টাঙ্গাইলে ভোজ্যতেলের দাম নিয়ন্ত্রণে যৌথবাহিনীর অভিযান
Published: 1st, March 2025 GMT
টাঙ্গাইলে ভোজ্যতেলের দাম নিয়ন্ত্রণে যৌথবাহিনীর অভিযান পরিচালিত হয়েছে। এসময় কোন ব্যবসায়ীকে জরিমানা না করলেও বাজারের ক্রেতা ও বিক্রেতাদের সতর্ক করা হয়েছে। বাজারের তেলের ব্যবসায়ীদের রমজানে বাড়তি দামে বিক্রি না করার নির্দেশনা দেয়া হয়।
শনিবার (১ মার্চ) বেলা ১১টায় টাঙ্গাইল শহরের ছয়আনী বাজারে খুচরা ও পাইকারী দোকানগুলোতে অভিযান পরিচালনা করা হয়। জেলা ভোক্তা অধিকারের সহকারী পরিচালক আসাদুজ্জামান রুমেল যৌথবাহিনী অভিযানে নেতৃত্ব দেন। এসময় সেনাবাহিনীর ওয়ারেন্ট অফিসার জিয়াউর রহমান, পাঁচআনী ও ছয়আনী বাজার ব্যবসায়ী মালিক সমিতির সাধারন আহসান খান আছুসহ পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
জেলা ভোক্তা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক আসাদুজ্জামান রুমেল বলেন, “ব্যবসায়ীরা বাজারে ভোজ্যতেলের সংকট তৈরি করে বাড়তি দামে তেল বিক্রি করছে এমন অভিযোগে যৌথবাহিনীর অভিযান পরিচালনা করা হয়। তবে বাজারে গিয়ে বাড়তি দামে বিক্রির প্রমাণ পাওয়া যায়নি। সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”
ঢাকা/কাওছার/এস
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব যবস য় পর চ ল
এছাড়াও পড়ুন:
ঘোড়াঘাটে মাজারে ভাঙচুর-আগুন তৌহিদি জনতার
দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটে বিরাহিমপুর গুচ্ছগ্রামে অবস্থিত রহিম ভান্ডারী বাবার মাজারে ভাঙচুরের পর পুড়িয়ে দিয়েছে বিক্ষুব্ধ তৌহিদি জনতা। এসময় মাজারের খাদেম এবং বিভিন্ন এলাকা থেকে আগত ভক্তরা মাজার থেকে পালিয়ে যায়।
শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৫টায় তৌহিদি জনতা ‘নারায়ে তাকবীর, আল্লাহু আকবার’ স্লোগান দিয়ে মাজারে প্রবেশ করে আগুন লাগিয়ে পুড়িয়ে দেয়।
এসময় আগত অতিথিদের বিশ্রামাগার, হালকায়ে জিকির মঞ্চ, প্যান্ডেল, বিভিন্ন স্থাপনা ও ধর্মের নামে গান বাজনা ও খাবার আয়োজনের বিভিন্ন সামগ্রী ভাঙচুর ও আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয় তৌহিদি জনতা।
স্থানীয় জনতা অভিযোগ করে বলেন, “কথিত পীরের এই মাজারে অসামাজিক কার্যকলাপ, জিকিরের নামে নারী-পুরুষ একত্র হয়ে গান-বাজনা ও ভণ্ডামি করে থাকে। এগুলিকে কোনভাবেই ইসলাম পছন্দ সমর্থন করে না।”
তারা আরও বলেন, “এই অনৈতিক কাজ বন্ধের দাবিতে আমরা এর আগে বিক্ষোভ মিছিল ও গণ সমাবেশ করেছি। এছাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, ওসিসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বরাবর স্মারকলিপিও দিয়েছি। কিন্তু কোনো ধরনের ব্যবস্থা না নেওয়ায় আমরা এ ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি। ইসলাম ও ধর্মের নামে কোনো ধরনের নোংরামি আমরা ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা কোনভাবেই বরদাস্ত করব না।”
আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন হাকিমপুর-ঘোড়াঘাট সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার আ.ন.ম নিয়ামত উল্লাহ।
তিনি বলেন, “ঘটনাস্থল এখনও উত্তেজিত রয়েছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে আমরা কাজ করছি।”
ঢাকা/মোসলেম/এস