সৌদির সঙ্গে মিল রেখে শেরপুরের ৯ গ্রামে রোজা পালন হলো আজ
Published: 1st, March 2025 GMT
সৌদি আরব ও মধ্যপ্রাচ্যের সঙ্গে মিল রেখে শেরপুরের ৯ গ্রামে আজ শনিবার রোজা পালন করা হয়েছে।
জানা যায়, শেরপুর সদর উপজেলার চরখারচর উত্তর ও দক্ষিণ, মুন্সীরচর ও বামনেরচর, ঝিনাইগাতী উপজেলার বনগাঁও চতল, নকলা উপজেলার বানের্শ¦দী ও নালিতাবাড়ি উপজেলার চিনামারা ও নন্নী মধ্যপাড়া গ্রামের মানুষ গত কয়েক বছর ধরে সৌদি আরব ও মধ্যপ্রাচ্যের সঙ্গে মিল রেখে রোজা ও ঈদ উদযাপন করছেন। এসব গ্রামের মানুষ সুরেশ্বর দরবার শরীফের মুরিদ বলে জানা গেছে।
শনিবার রোজা পালনের জন্য শুক্রবার রাতে কয়েক শত মুসল্লি তারাবি নামাজ আদায় ও সেহরি খাওয়ার মধ্য দিয়ে রোজার কার্যক্রম শুরু করেন।
এ ব্যাপারে নকলা উপজেলার রাজ্জাক মিয়া নামে এক ব্যক্তির ভাষ্য- তারা দীর্ঘদিন ধরে সৌদি ও মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর সঙ্গে মিল রেখে রোজা ও ঈদ উদযাপন করেন। এটাকেই তারা সঠিক দিন বলে মনে করেন।
শেরপুরের বমনেরচরের নূরন্নবী ও চরখার চরের আব্দুল হান্নান সমকালকে বলেন, যেহেতু সৌদি আরবসহ মুসলিম দেশগুলো শনিবার থেকে রোজা পালন করছে তাই আমরাও তাদের সঙ্গে সহমত পোষণ করে তারাবি নামাজ ও সেহরি খেয়ে রোজা পালন শুরু করেছি এবং তারা যেদিন ঈদ উদযাপন করবেন সেদিন আমরাও ঈদ উদযাপন করব।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্রে ভুল বানান, পলাতক নেতাদের নিয়ে প্রশ্ন
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্রে চট্টগ্রামকে লেখা হয়েছে ‘চট্রগ্রাম’। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বলছে, ছাপার ভুল। ওই প্রশ্নে পলাতক নেতাদের সম্পদের বিষয়ে বাক্য তুলে দিয়ে সেটি শুদ্ধ হয়েছে কি না, জানতে চাওয়া হয়। আজ শনিবার অনার্স (স্নাতক সম্মান) ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষার প্রথম দিনে ছিল এ ইউনিটের পরীক্ষা। পরীক্ষা চলবে ২৫ মার্চ পর্যন্ত। এ বছর রেকর্ডসংখ্যক শিক্ষার্থী এই পরীক্ষা দিচ্ছেন।
বিজ্ঞান, জীববিজ্ঞান, প্রকৌশল, মেরিন সায়েন্সেস অ্যান্ড ফিশারিজ অনুষদের সব বিভাগ নিয়ে গঠন করা হয়েছে এ ইউনিট। এই ইউনিটে ১ হাজার ১২৩ সাধারণ আসনের বিপরীতে পরীক্ষার্থী ছিলেন ১ লাখ ৯ হাজার ৮১ জন। দুপুর ১২টায় শুরু হয়ে বেলা ১টা পর্যন্ত ঢাকা, চট্টগ্রাম ও রাজশাহী এই তিন শহরে পরীক্ষাটি হয়।
এদিন ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্রের বাংলা দ্বিতীয়পত্র অংশে একটি প্রশ্নে পলাতক নেতাদের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। প্রশ্নটিতে ‘সপরিবারে পলাতক নেতাদের স্বনামে বেনামে বিপুল সম্পত্তি আছে’ বাক্যটি উল্লেখ করে জানতে চাওয়া হয়, এটি অর্থপূর্ণভাবে গঠিত হয়েছে কি না। তবে প্রশ্নের শুরুতে বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম ‘চট্রগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়’ লেখা হয়েছে। এটি নিয়ে অনেকেই সমালোচনা করছেন। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বলছে, এটি মুদ্রণের ভুল। জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের এ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার সমন্বয়ক প্রকৌশল অনুষদের ডিন মুহাম্মদ সানাউল্লাহ চৌধুরী বলেন, পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়েছে। কোথাও অসংগতির খবর তাঁরা পাননি। বানানের ভুলটা মুদ্রণজনিত।
চারটি ইউনিট ও তিনটি উপ-ইউনিট মিলিয়ে এবার আবেদন করেছেন ২ লাখ ৭১ হাজার ২৩৯ শিক্ষার্থী। এর আগে কখনো এত শিক্ষার্থী চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় বসার জন্য আবেদন করেননি। সেই হিসাবে এ বছর রেকর্ডসংখ্যক পরীক্ষার্থী নিয়ে ভর্তি পরীক্ষা হচ্ছে।
গত বছরের মতো এ বছরও ৪৮টি বিভাগ ও ৬টি ইনস্টিটিউটে শিক্ষার্থী ভর্তি নেওয়া হচ্ছে। তবে আসনসংখ্যায় পরিবর্তন এসেছে। গত বছর ৪ হাজার ৯২৬টি আসনের বিপরীতে আবেদন নেওয়া হলেও এবার মোট ৪ হাজার ৫৮৪টি আসনের বিপরীতে পরীক্ষা হবে। এর মধ্যে সাধারণ আসন ৪ হাজার ১১টি আর বাকি ৫৭৩টি আসন কোটার জন্য বরাদ্দ।
ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্রে বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম ছাপা হয় ভুল বানানে।