সম্প্রতি জাতীয় দলের নির্বাচকের পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন হান্নান সরকার। আসন্ন ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে (ডিপিএল) আবাহনীর প্রধান কোচ হিসেবে নতুন অধ্যায় শুরু করতে যাচ্ছেন তিনি। তবে কোচিং ক্যারিয়ারের যাত্রা শুরুর আগে, শুক্রবার বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডে (বিসিবি) তার শেষ কর্মদিবস ছিল। বিদায়বেলায় জানালেন তার ক্যারিয়ারের প্রাপ্তি-অপ্রাপ্তির গল্প, যেখানে বিশেষভাবে জড়িয়ে আছেন সাকিব আল হাসান।

কিছুদিন আগে পদত্যাগ প্রসঙ্গে এক সংবাদ সম্মেলনে হান্নান বলেছিলেন, দেশের মাটিতে সাকিবের বিদায়ী টেস্ট না হওয়া তার ক্যারিয়ারের অন্যতম বড় অপূর্ণতা। বিসিবির দায়িত্ব ছাড়ার পর রাতে নিজের ফেসবুক পেজে প্রকাশিত এক ভিডিও বার্তায় সেই একই কথা আরও একবার উল্লেখ করলেন তিনি।

হান্নান জানান, তার প্রাপ্তির তালিকাতেও আছেন সাকিব। তিনি বলেন, ‘সাকিবের সঙ্গে হয়তো কখনো একই দলে খেলার সুযোগ হয়নি। যখন সে ক্যারিয়ার শুরু করে, তখন আমার শেষের দিকের সময়। একই দলে ম্যানেজার বা কোচ হিসেবে কাজ করিনি, কিন্তু নির্বাচক হিসেবে তার সঙ্গে কাজ করার সুযোগ পেয়েছি শেষ এক বছরে। বিদায়ের সময় এটা আমার জন্য বড় প্রাপ্তি।’

তবে সাকিবের সঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতাকে প্রাপ্তি মনে করলেও, তার বিদায়ী টেস্ট মাঠে আয়োজন করতে না পারাকে বড় এক অপূর্ণতা হিসেবে দেখছেন হান্নান। তিনি বলেন, ‘মন চাইলেই বলা যায় না যে, আমাদের একজন নতুন সাকিব আল হাসান চলে আসবে। আমি ৮ বছর বয়সভিত্তিক দলে কাজ করেছি, ১ বছর ছিলাম জাতীয় দলের নির্বাচক। কিন্তু সাকিব আল হাসানের মতো ক্রিকেটার একজনই। তার সঙ্গে এক বছর খুব কাছ থেকে কাজ করার সুযোগ পেয়েছি—এটা যেমন আমার জন্য বড় পাওয়া, তেমনি সবচেয়ে বড় আফসোস, তিনি মাঠ থেকে বিদায় নিতে পারেননি।’

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: হ ন ন ন সরক র স ক ব আল হ স ন ক জ কর

এছাড়াও পড়ুন:

মোবাইল চুরির অভিযোগে শ্রমিক দল নেতাকে পিটিয়ে হত্যা, আটক ৪

লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলায় মোবাইল চুরির অভিযোগে গণপিটুনিতে শ্রমিক দলের এক নেতা নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় চারজনকে আটক করেছে পুলিশ।

গতকাল সোমবার দুপুরে লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতাল থেকে নিহতের লাশ উদ্ধার করা হয়। ময়নাতদন্ত শেষে লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। 

নিহত মো. রাজু (৩৫) সদর উপজেলার চররুহিতা ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ড শ্রমিক দলের দপ্তর সম্পাদক ছিলেন। তিনি সবুজের গোঁজা এলাকার সফিক উল্যা সবুজের ছেলে।

এ ঘটনায় আটক চারজনের মধ্যে দুজনের নাম জানিয়েছে পুলিশ। তারা হলেন- সবুজের গোঁজা এলাকার মো. হারুনের ছেলে কবির হোসেন এবং একই এলাকার নিজাম উদ্দিনের স্ত্রী রেখা বেগম। সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল মোন্নাফ রাত ৮টার দিকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রোববার (৩০ মার্চ) রাত আড়াইটার দিকে সবুজের গোঁজা এলাকায় কাজল কোম্পানির ইটভাটার সামনে রাজুকে গণপিটুনি দেওয়া হয়। অভিযোগ ওঠে, তিনি কবির হোসেনের বাড়িতে ঢুকে মোবাইল চুরি করতে গিয়েছিলেন। এ সময় স্থানীয়রা তাকে মারধর করে। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

নিহত রাজুর পরিবার দাবি করেছে, এটি একটি পরিকল্পিত হত্যা। রাজুর মা নেহার বেগম, ভাই ওহিদ হোসেন, বোন জেসমিন বেগম ও মেয়ে রুবি আক্তার পুলিশের কাছে অভিযোগ করেছেন যে, রাতে রাজুর মোবাইল ফোনের চার্জ শেষ হয়ে গেলে তিনি তার ভাতিজা কবিরের ঘরে চার্জ দিতে যান। এ সময় কবির লোকজন ডেকে এনে রাজুকে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা করে। রাজুর শরীরে টেঁটা ও ইট দিয়ে আঘাত করা হয়, যা তার মৃত্যুর কারণ হয়েছে।

চররুহিতা ইউনিয়ন শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ‘রাজু চুরির সঙ্গে কোনোভাবেই জড়িত ছিলেন না। এটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড হতে পারে।’

সদর মডেল থানার ওসি আব্দুল মোন্নাফ বলেন, রাজুকে চুরির অপবাদ দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। মামলার প্রস্তুতি চলছে। কবির ও রেখাকে আসামি করে মামলা দায়ের করা হবে। আটক অপর দুজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