সেদিন একজনের সঙ্গে আলাপ চলছিল। ধার্মিক মানুষ তিনি। ট্রাম্প প্রসঙ্গে এ–কথা সে–কথায় হঠাৎ বললেন, দেখেন, গাজায় ইউএসএআইডির মাধ্যমে ৫০ মিলিয়ন ডলারের কনডম পাঠানো হয়েছিল। উদ্দেশ্য, মুসলমানদের জন্মনিয়ন্ত্রণ। তারা যাতে সংখ্যায় না বাড়ে, যেন নিশ্চিহ্ন হয়ে যায়।

তাঁর সঙ্গে আরও দু–একজন যাঁরা ছিলেন, তাঁরাও তাল মেলালেন। তাঁদের বোঝানোর চেষ্টা করলাম, এটি ভুল পাঠ। তিনি প্রমাণ দেখালেন হোয়াইট হাউসের প্রেস সচিব ক্যারোলিন লেভিত উন্মুক্ত ব্রিফিংয়ে বলেছেন ৫০ মিলিয়ন ডলার মূল্যমানের কনডম পাঠানোর কথা।

বললাম, জানি, এবং নিজেও ব্রিফিং দেখেছি। ৫০ মিলিয়ন ডলার অঙ্কটিই মিথ্যা। তাঁরাও মিথ্যা বলেন। পেছনের উদ্দেশ্য পরে বলব, বুঝবেন। আমার হাতেও প্রমাণ আছে ২০২১, ২০২২ ও ২০২৩ সালে এই খাতে এক ডলার দেওয়া হয়নি। ২০২৩ সালে মাত্র ৪৬ হাজার ডলার বরাদ্দ ছিল। তা–ও জর্ডান এবং পশ্চিম তীরের অগণিত অসংখ্য মানুষ, বিশেষত চালচুলোহীন শরণার্থীদের জন্য। সেগুলো কনডমও  নয়, জন্মনিয়ন্ত্রণের ইনজেকশন এবং প্রোজেস্টিন-নির্ভর বড়ি। খুবই দরকারি ছিল মা ও শিশুর জীবন রক্ষার জন্য।

একদিকে অসুস্থ অপুষ্ট মায়েদের সন্তান ধারণে জীবনাশঙ্কা; অন্যদিকে আরও অপুষ্ট, অসুস্থ, বিকলাঙ্গ ও বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী সন্তানের জন্ম দেওয়ার আশঙ্কা। ফলাফল, বিভীষিকাময় জীবন-যন্ত্রণা। সন্তানদের সুস্থ-সুন্দর, মানবিক ও স্বাভাবিক জীবন দিতে না পারা। আগে কনডম দেওয়া হতো এইডস, সিফিলিস, গনোরিয়াসহ নানা রকম চর্ম ও যৌনব্যাধির মহামারি রোধ করার জন্য। এই সময়ে এসে এইডসবিরোধী জনসচেতনতা বেড়েছে। ওষুধ-চিকিৎসা আবিষ্কার হয়েছে। ফলে মহামারির প্রকোপ কমেছে। তাই কনডম বিতরণের দরকারটিও কমেছে।

যাঁদের বুঝিয়ে বলছিলাম, তাঁরা বুঝতে চাইছেন মনে হলো না। উল্টো নমনীয় ভাষায় ইঙ্গিত করলেন আমি সম্ভবত এনজিওপন্থী বা ইউএসএআইডির সুবিধাভোগী বলে এসব কথাবার্তা বলছি। জানালাম শিক্ষকতার বাইরে আমি অন্য কিছুর সঙ্গে সংশ্লিষ্টও নই, সত্য বলতে দ্বিধান্বিতও নই।

হঠাৎই মনে হলো ইউটিউবে কোনো একজন ইসলামি বক্তার ওয়াজেও এ ধরনের অদ্ভুত জনমিতি-জ্ঞানবহির্ভূত ধারণা প্রচার দেখেছিলাম। সেই সময়ও ভাবছিলাম, আমাদের হাতে হাতে মুঠোফোনে-ট্যাবে তথ্যের মহাসমুদ্রে আমরা হাবুডুবু খাচ্ছি। কিন্তু তথ্যকে কীভাবে প্রক্রিয়াজাত করতে হয়, কজনই–বা জানি! আম-মার্কিনদের এক বড় অংশও জানে না। আলাপি ভদ্রলোকের আদলে তারাও বিশ্বাস করে, তৃতীয় বিশ্ব টিকেই আছে মার্কিন দান-খয়রাতের কারণে।

সত্য-উত্তর যুগ বা পোস্ট-ট্রুথ দুনিয়ার ছল বোঝা আসলেই দরকার। একটি প্রশ্ন দিয়ে শুরু করলে বিষয়টি বুঝতে সহজ হবে।

