মাহতিমের গানে গানে ‘রবিযাপন’ কতটা জমল
Published: 1st, March 2025 GMT
‘বসন্তের মাতাল সমীরণে’র কথা লিখেছিলেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, ‘আজ জ্যোৎস্নারাতে সবাই গেছে বনে/ বসন্তের এই মাতাল সমীরণে’। গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তাঁর এই আহ্বানেই শ্রোতারা যেন সমবেত হন কৃষিবিদ ইনস্টিটিউট (কেআইবি) মিলনায়তনে। মাহতিম শাকিবের মিউজিক্যাল অডিও ড্রামা ‘রবিযাপন’ উপভোগের অপেক্ষায় মিলনায়তন পূর্ণ ছিল বিভিন্ন বয়সী শ্রোতায়। ‘রবিযাপন’–এ ‘চোখের বালি’ থেকে সংলাপ পাঠের পাশাপাশি রবীন্দ্রসংগীতের পরিবেশনা উপভোগ করেছেন দর্শকেরা।
মিউজিক্যাল ইনস্ট্রুমেন্ট, বই, শোপিসে সুসজ্জিত একটি শেলফ (তাক) ও একটি সোফা দিয়ে সাজানো মঞ্চ। ঘড়িতে সন্ধ্যা ৭টা ৫৯ মিনিট হতেই ঘোষণা এল, মঞ্চে প্রবেশ করছেন আনিকা প্রিয়ন্তী।
আনিকা প্রিয়ন্তী। নাজমুল হক.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
বন্দরে বিধবা নারীর ভিটেবাড়ি দখল করে উচ্ছেদ, প্রতিকার চেয়ে সংবাদ সম্মেলন
বন্দর উপজেলার একরামপুর এলাকায় এক বিধবা নারীর ভিটেবাড়ি দখল করে তাকে উচ্ছেদের অভিযোগ উঠেছে। একই সাথে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানিও করা হচ্ছে।
এ ঘটনার পর থেকে নাবালক একমাত্র ছেলেকে নিয়ে অন্যের বাড়িতে আশ্রয় নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন ওই নারী।
শনিবার (১ মার্চ) দুপুরে নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে এসব অভিযোগ তুলে এর প্রতিকার চান বিলকিস বেগম শিউলি নামে নির্যাতিতা নারী। এসময় সাথে ছিলেন মাদ্রাসায় হেফজ বিভাগের শিক্ষার্থী তার একমাত্র ছেলে সহ স্থানীয় বাসিন্দারা।
সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী নারী বিলকিস বেগম শিউলি জানান, পৈতৃক সূত্রে পাওয়া অর্ধ শতাংশ জমিতে ঘর তুলে দীর্ঘদিন ধরে তিনি বসবাস করছিলেন। স্বামীর মৃত্যুর পর সম্প্রতি নিজের ভাই, ভাইয়ের স্ত্রী ও ছেলেরা বাড়ির সামনে দেয়াল টেনে যাওয়া আসার রাস্তা ও বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ করে দেয়। পরবর্তীতে তার ভিটেবাড়ি দখল করে তাকে বাড়ি থেকে উচ্ছেদ করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী নারী বিলকিস বেগম শিউলি আরও জানান, এ ঘটনায় বন্দর থানায় জিডি করলেও পুলিশ প্রশাসনের কাছ থেকে কোন সহযোগিতা পান নি। বরং তদন্ত কর্মকর্তা বিবাদীদের পক্ষ নিয়ে ঘটনা ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করছেন বলে অভিযোগ তার।
পাশাপাশি ভাইয়ের পরিবারের লোকজন মিথ্যা মামলা দিয়ে তাকে হয়রানি সহ প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছেন বলেও অভিযোগ করেন সহায় সম্বলহীন এই বিধবা নারী।
এ অবস্থায় নিজের ভিটেবাড়ি ফিরে পাওয়া সহ মিথ্যা মামলার হয়রানি থেকে রেহাই পেতে সরকারের উচ্চ পর্যায়ে হস্তক্ষেপ কামনা করছেন তিনি। এসময় নিজের জীবনের নিরাপত্তা ও একমাত্র ছেলের ভবিষ্যতের জন্য কান্নায় ভেঙে পড়েন শিউলি।
কান্নাজড়িত কন্ঠে বিলকিস বেগম শিউলি বলেন, ওরা আমাকে মেরে ফেলবে। আমি না থাকলে আমার নাবালক ছেলের কি হবে? আমি আমার ছেলেকে নিয়ে আমার ভিটেবাড়িতে নিরাপদে থাকতে চাই। মিথ্যা মাম লা থেকে রেহাই চাই। সরকারের কাছে আমি এর প্রতিকার চাই। আমার যে ক্ষতি হয়েছে তার ক্ষতিপূরণ চাই।