 GMT
দেশের শীর্ষস্থানীয় তৈরি পোশাক রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান স্ট্যান্ডার্ড এমএইচ গ্রুপের কর্মীদের নিয়ে এসজিএমএইচ ক্রিকেট চ্যাম্পিয়নশিপ, ২০২৫ এর ফাইনাল ম্যাচ উৎসবমুখর পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) সকালে পূর্বাচলে ফাইনাল ম্যাচে সামস স্টাইলিং ওয়্যারস লিমিটেডের টিম সামস ওয়ারিয়রসের মুখোমুখি হয় সিভিল ইঞ্জিনিয়ার্স ওভেন লিমিটেড ও সিভিল ইঞ্জিনিয়ার্স ওয়াশ লিমিটেডের দল টিসিই ডব্লিউ ডব্লিউ গ্ল্যাডিয়েটরস। সামস ওয়ারিয়রসকে ৫ উইকেটে পরাজিত করে চ্যাম্পিয়ন হয় টিসিই ডব্লিউ ডব্লিউ গ্ল্যাডিয়েটরস।
আগে ব্যাট করতে নেমে সামস ওয়ারিয়রস নির্ধারিত ওভারে ৯ উইকেটে ১৩৬ রান করে। জবাবে ৩ ওভার হাতে রেখে ইমরান হোসেনের ম্যাচসেরা ৭৮ রানে ভর করে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় টিসিই ডব্লিউ ডব্লিউ গ্ল্যাডিয়েটরস। টুর্নামেন্ট সেরা প্লেয়ার নির্বাচিত হয়েছেন মোহাম্মদ আসিফ। টুর্নামেন্টে সবচেয়ে সুশৃঙ্খল দল হিসেবে ফেয়ার প্লে ট্রফি অর্জন করে রয়েল মাওনা টিম।
চ্যাম্পিয়ন ও রানার্স-আপ দলের হাতে পুরস্কার তুলে দেন স্ট্যান্ডার্ড এমএইচ গ্রুপের ম্যানেজিং ডিরেক্টর ইঞ্জিনিয়ার এ কে এম মোশাররফ হুসাইন, ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর হাসনাত মোশাররফ, পরিচালক হোসনে আরা বেগম, হাসিব মোশাররফ, ফাহিম মোশাররফ ও এইচ টি এম কাদের নেওয়াজ।
অনুষ্ঠানে স্ট্যান্ডার্ড এমএইচ গ্রুপের কর্মকর্তারা বলেন, গার্মেন্টস শিল্পের কর্মীরা তাদের মেধা ও শ্রমে দেশের অর্থনীতিকে প্রতিনিয়ত মজবুত করছে। স্ট্যান্ডার্ড এমএইচ গ্রুপ সব সময় কর্মীদের উৎসাহ দিয়ে থাকে। কর্মীদের সাথে সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক বাড়ানোর জন্য নিয়মিতই খেলাধুলা, পিকনিক এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানসহ নানা ধরনের আয়োজন চলছে।
এসজিএমএইচ ক্রিকেট চ্যাম্পিয়নশিপ ২০২৫ এর এবারের আসরে স্ট্যান্ডার্ড এমএইচ গ্রুপে কর্মরত বিভিন্ন কারখানার কর্মীদের ১০টি দল অংশ নেয়।
ঢাকা/রফিক
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর কর ম দ র ম শ ররফ র কর ম অন ষ ঠ
এছাড়াও পড়ুন:
ভারতের জিডিপির এক-তৃতীয়াংশ শতকোটিপতিদের হাতে
ভারতে অতি ধনীদের বাড়বাড়ন্ত হচ্ছে। এই শ্রেণির মানুষের সংখ্যা যেমন বেড়েছে, তেমনি বেড়েছে এই শ্রেণির মানুষের হাতে থাকা সম্পদের পরিমাণ।
