গার্দিওলার সঙ্গে সমর্থকদের বাজে আচরণে জরিমানা রিয়ালের
Published: 1st, March 2025 GMT
সমর্থকদের বাজে আচরণের দায়ে রিয়াল মাদ্রিদকে ৩০ হাজার ইউরো জরিমানা করেছে ইউরোপীয় ফুটবল সংস্থা উয়েফা। পাশাপাশি সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে আংশিক গ্যালারি নিষেধাজ্ঞাও দেওয়া হয়েছে, যা আপাতত স্থগিত থাকবে। দুই বছরের মধ্যে ঘটনার পুনরাবৃত্তি হলে নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হবে।
উয়েফার শাস্তি বিষয়ক সংবাদবিজ্ঞপ্তিতে কোনো নির্দিষ্ট ঘটনার উল্লেখ না থাকলে এটি পেপ গার্দিওলার সঙ্গে আচরণের জেরে এসেছে জানিয়েছে ইউরোপীয় গণমাধ্যম। গত ২০ ফেব্রুয়ারি বার্নাব্যুতে উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগে রিয়াল মাদ্রিদের মুখোমুখি হয় ম্যানচেস্টার সিটি।
রিয়াল মাদ্রিদের ৩-১ ব্যবধানে জয়ের ম্যাচটিতে সিটি কোচ গার্দিওলাকে উদ্দেশ্য করে কিছু স্লোগান দেন রিয়াল দর্শকদের একাংশ। যা সমকামিতা সংশ্লিষ্ট। এ ঘটনায় তদন্ত শেষে রায় দিয়েছে উয়েফার আপিল বোর্ড।
২০ ফেব্রুয়ারি সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে রিয়াল দর্শকের অন্যতম লক্ষ্যবস্তু ছিলেন পেপ গার্দিওলা।.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
গাড়ির শব্দে বিরক্ত হয় পাখিরা
সাতসকালে বারান্দায় এক কাপ চা নিয়ে দাঁড়ালে দারুণ এক শহরের দেখা মেলে। একটু সময় বাড়লেই দূর থেকে বাড়তে থাকে ট্রাফিকের শব্দ আর গাড়ির হর্ন। কখনো কখনো গাড়ির শব্দে আমাদের মেজাজ বিগড়ে যায়। এমন মেজাজ বিগড়ে যাওয়ার ঘটনা পাখিদের মধ্যেও দেখা যায় বলে জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা।
বিশ্বের নানা প্রান্তে পাখিরা শহরায়ণের কারণে বিরূপ পরিস্থিতির মধ্যে পড়ছে। নতুন এক গবেষণায় দেখা যাচ্ছে, রাস্তাঘাটের গাড়ির অতিরিক্ত শব্দের কারণে পাখিরা বিরক্ত হয়। বিজ্ঞানীরা গ্যালাপাগোসের কিছু পাখির ওপর এই পরীক্ষা চালিয়ে গাড়ির শব্দের প্রভাব জানার চেষ্টা করেছেন। রাস্তাঘাটের গাড়ির শব্দের কারণে অনেক পাখিকে আগ্রাসী আচরণ করতে দেখা যায়। এই রাগের কারণে প্রায়ই কিছু পাখি তাদের প্রতিদ্বন্দ্বীদের সঙ্গে লড়াইয়ে লিপ্ত হয়। গাড়ির শব্দে মেজাজ খিটখিটে হয়ে যায় পাখিদের।
যুক্তরাজ্যের অ্যাঙ্গেলিয়া রাস্কিন ইউনিভার্সিটি (এআরইউ) ও অস্ট্রিয়ার ভিয়েনা বিশ্ববিদ্যালয়ের কনরাড লরেঞ্জ রিসার্চ সেন্টারের গবেষকেরা পাখির এই অদ্ভুত রাগের আচরণ সম্পর্কে তথ্য প্রকাশ করেছেন। পাখিদের আচরণের তথ্য অ্যানিমাল বিহেভিয়ার জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে। গবেষকেরা গান গাওয়া পাখি ইয়েলো ওয়ার্বলারদের ওপর দৃষ্টি দেন। গ্যালাপাগোসে এদের বাস অনেক। এই প্রজাতির উপস্থিতির কারণে গ্যালাপাগোসকে একটি প্রাকৃতিক জীবন্ত পরীক্ষাগার হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
গবেষণার জন্য ফ্লোরিয়ানা ও সান্তা ক্রুজ দ্বীপের ওয়ার্বলারদের আবাসের আশপাশে নজর রাখেন। এসব পাখি বাস করে এমন ৩৮টি স্থানে একটি স্পিকার থেকে রেকর্ড করা গাড়ির শব্দ অনবরত বাড়াতে থাকেন। এসব পাখির বাস নিকটতম রাস্তার সংলগ্ন ছিল বা রাস্তা থেকে কমপক্ষে ১০০ মিটার দূরে ছিল।
গবেষণার ফলাফলে দেখা যায়, রাস্তাসংলগ্ন অঞ্চলে বসবাসকারী পাখিরা নিজেদের রাগ নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না। গাড়ির শব্দ বাড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে তাদের আগ্রাসন স্তর বেড়ে যায়। আবার দেখা যায়, যেসব পাখি রাস্তা থেকে দূরে থাকে, তাদের রাগের মাত্রা কম। বিজ্ঞানী কাগলার আকচে বলেন, পাখিরা নিজের প্রতিরক্ষা হিসেবে গানকে সংকেত হিসেবে ব্যবহার করে। গাড়ির শব্দ পাখির সংকেতকে হস্তক্ষেপ করে। পাখিরা যোগাযোগ বন্ধ করে দেয় গাড়ির শব্দে, আর এতেই রেগে যায় পাখিরা।
গাড়ি শব্দ শুনে রাস্তার ধারের পাখিরা তাদের গানের ফ্রিকোয়েন্সি বাড়িয়ে দেয়। গাড়ির শব্দের চেয়ে নিজেদের শব্দ বেশি জোরে শোনাতে চায় পাখিরা। গাড়ির বিকট শব্দের সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারছে না বলেই শারীরিকভাবে আক্রমণাত্মক ভাব প্রদর্শন করে পাখিরা।
সূত্র: এনডিটিভি