রিয়াল মাদ্রিদকে বড় অঙ্কের জরিমানা উয়েফার
Published: 1st, March 2025 GMT
ম্যানচেস্টার সিটির বিপক্ষে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের প্লে-অফের দ্বিতীয় লেগে জয় পেয়েছিল রিয়াল মাদ্রিদ। তবে সেই ম্যাচে নিজেদের সমর্থকদের বর্ণবাদী আচরণের কারণে বড় অঙ্কের জরিমানা গুনতে হচ্ছে স্প্যানিশ ক্লাবটিকে। উয়েফার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, রিয়াল মাদ্রিদকে ৩০ হাজার পাউন্ড (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৪৫ লাখ টাকা) জরিমানা করা হয়েছে।
সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে অনুষ্ঠিত ওই ম্যাচে সিটির কোচ পেপ গার্দিওলাকে উদ্দেশ্য করে কিছু রিয়াল সমর্থক বর্ণবাদী মন্তব্য করেন। বিষয়টি ম্যাচের পর ব্যাপক আলোচনার জন্ম দেয় এবং উয়েফার নজরে আসে। উয়েফার ১৪ নম্বর ধারার বিধান অনুযায়ী, প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে এমন আচরণের জন্যই শাস্তির মুখে পড়েছে রিয়াল মাদ্রিদ।
শুধু জরিমানাই নয়, পরবর্তী দুই বছরের মধ্যে যদি বার্নাব্যুতে আবারও এমন ঘটনা ঘটে, তাহলে স্টেডিয়ামের ৫০০ আসনে দর্শক প্রবেশ নিষিদ্ধ করবে উয়েফা।
আগামী ৫ মার্চ চ্যাম্পিয়ন্স লিগের দ্বিতীয় রাউন্ডের প্রথম লেগে অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের বিপক্ষে মাঠে নামবে রিয়াল। তবে উয়েফার এই শাস্তি তাদের জন্য নতুন দুশ্চিন্তা হয়ে এসেছে।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক লামা
যুক্তরাষ্ট্রের নর্থ ক্যারোলাইনা অঙ্গরাজ্যের একটি লামাকে বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক জীবিত পোষা লামা বলে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দিয়েছে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস কর্তৃপক্ষ। ওই লামার বয়স ২৭ বছর ২৫০ দিন।
লামা দেখতে অনেকটা ছাগল বা ভেড়ার মতো। তবে সেটির গলা ছাগলের গলার চেয়ে বেশ লম্বা, অনেকটা উটের মতো। মুখের আকৃতিও উটের মতো হওয়ায় হঠাৎ করে তাকালে ছোটখাটো উট মনে হতে পারে।
নর্থ ক্যারোলাইনার এই লামার শরীরের ওপরের অংশের রং সাদা। হয়তো এ কারণেই এটির নাম ‘হোয়াইটটপ’। ২০০৬ সাল থেকে প্রাণীটি ভিক্টরি জংশন ক্যাম্পে রয়েছে। গুরুতর অসুস্থ এবং দুরারোগ্য রোগে আক্রান্ত শিশুদের ভ্রমণ ও আনন্দের জন্য র্যান্ডলম্যানের এই ক্যাম্পে আনা হয়ে থাকে।
ভিক্টরি জংশনের পরিচালক বিলি জো ডেভিস গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসকে বলেছেন, ‘আমাদের ক্যাম্পে শিশুরা এলে সে (লামা) তাদের সঙ্গে খুবই ভালো ব্যবহার করে। সে শুধু শুয়ে-বসে থাকে এবং দুপুরের খাবারের সময় না হওয়া পর্যন্ত বসা থেকে উঠে না। শিশুদের তাকে ছুঁয়ে দেখতে, আদর করতে ও ভালোবাসতে দেয়। সে এমন আচরণ করে যেন এটাই তার কাজ, হ্যাঁ, এটাই তার চাকরি।’
বছরজুড়েই খোলা থাকে ভিক্টরি জংশন, চলে শিশুদের ক্যাম্প। শিশুরা সেখানে ঘুরে বেড়াতে আসে। সেখানে হোয়াইটটপ ছাড়াও নয়টি ঘোড়া, দুটি ছাগল, দুটি খরগোশ, দুটি খুদে গাধা এবং একটি ছোট্ট আকারের পাহাড়ি গরু আছে।
পাহাড়ি গরুটির নাম গুস-গুস, হোয়াইটটপের সঙ্গে তার খাতির সবচেয়ে বেশি।
এর কারণ ব্যাখ্যায় ডেভিস বলেন, ‘কারণ, তারা একসঙ্গে অনেক বেশি খেলাধুলা করে। গুস-গুস হোয়াইটটপকে সম্ভবত গরু মনে করে। গুস-গুস হোয়াইটটপের ওপর দিয়ে লাফিয়ে যেতে এবং সেটির সঙ্গে খেলতে পছন্দ করে। আমি গুস-গুসকে আটকানোর চেষ্টা করি। কারণ, হোয়াইটটপ অনেকটা বুড়ো হয়ে গেছে। কিন্তু হোয়াইটটপ ওই প্রাণীর সঙ্গে খুবই ভালো আচরণ করে।’