২০২৫-২৬ অর্থবছরের শুরুতে ভারতে এই শতকোটিপতি বা বিলিয়নিয়ারের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৮৪। দেখা যাচ্ছে, গত বছর এই সময় ভারতে শতকোটিপতির সংখ্যা ছিল ২৭১; অর্থাৎ এক বছরে ভারতে শতকোটিপতির সংখ্যা বেড়েছে ১৩। সম্প্রতি প্রকাশিত দ্য হুরুন গ্লোবাল রিচ লিস্ট, ২০২৫-এ এই তথ্য প্রকাশিত হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারতের শতকোটিপতিদের সম্পদের পরিমাণ এখন ৯৮ লাখ কোটি রুপি। এই অঙ্ক ভারতের মোট দেশজ উৎপাদন বা মোট জিডিপির এক-তৃতীয়াংশ।
শতকোটিপতির সংখ্যা বৃদ্ধির সঙ্গে ভারতের এই শ্রেণির মানুষের সম্পদ বেড়েছে। দেশটিতে শতকোটিপতিদের হাতে থাকা সম্পদের পরিমাণ এখন সৌদি আরবের মোট জিডিপি বা দেশজ উৎপাদনের চেয়ে বেশি। দ্য হুরুন গ্লোবাল রিচ লিস্ট, ২০২৫-এ বলা হয়েছে, গত বছর ভারতের শতকোটিপতিদের সম্পদের পরিমাণ বেড়েছে প্রায় ১০ শতাংশ। একই সঙ্গে সামগ্রিকভাবে ভারতের ধনীদের সম্পদের পরিমাণ গত এক বছরে ৬২ শতাংশ বেড়েছে। তাঁদের সম্পদের পরিমাণ লাখ কোটি ডলারের মাইলফলক ছুঁয়ে ফেলেছে। হুরুন গ্লোবালের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান গবেষক আনাস রহমান জুনাইদ এটিকে ভারতের অর্থনীতির জন্য ইতিবাচক আখ্যা দিয়েছেন।
প্রতিবেদনের তথ্যানুসারে, ২০২২ সালে ভারতে শতকোটিপতির সংখ্যা ছিল ২৪৯। কিন্তু ২০২৩ সালে তা কমে ১৮৭-তে নেমে আসে; গত বছর তা আবার বেড়ে ২৭১-এ ওঠে। ধারণা করা হচ্ছে, ২০২৫-২৬ অর্থবছরে তা ৩০০ পেরিয়ে যাবে।
অতি ধনীদের সংখ্যার নিরিখে ভারতের অবস্থান এখন বিশ্বে তৃতীয়। ভারতের আগে আছে কেবল যুক্তরাষ্ট্র ও চীন। ভারতের পরে আছে যথাক্রমে যুক্তরাজ্য, জার্মানি ও সুইজারল্যান্ড। সেই সঙ্গে এশিয়ার শতকোটিপতিদের রাজধানী হিসেবে মুম্বাইকে হটিয়ে দিয়েছে চীনের সাংহাই শহর। সাংহাই শহরে এখন ৯২ জন শতকোটিপতির বসবাস, মুম্বাইয়ে ৯০ জন। এ ছাড়া বিশ্বের অন্য যেসব জায়গায় শতকোটিপতিদের সংখ্যা বাড়ছে সেগুলো হলো সিঙ্গাপুর, I রাশিয়া, কানাডা, তুরস্ক ও মেক্সিকো।
গত বছর ভারত ও এশিয়ার শীর্ষ ধনী মুকেশ আম্বানির সম্পদের পরিমাণ এক লাখ কোটি রুপি কমেছে। মূলত খঋণের পরিমাণ বেড়ে যাওয়ায় তাঁর সম্পদ কমেছে। প্রতিবেদনের তথ্যানুসারে, তাঁর সম্পদের পরিমাণ ৮ দশমিক ৬ লাখ কোটি রুপি।
ভারতের ধনীদের মধ্যে দ্বিতীয় স্থানে থাকা গৌতম আদানির সম্পদের পরিমাণ গত বছর প্রায় এক লাখ কোটি রুপি বেড়েছে। তাঁর সম্পদের পরিমাণ এখন ৮ দশমিক ৪ লাখ কোটি রুপি। তিনি এখন বিশ্বের ১৮তম শীর্ষ ধনী। গত বছর তিনি কিছু সময়ের জন্য এশিয়ার শীর্ষ ধনীর আসনে বসেছিলেন।
ভারতীয় অতি ধনীদের গড় বয়স ৬৮ বছর; বৈশ্বিক পর্যায়ে যা ৬৬ বছর; অর্থাৎ এ ক্ষেত্রে ভারতীয় অতি ধনীরা কিছুটা পিছিয়ে আছেন।
এ বছর ভারতের সর্বকনিষ্ঠ অতি ধনী হিসেবে তালিকায় উঠে এসেছেন রাজোরপের সহপ্রতিষ্ঠাতা শশাঙ্ক কুমার ও হর্ষিল মাথুর। তাঁদের দুজনেরই বয়স মাত্র ৩৪ বছর।