হোয়াইট হাউসের প্রেস সচিব সাংবাদিকদের মতো খোঁচাখুঁচিপ্রবণ মানুষদের সামনে বসিয়ে চোখে চোখ রেখে নির্দ্বিধায় মিথ্যা বলতে পারছেন কেন? কারণ, নির্জলা মিথ্যাকে বিশ্বাস করার মতো সহজ–সরল মানুষের সংখ্যা চিরকালই অগণিত। তাঁরা আগে যেমন ছিল, এখনো আছে। তারা বিশ্বাসও করবে, সম্মতিও উৎপাদন করবে এভাবে—না, না, আমাদের কষ্টের টাকায় ট্যাক্স দিই, সেই টাকা অন্য দেশে অকাজে খরচ করা যাবে না।

ট্রাম্পের ঘোষণায় বিদেশে উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে সাহায্য–সহযোগিতা বন্ধ হয়ে গেছে। ইউএসএআইডিতে আতঙ্ক আর আতঙ্ক। ট্রাম্পের অন্যতম অর্থনৈতিক নীতিনির্ধারক ইলন মাস্ক বলেই বসেছেন, সংস্থাটি অপরাধী সংগঠন। যুক্তরাষ্ট্রের সময় হয়েছে এটি বন্ধ করে দেওয়ার।

আসলে খলের ছলের অভাব হয় না। ঈশপের গল্পের নেকড়ের ছুঁতো খোঁজার মতো একটি বড়সড় ছুঁতো দরকার ছিল। আগে ইউএসএআইডি যেভাবে ও যত রকম উপায়ে মার্কিন স্বার্থ রক্ষার কাজে লাগত, এখন সেসব উপায়ের সব বিকল্প মিলে গেছে। ফলে সংস্থাটি না থাকলেও কিছু মার্কিন স্বার্থের কিছু যাবে আসবে না।

ইউএসএআইডির মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের সহযোগিতাই ছিল তৃতীয় বিশ্বের জন্য সবচেয়ে বড় উন্নয়ন-সহায়তার মাধ্যম। কেন যুক্তরাষ্ট্র বিলিয়ন ডলার খরচ করত অন্যের দেশের উন্নয়নে? একেবারেই নিঃস্বার্থভাবে দান-দক্ষিণার মাধ্যমে সওয়াব কামানোর জন্য? উত্তর ‘না’। তৃতীয় বিশ্বে গোয়েন্দা কার্যক্রম চালানোর জন্য? উত্তর, মোটেই না। আসলে এটা ছিল একধরনের ‘উইন-উইন’ বন্দোবস্ত। দুই পক্ষেরই যাতে লাভ হয়, সে রকম ব্যবস্থা। ব্যয় বরাদ্দের বড় অংশই আবার স্বদেশে ফেরত যেত মার্কিন কর্মকর্তা-কর্মচারী-পরামর্শকদের বেতন–ভাতা আকারে। মার্কিন নাগরিকদের কর্মসংস্থান হতো।

ইউএসএআইডির কার্যক্রমের কারণে সহায়তা পাওয়া দেশগুলোর সরকার, রাজনীতি, অর্থনীতি, মুদ্রা ব্যবস্থাপনা, পররাষ্ট্রনীতি—এককথায় সবকিছুই যুক্তরাষ্ট্রবান্ধব ও মুখাপেক্ষী হয়ে উঠত। গরিব দেশগুলোও সমানভাবে লাভবান হতো। দূরদূরান্তরে আর্থসামাজিক উন্নয়নের সক্ষমতার অভাবটুকু ঘুচে যেতে মার্কিন উন্নয়ন-সহযোগিতার মাধ্যমে।

আসলে যুক্তরাষ্ট্রের মূল লাভ কী ছিল? লাভ অসংখ্য। এই স্বল্প পরিসরে শুধু মুখ্য এক-দুটি বিষয় আলাপ সম্ভব। প্রথম উদ্দেশ্য ছিল ষাটের দশক থেকে শুরু করে নব্বই পর্যন্ত বিশ্বময় রাজনৈতিক স্নায়ুযুদ্ধে মোকাবিলা। পঞ্চাশের দশক থেকেই সোভিয়েত ইউনিয়নের প্রভাব বলয়ে ঢুকে পড়ছিল নানা দেশ। দেশগুলো যাতে সমাজতান্ত্রিক বলয়ে ঢুকে পড়তে না পারে, সে জন্য সর্বশক্তিতে ঝাঁপিয়ে পড়া ছিল প্রথম উদ্দেশ্য। অর্থনৈতিক উন্নয়ন সহায়তাই ছিল সেরা মারণাস্ত্র।

