ভারতের দাপট কমাতেই আইসিসির এমন নিয়ম—অভিযোগ অশ্বিনের
Published: 1st, March 2025 GMT
এ আলোচনা আগেও হয়েছে। ওয়ানডে ক্রিকেটে দুই প্রান্ত থেকে দুটি নতুন বল ব্যবহার ব্যাটসম্যানদের জন্য খেলাটা অনেক সহজ করে দিয়েছে, এমন মত দিয়েছেন অনেক বোলার।
গত ডিসেম্বরে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ছাড়া ভারতীয় স্পিনার রবিচন্দ্রন অশ্বিন সেই প্রসঙ্গ তুললেন আবারও। তবে এর সঙ্গে তিনি যোগ করেছেন নতুন অভিযোগও। এই স্পিনার অভিযোগ করেছেন, আইসিসি এই নিয়ম করেছিল ভারতের স্পিনারদের দাপট কমাতে।
নিজের ইউটিউব চ্যানেলে অশ্বিন দাবি করেন, ‘২০১৩-১৪ সাল পর্যন্ত (আসলে ২০১১ সাল পর্যন্ত) ওয়ানডেতে একটি বল ব্যবহার হতো। এরপর এক দিনের ক্রিকেটে নতুন নিয়ম চালু হয়, যেখানে পাঁচজন ফিল্ডার বৃত্তের মধ্যে থাকবে ও দুটি নতুন বলের ব্যবহার শুরু হয়। ভারতের স্পিনারদের দাপট কমাতে আইসিসি নতুন নিয়ম চালু করেছে। এটা আমার মত। আমি মনে করি, এটি খেলায় প্রভাব ফেলেছে। রিভার্স সুইং হারিয়ে গেছে। ফিঙ্গার স্পিনারদের ভূমিকা কমে গেছে।’
খেলা এত ধীরগতিতে চলছে, যেন এটি শুধু টেনে নেওয়া হচ্ছে। আজকালকার ক্রিকেটে ৫০ ওভারের সংস্করণের জন্য সত্যিই কোনো জায়গা আছে কি না, তা নিয়ে আমার মনে প্রশ্ন এসেছেরবিচন্দ্রন অশ্বিন৫০ ওভার ক্রিকেটে দুই বল ব্যবহারের শুরু থেকেই এটির বিপক্ষে ছিল ভারত। অশ্বিন আবার এই প্রসঙ্গ টেনেছেন চ্যাম্পিয়নস ট্রফি নিয়ে কথা বলতে গিয়ে। ওয়ানডে ক্রিকেটের ভবিষ্যৎ নিয়েও কথা বলেছেন ভারতের সাবেক এই ক্রিকেটার।
এই অফ স্পিনার বলেছেন, ‘আফগানিস্তান ও ইংল্যান্ড ম্যাচের আগে আমি এক দিনের ক্রিকেটের ভবিষ্যৎ নিয়ে ভাবছিলাম। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট দর্শকদের আকর্ষণ করে, এবং এর জনপ্রিয়তা বেশি। কারণ, ম্যাচ মাত্র চার ঘণ্টার মধ্যে শেষ হয়ে যায়। আমি মনে করি, আফগানিস্তানের মতো দলের প্রথম শ্রেণির কাঠামো উন্নত হলে টেস্ট ক্রিকেটের চাহিদাও বাড়বে। কিন্তু ওয়ানডে ক্রিকেটে কোনো প্রতিযোগিতা নেই।’
আরও পড়ুনতোমাদের বেতন হয় ভারতের কারণে—সমালোচকদের পাল্টা তোপ গাভাস্কারের৩ ঘণ্টা আগে২০২৭ সালে ওয়ানডে বিশ্বকাপ হবে দক্ষিণ আফ্রিকায়। এই টুর্নামেন্ট নিয়ে আইসিসিকে কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হবে বলে মনে করেন অশ্বিন, ‘দক্ষিণ আফ্রিকায় অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া ২০২৭ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপ আইসিসির জন্য সত্যিকারের চ্যালেঞ্জ হতে যাচ্ছে। এটি নিয়ে এখন সিদ্ধান্ত নিতে হবে। কারণ, খেলা এত ধীরগতিতে চলছে, যেন এটি শুধু টেনে নেওয়া হচ্ছে। আজকালকার ক্রিকেটে ৫০ ওভারের সংস্করণের জন্য সত্যিই কোনো জায়গা আছে কি না, তা নিয়ে আমার মনে প্রশ্ন এসেছে।’
চ্যাম্পিয়নস ট্রফি একঘেয়ে লাগছে অশ্বিনের.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ব যবহ র র জন য আইস স
এছাড়াও পড়ুন:
বিজেপির আয়ু আর ২-৩ বছর: মমতা
ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) আয়ু আর ২-৩ বছর আছে বলে মন্তব্য করেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে দলীয় সমাবেশে এই মন্তব্য করেছেন তিনি।
মমতা দাবি করেন, ২০২৭ থেকে ২৯ সালের মধ্যে বিজেপি শেষ হয়ে যাবে।
দলীয় সমাবেশে আগামী বিধানসভা ভোটে ন্যূনতম ২১৫টি আসন পেতে হবে বলে কর্মীদের লক্ষ্য বেঁধে দিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের ক্ষমতাসীন দল তৃণমূল কংগ্রেসের শীর্ষ এই নেত্রী। পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচন ২০২৬ সালে অনুষ্ঠিত হবে।
