সাকিবকে নিয়ে যে আফসোস হান্নান সরকারের
Published: 1st, March 2025 GMT
সম্প্রতি জাতীয় দলের নির্বাচকের পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন হান্নান সরকার। আসন্ন ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে (ডিপিএল) আবাহনীর প্রধান কোচ হিসেবে নতুন অধ্যায় শুরু করতে যাচ্ছেন তিনি। তবে কোচিং ক্যারিয়ারের যাত্রা শুরুর আগে, শুক্রবার বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডে (বিসিবি) তার শেষ কর্মদিবস ছিল। বিদায়বেলায় জানালেন তার ক্যারিয়ারের প্রাপ্তি-অপ্রাপ্তির গল্প, যেখানে বিশেষভাবে জড়িয়ে আছেন সাকিব আল হাসান।
কিছুদিন আগে পদত্যাগ প্রসঙ্গে এক সংবাদ সম্মেলনে হান্নান বলেছিলেন, দেশের মাটিতে সাকিবের বিদায়ী টেস্ট না হওয়া তার ক্যারিয়ারের অন্যতম বড় অপূর্ণতা। বিসিবির দায়িত্ব ছাড়ার পর রাতে নিজের ফেসবুক পেজে প্রকাশিত এক ভিডিও বার্তায় সেই একই কথা আরও একবার উল্লেখ করলেন তিনি।
হান্নান জানান, তার প্রাপ্তির তালিকাতেও আছেন সাকিব। তিনি বলেন, ‘সাকিবের সঙ্গে হয়তো কখনো একই দলে খেলার সুযোগ হয়নি। যখন সে ক্যারিয়ার শুরু করে, তখন আমার শেষের দিকের সময়। একই দলে ম্যানেজার বা কোচ হিসেবে কাজ করিনি, কিন্তু নির্বাচক হিসেবে তার সঙ্গে কাজ করার সুযোগ পেয়েছি শেষ এক বছরে। বিদায়ের সময় এটা আমার জন্য বড় প্রাপ্তি।’
তবে সাকিবের সঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতাকে প্রাপ্তি মনে করলেও, তার বিদায়ী টেস্ট মাঠে আয়োজন করতে না পারাকে বড় এক অপূর্ণতা হিসেবে দেখছেন হান্নান। তিনি বলেন, ‘মন চাইলেই বলা যায় না যে, আমাদের একজন নতুন সাকিব আল হাসান চলে আসবে। আমি ৮ বছর বয়সভিত্তিক দলে কাজ করেছি, ১ বছর ছিলাম জাতীয় দলের নির্বাচক। কিন্তু সাকিব আল হাসানের মতো ক্রিকেটার একজনই। তার সঙ্গে এক বছর খুব কাছ থেকে কাজ করার সুযোগ পেয়েছি—এটা যেমন আমার জন্য বড় পাওয়া, তেমনি সবচেয়ে বড় আফসোস, তিনি মাঠ থেকে বিদায় নিতে পারেননি।’
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: হ ন ন ন সরক র স ক ব আল হ স ন ক জ কর
এছাড়াও পড়ুন:
প্রস্তাবিত স্থান পরিদর্শনে বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক
চীনের অর্থায়নে এক হাজার শয্যার আধুনিক হাসপাতাল নির্মাণের লক্ষ্যে সম্ভাব্য স্থান পরিদর্শন করেছেন রংপুর বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. হারুন অর রশিদ। মঙ্গলবার তিনি নীলফামারী সদর উপজেলার টেক্সটাইল মিলসংলগ্ন জায়গাটিকে ‘প্রথম পছন্দ’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন।
এ সময় জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ নায়িরুজ্জামান, স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক সাইদুল ইসলাম, সিভিল সার্জন ডা. আব্দুর রাজ্জাক, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বিভাগীয় কো-অর্ডিনেটর ডা. জুবায়ের আল মামুন ও জেলা বিএনপির সভাপতি আলমগীর সরকার উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে হাসপাতাল নির্মাণের সিদ্ধান্তের খবরের পর মানুষের মাঝে আনন্দের বন্যা নেমে এসেছে। উচ্ছ্বসিত এ জেলার বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে মিছিলও হয়েছে।
ডা. হারুন অর রশিদ বলেন, উপদেষ্টা মহোদয় রংপুর বিভাগের আশপাশে ১০ থেকে ১২ একরের মধ্যে একটি জায়গা নির্ধারণের নির্দেশ দিয়েছিলেন। এখানে ২০ থেকে ২৫ একর জমি পাওয়া যাবে। ফলে হাসপাতাল নির্মাণের জন্য এটি আরও উপযোগী হয়ে উঠেছে। জেলা প্রশাসক এ জায়গাটির বিষয়ে প্রস্তাব দেন। সার্বিক দিক বিবেচনায় এটি উপযোগী স্থান। এই জায়গা নিয়ে এখন পর্যন্ত কেউ দ্বিমত পোষণ করেননি।
ডা. হারুন অর রশিদ আরও বলেন, নিরাপত্তার দিক থেকে উত্তরবঙ্গের মানুষ অত্যন্ত সহনশীল ও শান্তিপ্রিয়। পাশেই সৈয়দপুর বিমানবন্দর এবং সড়ক পথে অন্যান্য জেলার সঙ্গে সহজ যোগাযোগ ব্যবস্থা এই স্থানটিকে হাসপাতাল নির্মাণের জন্য আরও উপযুক্ত করে তুলেছে।