নব্বইয়ে সমাজতন্ত্রের পতনের পর দরকারটি মিইয়ে গেল। কিন্তু হুট করেই সাহায্য–সহযোগিতা প্রত্যাহার করে নেওয়া যাচ্ছিল না অনেক কারণে। বাজারে নব্য-উদার তত্ত্ব ছাড়া হলো ‘উন্মুক্ত বাজার’ অর্থনীতির। ‘প্রতিযোগিতায় আসো, নিজের পায়ে দাঁড়াও, নিজ সক্ষমতা বাড়াও, বাজার খুলে দাও’ তত্ত্ব। এদিকে আরও কয়েক বছর বা দশক অপেক্ষা করে দেখা দরকার ছিল সমাজতন্ত্রী ভাবধারা আবারও মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে কি না। আস্তে আস্তে নিশ্চিত হওয়া গেল সমাজতান্ত্রিক অর্থব্যবস্থার ফিরে আসার আর কোনো সম্ভাবনা নেই। চীনও নামেই সমাজতন্ত্রী, আদতে বাজার-অর্থনীতিমুখো।

তবু ইতিমধ্যে অসংখ্য দেশের সঙ্গে কয়েক দশকের বন্ধুত্বের সম্পর্ক ও উন্নয়ন-সহযোগিতার সম্পর্ক ডালপালা শিকড় ছড়িয়ে এতটাই শক্তপোক্ত হয়েছে যে চাইলেই হুট করে পিঠ দেখিয়ে দেওয়া যাচ্ছিল না। হুটহাট উন্নয়ন-সহায়তা তুলে নিলে অবন্ধুসুলভ, অকূটনৈতিক এবং অভব্য অশোভন আচরণের মতোও দেখাত। তা ছাড়া অর্থনীতিতে চমক জাগানো দৌড়ে ছুটে চলছিল জাপান ও চীন। তারা নতুন ধরনের উন্নয়ন-সহযোগিতা দিতে উদার হাতে এগিয়ে আসছিল। কয়েক দশক পর এখন যেহেতু নিশ্চিত হওয়াই গেছে সমাজতন্ত্রও আর হুমকি নয়, চীন-জাপানের উন্নয়ন-সহযোগিতাও সমস্যা নয়, উন্নয়ন-সহায়তা বন্ধ করাই যেতে পারে।

আসলে তার চেয়েও বড় একটি উদ্দেশ্য ছিল বিশ্বের তথ্যভান্ডারের ওপর একচ্ছত্র নিয়ন্ত্রণ। ‘বিশ্বজোড়া পাঠশালা মোর সবার আমি ছাত্র’ ধরনের অবস্থান ছিল যুক্তরাষ্ট্রের। প্রয়োজন ছিল সারা বিশ্বের গ্রামগঞ্জের মানুষ, তাদের সংস্কৃতি, খাদ্যাভ্যাস, শক্তি ও সামর্থ্যের ধরন, দুর্বলতা ও পশ্চাৎপদতার পুঙ্খানুপুঙ্খ বিশ্লেষণী তথ্য জেনে ও সংরক্ষণ করে নিজেদের সমৃদ্ধ রাখা। প্রকল্পগুলোর বাস্তবায়নকালে এবং আগে-পরে নানা রকম গবেষণা, প্রশিক্ষণ, নিয়মিত মূল্যায়ন ও পরিবীক্ষণযজ্ঞ চলত। প্রতিবেদন হতো। প্রতিবেদনগুলো যুক্তরাষ্ট্রকে বিশ্বের আনাচ-কানাচ বিষয়ক তথ্যের ওপর একচ্ছত্র আধিপত্য দিত।

তথ্য যার, ক্ষমতাও তার। মার্কিন পররাষ্ট্রবিষয়ক সিদ্ধান্ত ও নীতি নির্ধারণেও কাজে লাগত প্রতিবেদনগুলো। তাই উন্নয়ন সহায়তার নামে সশরীর জ্ঞানার্জনের পদ্ধতিটি সেকেলে ও অপ্রয়োজনীয় হয়ে পড়েছে। জিপিএস, স্যাটেলাইট, ইন্টারনেট, এআই ইত্যাদি প্রযুক্তির ওপর একচ্ছত্র আধিপত্যে বলীয়ান মার্কিন প্রশাসনের জন্য তথ্য পেতে এখন কি-বোর্ডের কয়েকটি খোঁচাই যথেষ্ট। সরাসরি লোকবল অর্থবল বিনিয়োগই বরং অপচয়।

