প্রোটিয়া বোলিং তোপে দিশাহীন ইংল্যান্ড
Published: 1st, March 2025 GMT
আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফির ম্যাচে শনিবার (১ মার্চ, ২০২৫) ৩টায় দক্ষিণ আফ্রিকার মুখোমুখি হয়েছে আসর থেকে বিদায় ঘন্টা বেজে যাওয়া ইংল্যান্ড। এই ম্যাচে থ্রি লায়ন্সদের হয়ে শেষ বারের মতো অধিনায়কত্ব করছেন জস বাটলার। দলটির কোচ ব্রেন্ডন ম্যাককালাম বলেছিলেন- গোটা দল কাপ্তানকে দারুণ বিদায় উপহার দিতে যায়। তবে বাস্তবতা হচ্ছে অস্ট্রেলিয়া এবং আফগানিস্তানের পর আরেকটা বিপর্যয়ের দ্বারপ্রান্তে ইংলিশরা।
করাচির ন্যাশনাল স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে প্রোটিয়া বোলার মার্কো ইয়ানসেনের বোলিং তোপে পড়ে ইংলিশরা। ইয়ানসেনের বোলিংয়ের সামনে দাঁড়াতেই পারেনি ইংল্যান্ডের টপ অর্ডার। ৬ বলে ৮ রান করে সাজঘরে ফিরে যান ফিল সল্ট। তিনে নেমে রানের খাতা খোলার আগেই সাজঘরে ফেরেন জেমি স্মিথ। অন্যদিকে শুরুতে ঝড় তোলা ডাকেট থেমেছেন দলীয় ৩৭ রানের মাথায়। ২১ বলে ২৪ রানের ইনিংস খেলে ফেরেন তিনি। এই তিনটা উইকেটই নেন ইয়ানসেন।
এরপর ইনিংস মেরামতের দায়িত্ব নেন জো রুট এবং হ্যারি ব্রুক। এই জুটি চাপ সরিয়ে বেশ সাবলীল ব্যাটিং করছিলেন। দুজনের জুটি ভাঙে দলীয় শতক পূরনের ১ রান আগে। ২৯ বলে ১৯ রান করে কেশব মহারাজের বলে আউট হন ব্রুক।
আরো পড়ুন:
সামনের দশকেই শিরোপা জেতবে আফগানরা: স্টেইন
সেমি ফাইনাল থেকে ছিটকে গেলেন শর্ট
এরপর ইংলিশ ব্যাটসম্যানরা কেবল এলেন আর গেলেন। স্বাছন্দে ব্যাটিং করা রুটের স্টাম্প উপড়ে ফেলেন পেসার উইয়ান মুল্ডার। এই ৩৪ বছর বয়সী ব্যাটসম্যান ৪৪ বলে ৩৭ রান করেন। এরপর দ্রুত আরও ২ উইকেট তুলে নেয় প্রোটিয়ারা। ইংল্যান্ডের স্কোর দাঁড়ায় ৭ উইকেটে ১২৯ রান।
অষ্টম উইকেটে ৪২ রানের জুটি গড়ে দলকে সেই বিপর্যয় থেকে সামাল দেন জফরা আর্চার ও বাটলার। ৩১ বলে ২৫ রান করে বিদায় নেন আর্চার। ৪৩ বলে ২১ রানের ইনিংস খেলে বাটলার পরের ওভারেই ফেরেন। ইনিংসের ৭০ বল বাকি থাকতেই ১৭৯ রানে থামে ইংল্যান্ডের ইনিংস।
ইয়ানসেনের পাশাপাশি দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে ৩টি করে উইকেট নেন মাল্ডারও। আর মহারেজের শিকার ২টি উইকেট।
ঢাকা/নাভিদ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর র ন কর উইক ট
এছাড়াও পড়ুন:
হাঁসের মাংসের ‘মোড়কে’ পাখির মাংস বিক্রি, কেন–কীভাবে
পরপর কয়েকটি অভিযানের মুখে সিলেটের জৈন্তাপুরের হরিপুর বাজারে প্রকাশ্যে পাখির মাংস বিক্রি বন্ধ বলা হলেও গোপনে বেচাকেনা চলছে বলে অভিযোগ। সেখানকার রেস্তোরাঁগুলোতে হাঁসের মাংসের আড়ালে চলে পাখির মাংস বিক্রি। সম্প্রতি সেখানকার কয়েকটি রেস্তোরাঁয় ক্রেতা সেজে ঢুঁ মেরে প্রথম আলোর প্রতিবেদক এমনটাই দেখেছেন।
