কেশবপুরের প্রিয়া খাতুন এবারও সাইকেলিংয়ে দেশসেরা
Published: 1st, March 2025 GMT
৫৩তম শীতকালীন জাতীয় ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় সাইকেলিংয়ে নারীদের মধ্যে দেশসেরা হয়েছে যশোরের কেশবপুরের প্রিয়া খাতুন। সে কেশবপুরের গড়ভাঙা মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী। এর আগে ৫২তম আসরেও সে প্রথম স্থান অধিকার করেছিল।
২৫ জানুয়ারি থেকে ধারাবাহিকভাবে প্রিয়া ইউনিয়ন, উপজেলা, জেলা, বিভাগ ও অঞ্চল পেরিয়ে সাইকেলিং প্রতিযোগিতায় সেরার কৃতিত্ব অর্জন করেছে। ২৭ ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রামের এম এ আজিজ স্টেডিয়ামে ফাইনালে চ্যাম্পিয়ন হয় প্রিয়া। তার হাতে ট্রফি তুলে দেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র শাহাদাত হোসেন। পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন চট্টগ্রাম মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ইলিয়াস উদ্দিন আহমেদ।
গতকাল শুক্রবার সকালে চট্টগ্রাম থেকে কেশবপুরে এসে পৌঁছায় প্রিয়া খাতুন। তখন তাকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান এলাকার মানুষ।
গড়ভাঙা মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সুপ্রভাত বসু বলেন, ‘প্রিয়ার সাফল্যে আমরা গর্বিত।’ ক্রীড়া শিক্ষক শহিদুল ইসলাম বলেন, কঠোর অনুশীলন ও একাগ্রতা প্রিয়াকে সাফল্যের শেষ চূড়ায় পৌঁছে দিয়েছে।
গরিব পরিবারের সন্তান প্রিয়া খাতুন ছোটবেলা থেকেই খেলাধুলার প্রতি প্রচণ্ড রকমের আগ্রহী। সব খেলাতে সে পারদর্শী। তবে সাইকেলের প্রতি তার আগ্রহটা বেশি। সে কারণে ছোটবেলা থেকেই সে গ্রামে সাইকেল নিয়ে দাপিয়ে বেড়ায়। সেই সাইকেলিংয়ে এখন সে দেশসেরা। প্রিয়ার মা লাকি বেগম সন্তানের সাফল্যে খুবই খুশি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাকির হোসেন প্রিয়া খাতুনকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, প্রিয়ার সাফল্যে কেশবপুরবাসী গর্বিত। গড়ভাঙা মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় ক্রীড়াঙ্গনে সাফল্যের স্বাক্ষর রেখে প্রমাণ করেছে গ্রামের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হয়েও যদি ইচ্ছা শক্তি থাকে তাহলে অবশ্যই সেরা হওয়া যায়।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
দ্রব্যমূল্য নানাভাবে নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছি: প্রাণিসম্পদ উপদেষ্ট
দ্রব্যমূল্য নিয়ে মানুষ কষ্টে আছে স্বীকার করে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার জানিয়েছেন তারা নানাভাবে দাম নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করছেন। তিনি বলেন, ‘‘বাজার পরিস্থিতি নিয়ে মানুষের কষ্ট আছে। আমরা দ্রব্যমূল্য নানাভাবে নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করছি। আমরা মনে করি, শুধু শাস্তি দিয়ে বা অভিযান চালিয়ে এ ধরনের নিয়ন্ত্রণে আনা যায় না। আরেকটা বিষয় হচ্ছে, আমরা উদ্যোগ নিয়ে করতে পারি, সেটাও প্রমাণ হয়েছে।’’
রমজানে বাজার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে তিনি বলেন, ‘‘খামারিদের উৎপাদিত পণ্য ভোক্তা পর্যন্ত আনতে হাত বদলের কারণে যে দাম বাড়ে, সেখান থেকে যদি আমরা বের হতে চাই, তাহলে আমাদের কিছু প্রক্রিয়া রাখতে হবে। সেই জন্য সুলভ মূল্যে ডিম, দুধ, মুরগি ও গরুর মাংস বিক্রি করা হচ্ছে। এটা ভর্তুকির বিষয় না। আসল খরচে আমরা করছি। রোজার মাসে মাছের চেয়ে মাংসের চাহিদা বেশি থাকে। সেই কারণে এ তালিকায় মাছ রাখা হয়নি।’’
সরকারের পক্ষ থেকে ঢাকা শহর এবং বিভিন্ন জেলায় প্রতিদিন সুলভমূল্যে ডিম, দুধ, মুরগি ও গরুর মাংস বিক্রি করা হচ্ছে।
আরো পড়ুন:
রোজার নিয়ত ও সাহরির মাসয়ালা
নোয়াখালীর ৪ গ্রামে রোজা শুরু
শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে টাঙ্গাইলে জেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তরের উদ্যোগে আয়োজিত সুলভ মূল্যে দুধ, ডিম ও মাংস বিক্রির উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেন, ‘‘বর্তমানে বাজারের যে চাহিদা, এটা কোনোভাবে সব চাহিদা পূরণ করা সম্ভব না। কিন্তু আমরা এটা করতে পারি, যে জরুরি প্রয়োজনীয় ডিম, দুধ, মাংসসহ যেগুলো রমজান মাসে বেশি চাহিদা থাকে; সেইগুলো যদি আমরা কম দামে বিক্রি করে দেখাতে পারি, তাহলে ব্যবসায়ীদের কাছে একটা ম্যাসেজ চলে যাবে।’’
শিক্ষার্থীদের নতুন সংগঠনের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘‘জুলাই আন্দোলনে যারা অংশ নিয়েছিল, যারা নেতৃত্ব দিয়েছিল; তাদের অবদানও তো আমাদের স্বীকার করতেই হবে। তারা একটা নতুন বাংলাদেশ দিয়েছে। রাজনৈতিক যে পরিস্থিতি, তাতে নতুন চিন্তা, নতুন ধারণা আসুক। তাদের যদি ভুলভ্রান্তি থাকে, সেটা দেখা যাবে। এই দল করা এটা ভুল কিছু না। এটা আগামী নির্বাচনের আগে একটা নতুন মাত্রা যোগ করবে।’’
এ সময় উপস্থিত ছিলেন ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক আব্দুল্যাহ আল মামুন, পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সোহেল রানা, জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান, টাঙ্গাইল প্রেস ক্লাবের সভাপতি জাফর আহমেদ প্রমুখ।
টাঙ্গাইলে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে সপ্তাহে এক দিন ৬৫০ টাকা দরে ১০০ কেজি করে গরুর মাংস বিক্রি করা হবে। এছাড়াও পাঁচ দিন ৮০ টাকা লিটার দরে দুধ, ১১৪ টাকা ডজন ডিম, ২৫০ টাকা কেজি ড্রেসিং করা ব্রয়লার মুরগি বিক্রি করা হবে।
ঢাকা/কাওছার/বকুল