আমার সঙ্গে বাহাসে নামা দুজন যেমন এই সুগভীর প্রেক্ষাপটটি বুঝতে চাননি, আম-মার্কিনরাও তেমনি বুঝতে চায় না। সত্য-উত্তরকালের ভয়াবহ বিপদটি এখানেই। তথ্যসমুদ্রে ছুড়ে দিয়ে যে কাউকেই দিকহারা করে দেওয়া যায়। এভাবেই মার্কিনদের বড় অংশকেও সহজেই বিশ্বাস করানো গেছে এত দিন উন্নয়নশীল দুনিয়া টিকে ছিলে তাদের করের টাকায়।

হেলাল মহিউদ্দীন অধ্যাপক, নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ইউএসএআইড র ব শ ব স কর র জন য ন র জন ধরন র দরক র

এছাড়াও পড়ুন:

মধ্যরাতের মধ্যে ইউএসএআইডির অর্থ ছাড়ে ট্রাম্প প্রশাসনকে দেওয়া সময়সীমা স্থগিত

স্থগিত রাখা ২০০ কোটি ডলারের বিদেশি সহায়তার অর্থ ছাড়ের জন্য মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে সময়সীমা বেঁধে দিয়েছিলেন আদালত। বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) মধ্যরাতের মধ্যে সহায়তা কার্যক্রম আবারও চালু করার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। তবে সময়সীমা শেষ হওয়ার আগে যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান বিচারপতি জন রবার্টস সে আদেশ স্থগিত করেছেন।

বিচারপতি রবার্টসের আদেশের মধ্য দিয়ে মামলার ভেতরের নানা প্রশ্নের মীমাংসা করা হয়নি। বরং এ মামলায় লিখিত যুক্তিতর্কগুলো পর্যালোচনা করার জন্য আদালতকে কয়েক দিন সময় দিতে ‘প্রশাসনিক স্থগিতাদেশ’ নামে পরিচিত একটি আদেশ দেওয়া হয়েছে। ওয়াশিংটন ডিসির ফেডারেল আপিল আদালতের জরুরি মামলাগুলো সামলে থাকেন রবার্টস।

ট্রাম্প প্রশাসনের বিরুদ্ধে মামলাকারীদের আগামী শুক্রবারের মধ্যে তাঁদের বক্তব্য জানাতে বলেছেন মার্কিন প্রধান বিচারপতি।

বিদেশি সহায়তা ছাড়ে বুধবার মধ্যরাতের সময়সীমা শেষ হওয়ার মাত্র কয়েক ঘণ্টা আগে সুপ্রিম কোর্টের শরণাপন্ন হয় ট্রাম্প প্রশাসন। সিদ্ধান্ত স্থগিতের জন্য অবিলম্বে পদক্ষেপ নিতে বলা হয়। ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর এ নিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো তাঁর প্রশাসনকে উচ্চ আদালতে ছুটতে হলো।

বুধবারের এ আবেদনটি ছিল মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর ও ইউএস এজেন্সি ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট (ইউএসএআইডি) থেকে কোটি কোটি ডলারের বৈদেশিক সহায়তা বন্ধ রাখাসংক্রান্ত। ট্রাম্প গত জানুয়ারিতে ওই সহায়তা স্থগিত করার ঘোষণা দিয়েছিলেন। কেন্দ্রীয় সরকারের খরচ কমানোর পাশাপাশি এ সহায়তাকে নিজের পররাষ্ট্রনীতিগত অবস্থানের সঙ্গে আরও সামঞ্জস্যপূর্ণ করতে চাইছিলেন ট্রাম্প।

শুরুতে বাইডেনের নিয়োগ করা ইউএস ডিস্ট্রিক্ট জজ আমির আলী মামলাটি পরিচালনা করেন। মামলার বাদীরা দাবি করেন, ট্রাম্প প্রশাসন পর্যাপ্ত পরিমাণে তহবিল পুনরুদ্ধার করেনি। বিচারপতি আলী এ সময় বুধবার রাত ১১টা ৫৯ মিনিটের মধ্যে সব বৈদেশিক সহায়তা ছাড়ের জন্য ট্রাম্প প্রশাসনকে নির্দেশ দেন।

তবে বুধবার ট্রাম্প প্রশাসন সুপ্রিম কোর্টে বলেছে, এ সময়সীমা মানাটা তাদের জন্য অসম্ভব। আদালতকে তারা বলেছে, বিচারকের অনুরোধ পূরণ করতে তাদের ‘কয়েক সপ্তাহ’ সময় লাগবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • মধ্যরাতের মধ্যে ইউএসএআইডির অর্থ ছাড়ে ট্রাম্প প্রশাসনকে দেওয়া সময়সীমা স্থগিত