এ আলোচনা আগেও হয়েছে। ওয়ানডে ক্রিকেটে দুই প্রান্ত থেকে দুটি নতুন বল ব্যবহার ব্যাটসম্যানদের জন্য খেলাটা অনেক সহজ করে দিয়েছে, এমন মত দিয়েছেন অনেক বোলার।

গত ডিসেম্বরে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ছাড়া ভারতীয় স্পিনার রবিচন্দ্রন অশ্বিন সেই প্রসঙ্গ তুললেন আবারও। তবে এর সঙ্গে তিনি যোগ করেছেন নতুন অভিযোগও। এই স্পিনার অভিযোগ করেছেন, আইসিসি এই নিয়ম করেছিল ভারতের স্পিনারদের দাপট কমাতে।

নিজের ইউটিউব চ্যানেলে অশ্বিন দাবি করেন, ‘২০১৩-১৪ সাল পর্যন্ত (আসলে ২০১১ সাল পর্যন্ত) ওয়ানডেতে একটি বল ব্যবহার হতো। এরপর এক দিনের ক্রিকেটে নতুন নিয়ম চালু হয়, যেখানে পাঁচজন ফিল্ডার বৃত্তের মধ্যে থাকবে ও দুটি নতুন বলের ব্যবহার শুরু হয়। ভারতের স্পিনারদের দাপট কমাতে আইসিসি নতুন নিয়ম চালু করেছে। এটা আমার মত। আমি মনে করি, এটি খেলায় প্রভাব ফেলেছে। রিভার্স সুইং হারিয়ে গেছে। ফিঙ্গার স্পিনারদের ভূমিকা কমে গেছে।’

খেলা এত ধীরগতিতে চলছে, যেন এটি শুধু টেনে নেওয়া হচ্ছে। আজকালকার ক্রিকেটে ৫০ ওভারের সংস্করণের জন্য সত্যিই কোনো জায়গা আছে কি না, তা নিয়ে আমার মনে প্রশ্ন এসেছেরবিচন্দ্রন অশ্বিন

৫০ ওভার ক্রিকেটে দুই বল ব্যবহারের শুরু থেকেই এটির বিপক্ষে ছিল ভারত। অশ্বিন আবার এই প্রসঙ্গ টেনেছেন চ্যাম্পিয়নস ট্রফি নিয়ে কথা বলতে গিয়ে। ওয়ানডে ক্রিকেটের ভবিষ্যৎ নিয়েও কথা বলেছেন ভারতের সাবেক এই ক্রিকেটার।

এই অফ স্পিনার বলেছেন, ‘আফগানিস্তান ও ইংল্যান্ড ম্যাচের আগে আমি এক দিনের ক্রিকেটের ভবিষ্যৎ নিয়ে ভাবছিলাম। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট দর্শকদের আকর্ষণ করে, এবং এর জনপ্রিয়তা বেশি। কারণ, ম্যাচ মাত্র চার ঘণ্টার মধ্যে শেষ হয়ে যায়। আমি মনে করি, আফগানিস্তানের মতো দলের প্রথম শ্রেণির কাঠামো উন্নত হলে টেস্ট ক্রিকেটের চাহিদাও বাড়বে। কিন্তু ওয়ানডে ক্রিকেটে কোনো প্রতিযোগিতা নেই।’

আরও পড়ুনতোমাদের বেতন হয় ভারতের কারণে—সমালোচকদের পাল্টা তোপ গাভাস্কারের৩ ঘণ্টা আগে

২০২৭ সালে ওয়ানডে বিশ্বকাপ হবে দক্ষিণ আফ্রিকায়। এই টুর্নামেন্ট নিয়ে আইসিসিকে কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হবে বলে মনে করেন অশ্বিন, ‘দক্ষিণ আফ্রিকায় অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া ২০২৭ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপ আইসিসির জন্য সত্যিকারের চ্যালেঞ্জ হতে যাচ্ছে। এটি নিয়ে এখন সিদ্ধান্ত নিতে হবে। কারণ, খেলা এত ধীরগতিতে চলছে, যেন এটি শুধু টেনে নেওয়া হচ্ছে। আজকালকার ক্রিকেটে ৫০ ওভারের সংস্করণের জন্য সত্যিই কোনো জায়গা আছে কি না, তা নিয়ে আমার মনে প্রশ্ন এসেছে।’

চ্যাম্পিয়নস ট্রফি একঘেয়ে লাগছে অশ্বিনের.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ব যবহ র র জন য আইস স

এছাড়াও পড়ুন:

দোষী সাব্যস্ত লো পেন, সরকারি দায়িত্ব পালনে ৫ বছরের নিষেধাজ্ঞা

অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন ফ্রান্সের ডানপন্থী নেতা মারিন লো পেন। আদালত তাঁর ওপর সরকারি দায়িত্ব পালনে পাঁচ বছরের নিষেধাজ্ঞার পাশাপাশি তাঁকে চার বছরের কারাদণ্ড এবং এক লাখ ইউরো জরিমানা করেছেন। আজ সোমবার প্যারিসের একটি আদালত এ রায় দেন। এর ফলে তিনি ২০২৭ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে লড়তে পারবেন না। তবে আদালতে আপিল করে জিতে গেলে তাঁর জন্য নির্বাচনে দাঁড়ানোর সুযোগ তৈরি হবে।

বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, আদালতের এ আদেশ ফ্রান্সের ন্যাশনাল র‍্যালি (আর এন) দলটির প্রধান লো পেনের জন্য বড় ধরনের ধাক্কা। ২০২৭ সালে অনুষ্ঠেয় প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জনপ্রিয়তার দিক থেকে তিনি এগিয়ে ছিলেন।

ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) তহবিলের অর্থ আত্মসাৎ করে নিজ দল ফ্রেঞ্চ ন্যাশনাল র‌্যালিকে (আরএন) দেওয়ার দায়ে লো পেনসহ তাঁর দলের ১২ সংসদীয় সহযোগীকে (পার্লামেন্টারি অ্যাসিস্ট্যান্ট) দোষী সাব্যস্ত করেছেন আদালত। তাঁদের দাবি, অর্থ বৈধভাবে ব্যবহার করা হয়েছিল। আদালত বলেছেন, তাঁর দল আরএন এবং তাঁদের দুই ডজন নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে ইইউ পার্লামেন্টের তহবিল থেকে ৪০ লাখ ইউরোর বেশি অর্থ দিয়ে তাঁরা ফ্রান্সে থাকা দলের কর্মীদের বেতনভাতা দিয়েছেন। তবে আরএনের দাবি, তারা বৈধ উপায়েই ওই অর্থ ব্যবহার করেছে এবং অভিযোগগুলোতে সংসদীয় সহযোগীর কাজকে সংকীর্ণভাবে সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে।

বিচারক বেনেডিক্ট দ্য পের্তুই বলেন, লো পেন অর্থ আত্মসাৎ পরিকল্পনার মূলে ছিলেন।

২০১৭ সালে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে এমানুয়েল মাখোঁর কাছে পরাজয়ের পর থেকে লো পেন তাঁর দলকে রাজনৈতিক মূলধারার দিকে নিয়ে গেছেন। তিনি এখন জাতীয় পরিষদের একক বৃহত্তম দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন।

বিচারক পের্তুই বলেন, এটা প্রমাণিত হয়েছে যে এরা সবাই মূলত দলের হয়ে কাজ করেছেন, তাদের (ইইউ) আইনপ্রণেতারা তাদের কোনো কাজই দেননি। তদন্তে প্রমাণিত হয়েছে যে এগুলো মোটেই প্রশাসনিক কোনো ত্রুটি নয়, বরং প্রণীত একটি ব্যবস্থার কাঠামোর মধ্যে আত্মসাৎ, যা করা হয়েছে দলের খরচ কমানোর জন্য।

আদালতের আদেশ দেওয়ার সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন লো পেন।

বেশ কয়েকটি জনমত জরিপে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের তুলনায় এগিয়ে থাকা ৫৬ বছর বয়সী লো পেন আগে বলেছিলেন, ২০২৭-এ তিনি শেষবারের মতো লড়বেন। নির্বাচনে দাঁড়াতে না পারলেও লু পেনের পার্লামেন্টারি আসন তাঁরই থাকছে।

সোমবার আদালতে ঢুকতে বা বের হতে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হননি পেন। তবে এর আগে তিনি অভিযোগ করে বলেছিলেন, সরকারি কৌঁসুলিরা তাঁর ‘রাজনৈতিক মৃত্যু’ এবং আরএনকে ক্ষমতা থেকে দূরে রাখতে চাইছে।

দোষী সাব্যস্ত হলেও এখনই সব দণ্ড কার্যকর হচ্ছে না লো পেন এবং অন্যরা আপিলের সুযোগ পাবেন। তবে ফ্রান্সে আপিল আবেদনের সুরাহা হতে কখনো কখনো কয়েক বছরও লেগে যায়।

এ রায়ের ফলে ফ্রান্সের রাজনীতিতে আদালতের হস্তক্ষেপের সীমা নিয়ে আলোচনা নতুন করে চাঙা হবে বলে অনুমান করছেন বিশ্লেষকেরা।

লো পেন না দাঁড়াতে পারলে তাঁর ডান হাত খ্যাত আরএনের প্রেসিডেন্ট ২৯ বছর বয়সী জগদান বাগদেলাই ডানপন্থীদের প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হবেন বলে মনে করা হচ্ছে। তরুণদের মধ্যে তাঁর জনপ্রিয়তা ব্যাপক হলেও পুরো ডানপন্থী অংশের ভোট তিনি পকেটে পুরতে পারবেন কি না, তা নিয়ে অনেকেরই সন্দেহ আছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • দোষী সাব্যস্ত লো পেন, সরকারি দায়িত্ব পালনে ৫ বছরের নিষেধাজ্ঞা