জলাভূমি থেকে রেস্তোরাঁয় পাখিসম্প্রতি পরিচয় গোপন রেখে রেস্তোরাঁর মালিক ও কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ফাঁদ পেতে অথবা বিষটোপ দিয়ে শিকারিরা পাখি ধরেন। সিলেটের গোয়াইনঘাট ও জৈন্তাপুর উপজেলার বিভিন্ন হাওর ও জলাভূমি থেকে পাখিগুলো ধরা হয়। এরপর পাখি বাড়িতে নেন শিকারিরা। জবাই করে পালক ছাড়িয়ে পলিথিনে মুড়ে নেন। এরপর গোপনীয়তার সঙ্গে সেগুলো পৌঁছে দেন রেস্তোরাঁমালিকদের কাছে।
স্থানীয় কয়েকজনের ভাষ্য, শীতকালে এখানে প্রতিদিন গড়ে কয়েক শ পাখি রান্না হয়। তবে সম্প্রতি প্রশাসন দফায় দফায় এখানে অভিযান চালিয়েছে। এ কারণে পাখির মাংস বিক্রি অনেকটা কমে গেছে, তবে একেবারে বন্ধ হয়নি। হাঁসের মাংসের কথা বলে পাখির মাংস বিক্রির কাজটি চলছে।
পাখির মাংস খেতে এসেছেন, এমন দুজন নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, রেস্তোরাঁ কর্মীরা তাঁদের জানিয়েছেন যে প্রতিদিন সর্বোচ্চ তিন থেকে সাত প্রজাতির পাখির মাংস এখানে মেলে। এর মধ্যে বক, ঘুঘু, বালিহাঁস, ডাহুক, শামুকভাঙা ও কুড়া আছে। যেকোনো প্রজাতির পাখির এক টুকরা মাংসের সঙ্গে ভাত, ডাল ও সালাদ ফ্রি। পাখির প্রজাতি অনুযায়ী দাম ১৩০ থেকে ২০০ টাকা।
আট থেকে নয় বছর আগে সিলেট-তামাবিল আঞ্চলিক মহাসড়কের হরিপুর বাজারে কয়েকটি রেস্তোরাঁ চালু হয়। এখন তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১০টিতে। চালুর পর থেকেই এসব রেস্তোরাঁয় পাখির মাংস বিক্রি শুরু হয়। মূলত সড়ক দিয়ে চলাচল করা পর্যটক ও ট্রাকচালকেরা এসব মাংসের ক্রেতা। সিলেট শহর থেকেও দলবেঁধে অনেকে পাখির মাংস খেতে যান।
সরেজমিনে দুই ঘণ্টাএই প্রতিবেদক ২০ ফেব্রুয়ারি রাত ৮টা থেকে ১০টা পর্যন্ত হরিপুর বাজারে কয়েকটি রেস্তোরাঁয় যান। দেখতে পান, রেস্তোরাঁগুলোর ভেতরে ক্যাশ কাউন্টারের সামনে সারি সারি বোল প্লাস্টিকের ঢাকনা দিয়ে ঢেকে রাখা। সেসব বোলে নানা আকৃতির মাংস রান্না করে রাখা। ক্রেতা এসে ঢাকনা উল্টে দরদাম করছেন। পছন্দ হলে মাংস নিয়ে রেস্তোরাঁয় বসে খাচ্ছেন।
এই দিন ক্রেতা সেজে কথা বললে সোনার বাংলা রেস্টুরেন্ট, তারু মিয়া রেস্টুরেন্ট ও তানভীর রেস্টুরেন্টের কর্মীরা পাখির মাংস বিক্রির বিষয়টি স্বীকার করেন। তাঁরা বলেন, স্থানীয় প্রশাসন অভিযান চালাচ্ছে। তাই তাঁরা ভয়ে আছেন। পাখির মাংস বিক্রির বিষয়টি প্রকাশ্যে বলেন না। প্রকৃত ক্রেতা নিশ্চিত হলেই কেবল পাখির মাংস বিক্রির বিষয়টি তাঁরা বলেন। নইলে কেবল হাঁসের মাংস পাওয়া যাওয়ার কথা বলেন ক্রেতাদের।
ফাঁদ পেতে অথবা বিষটোপ দিয়ে শিকারিরা সিলেটের গোয়াইনঘাট ও জৈন্তাপুরের বিভিন্ন হাওর ও জলাভূমি থেকে পাখিগুলো ধরেন