আরো পড়ুন:
বিধানসভা নির্বাচনে ২১৫ আসন পেতেই হবে: মমতা ব্যানার্জি
বরেণ্য অভিনেতা মুরালি গ্রেপ্তার
তৃণমূল কংগ্রেস এরই মধ্যে নির্বাচনী প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে। দলীয় কর্মীদের উদ্দেশে মমতার বার্তা, “আগামী বিধানসভা ভোটে ২১৫টা আসন পেতেই হবে। আসন আরো বেশি পাওয়ার চেষ্টা করতে হবে। ২১৫টা আসনের কম কোনো মতেই নয়। এবার বিজেপি, কংগ্রেস, সিপিএমের জামানত জব্দ করার পালা।”
মমতা বলেন, ২০২১ সালে সর্বশেষ বিধানসভা নির্বাচনে পাওয়া ২১৪ আসনের রেকর্ড দলকে ভাঙতে হবে ২০২৬-এ। নির্বাচনকে সামনে রেখে কর্মীরা কী করবেন, কী করবেন না, তাও পয়েন্ট ধরে বুঝিয়ে দেন তিনি।
কর্মীদের নির্বাচনী টিপস দেওয়ার পাশাপাশি ভারতের নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে মমতার অভিযোগ, ভোটের আগে ভোটার লিস্টে কারচুপি করেছে কমিশন।
মমতার অভিযোগ, ভোটারদের কার্ডে রদবদল করে বাংলার ভোটে ভিন রাজ্য থেকে লোক নিয়ে এসে ভোট দেওয়ার পরিকল্পনা করা হচ্ছে। বক্তব্য রাখার সময়ে, মুর্শিদাবাদের রানিনগরের এক বাসিন্দা সইদুল ইসলামের নাম তোলেন তিনি। তার যে এপিক নম্বর রয়েছে, তার সঙ্গে জুড়ে দেওয়া হয়েছে হরিয়ানার কোনো এক সনিয়া দেবীর নাম।
রানিনগরেরই আরো এক বাসিন্দা মোহাম্মদ আলি হোসেন, তার এপিক নম্বরের সঙ্গেও একই কাণ্ড করা হয়েছে বলে উদাহরণ দেন মমতা। তার অভিযোগ, স্যাম্পল সার্ভে করে যা নথি হাতে এসেছে, তা চমকে দেওয়ার মতো। একই এপিক নম্বরে বাংলার ভোটারের জায়গায় বহু ক্ষেত্রে হরিয়ানা, পাঞ্জাব ও বিহারের নাম ঢোকানো হয়েছে বলে অভিযোগ। আর এই কাজের পিছনে কিছু এআরও এবং ডেটা এন্ট্রি অপারেটরের দিকে আঙুল তুলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ডেটা অপারেটরদের ওপর লক্ষ্য রাখুন।
ভোটার তালিকায় এমন গরমিল করেই দিল্লি ও মহারাষ্ট্রে বিজেপি জিতেছে বলে ইঙ্গিত দেন মমতা। তিনি বলেন, দিল্লি পারেনি, মহারাষ্ট্র পারেনি, বাংলায় আমরা ধরব, জবাব দেবো। আমি আপনাদের রহস্যটা উন্মোচন করে দিলাম। এর পরের কাজটা আপনাদের। ভোটার তালিকা যাচাই-বাছাই করুন। ডেটা অপারেটরদের ওপর লক্ষ্য রাখুন। ২০২৭ থেকে ২০২৯ সালের মধ্যে বিজেপি শেষ হয়ে যাবে। বিজেপির আয়ু ২-৩ বছর।
বৃহস্পতিবার দলের মহাসমাবেশে একথা বলেন তৃণমূলের সর্বোচ্চ নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সকাল ১১টায় সেই বৈঠক শুরু হয়। বৈঠকে পশ্চিমবঙ্গের এই মুখ্যমন্ত্রী কী বার্তা দেন, সেদিকেই তাকিয়ে ছিলেন অনেকেই।
অনেকের মতে, ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে সংগঠনের সর্বস্তরে ‘ঝাঁকুনি’ দিতে চান মমতা। দলীয় কর্মীদের উদ্দেশে মমতার বার্তা, “আগামী বিধানসভা ভোটে ২১৫টা আসন পেতেই হবে। অভিষেক ঠিকই বলেছে। আসন আরও বেশি পাওয়ার চেষ্টা করতে হবে। ২১৫টা আসনের কম কোনও মতেই নয়। এবার বিজেপি, কংগ্রেস, সিপিএমের জামানত জব্দ করার পালা।”
এদিন তৃণমূলের সভা থেকে বিজেপির কঠোর সমালোচনা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পশ্চিমবঙ্গের বদনাম করার জন্য বিজেপি বারবার এজেন্সি পাঠাচ্ছে বলেও অভিযোগ করেছেন তিনি।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বলেন, ‘২০২৭ থেকে ২০২৯ সালের মধ্যে বিজেপি শেষ হয়ে যাবে। বিজেপির আয়ু ২-৩ বছর। তারপরে আর নেই। এর মধ্যেই ওরা বাংলাকে টার্গেট করবে। মহারাষ্ট্র-দিল্লিতে ওরা বিজেপির খেলা ধরতে পারেনি। বাংলায় আমরা ধরব। যোগ্য জবাব দেব।’
ঢাকা/সুচরিতা/ফিরোজ