চাঁদপুরে পৃথক স্থানে পানিতে ডুবে তিন শিশুর মৃত্যু হয়েছে। শনিবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত সদর উপজেলা, ফরিদগঞ্জ উপজেলা, ও হাজীগঞ্জ উপজেলায় এসব ঘটনা ঘটে বলে চাঁদপুর জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসক নাসের আবুল হাসান জানান।

নিহতরা হল- সদর উপজেলার বহরিয়া এলাকার মো. সহিদের তিন বছরের মেয়ে মাইমুনা, ফরিদগঞ্জ উপজেলার বাগড়া বাজার এলাকার আহমেদ শেখের দুই বছরের ছেলে মিরাজ এবং হাজীগঞ্জ উপজেলার রাজারগাঁও এলাকার সাদ্দামের দুই বছরের ছেলে জুনায়েদ।

মাইমুনার ও জুনায়েদের পরিবার জানায়, ঘরের পাশে পুকুর ছিল। হঠাৎ করে তাদের খোঁজ মিলছে না। পরে পুকুরে ভেসে উঠতে দেখা যায়। পরিবারের লোকজন পারিবারিক রান্না-বান্নার কাজে ব্যস্ত ছিল।

মিরাজের পরিবার জানায়, শনিবার সকালে বাড়িতে খেলাধুলা করতে গিয়ে পরিবারের অগোচরে পুকুরে ডুবে যায়। পরে খোঁজাখুজির এক পর্যায়ে পানিতে ভেসে উঠলে হাসপাতালে নেওয়া হয়।

হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, তিনটি শিশু তাদের বাড়ির আঙিনায় খেলা করার সময় পরিবারের লোকজনের অগোচরে পুকুরে পড়ে যায়। পরে তাদের মুমূর্ষু অবস্থায় হাসপাতালে আনা হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন।

চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসক নাসের আবুল হাসান বলেন, সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত পানিতে ডুবে মারা যাওয়া তিন শিশুকেই হাসপাতালে মৃত অবস্থায় আনা হয়েছে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: জ উপজ ল পর ব র

এছাড়াও পড়ুন:

রিকশায় তুলে ছাত্রলীগ নেতাকে নির্যাতনের ঘটনায় মামলা

নাটোরে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের কর্মী ফয়সাল হোসেন কদরকে (২৫) চলন্ত অটোরিকশায় তুলে পায়ের নিচে ফেলে নির্যাতন করার ঘটনায় ছাত্রদল নেতাদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।

সোমবার (২১ এপ্রিল) দুপুরে আহত ফয়সালের বাবা খায়রুল আলম বাদী হয়ে সদর থানায় মামলাটি করেন। মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নাটোর সদর থানার ওসি মাহবুর রহমান।

আরো পড়ুন: রিকশায় ছাত্রলীগ নেতাকে পায়ের নিচে ফেলে নির্যাতনের অভিযোগ

আরো পড়ুন:

অঝোরে কাঁদছেন পারভেজের মা

কুমিল্লার ৬ আইনজীবীকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ, ডিম নিক্ষেপ 

মামলায় নাটোর নবাব সিরাজ-উদ-দ্দৌলা সরকারি কলেজ ছাত্রদলের সভাপতি এসএম জোবায়ের, নাটোর পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রদলের সভাপতি রিমন ও সাধারণ সম্পাদক নাঈমসহ অজ্ঞাত ৫-৬ জনকে আসামি করা হয়েছে।

ওসি মাহবুর রহমান বলেন, “রবিবার (২০ এপ্রিল) ফয়সালকে মারধরের ঘটনায় তার বাবা আজ দুপুরে বাদী হয়ে একটি অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগটি মামলা হিসেবে নথিভুক্ত করা হয়েছে। ঘটনাটি নজরে আসলে অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারে পুলিশ ও সেনাবাহিনী অভিযান চালায়। এখন পর্যন্ত কেউ গ্রেপ্তার হয়নি। অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।” 

রবিবার দুপুরে নাটোর শহরের কানাইখালী এলাকায় নাটোর জেলা ছাত্রলীগের কর্মী ফয়সাল হোসেন কদরকে চলন্ত ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার পা-দানিতে ফেলে মারধর করেন ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা।

এ ঘটনার ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা যায়, নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ কর্মী ফয়সালের পিঠের ওপর পা দিয়ে ছাত্রলীগ ছাত্রলীগ বলে মারধর করা হচ্ছে। এ সময় গান বাজছিল। মুহূর্তেই ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। যা নিয়ে জেলার রাজনৈতিক অঙ্গনে চলছে তীব্র আলোচনা-সমালোচনা।

ঢাকা/আরিফুল/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