সালমা বেগম স্মৃতি পাঠাগার ফুটবল টুর্নামেন্টে নয়ানগর ইউনাইটেড চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। শুক্রবার নারায়ণগঞ্জ বন্দর কল্যান্দী পিয়ার সাত্তার লতিফ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে শিরোপা লড়াইয়ে তারা ১-০ গোলে নুরুল ইসলাম স্মৃতি পাঠাগারকে পরাজিত করে। প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ফাইনালে ম্যাচের ৫ মিনিটে জয়সূচক গোল করেন হাসান। 

খেলা শেষে প্রধান অতিথি হিসেবে পুরস্কার বিতরণ করেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের অতিরিক্ত কর কমিশনার মর্তুজা শরিফুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি ছিলেন সহকারী কর কমিশনার জহিরুল ইসলাম খান ও পাপ্পু আহমেদ। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সালমা বেগম স্মৃতি পাঠাগারের সভাপতি মোস্তফা সাইফুল ইসলাম বাদল।

 চ্যাম্পিয়ন ও রানার্সআপ উভয় দলকে যথাক্রমে ৩২ ও ২৪ ইঞ্চি টেলিভিশন পুরস্কার দেওয়া হয়। এছাড়া ব্যক্তিগত নৈপুণ্যে দেখিয়ে টুর্নামেন্টের সেরা খেলোয়াড় হয়েছেন জয়ী দলের হাসান। উল্লেখ্য এ টুনামেন্টে জেলার ২০টি দল অংশগ্রহণ করে।
 

.

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: ফ টবল ন র য়ণগঞ জ ল ইসল ম

এছাড়াও পড়ুন:

পেরেক-গাঁথা কাঠ দিয়ে পেটানো হয় দুজনকে

অস্ত্রের মুখে দুজনকে অপহরণের পর নিয়ে যাওয়া হয় গহিন পাহাড়ে। এরপর সেখানে তাঁদের পেরেক-গাঁথা কাঠ দিয়ে পেটানো হয়। অপহরণকারীরা সেই নির্যাতনের ভিডিও আবার পাঠিয়েছেন অপহৃতদের পরিবারের কাছে। কক্সবাজারের টেকনাফে ঘটেছে এমন ঘটনা।

নির্যাতনের শিকার দুজনের নাম আহমদ উল্লাহ (৪৮) ও জসিম উদ্দিন (১৮)। গতকাল শুক্রবার বিকেলে দুজন অপহরণকারীদের কাছ থেকে ছাড়া পান। তাঁদের জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এর আগে গত মঙ্গলবার সকালে টেকনাফের বাহারছড়া ইউনিয়নের জাহাজপুরার পাহাড়ি এলাকা থেকে তাঁদের অপহরণ করা হয়। দুজন ওই এলাকারই বাসিন্দা।

ওই দুই ব্যক্তি অপহরণকারীদের মুক্তিপণ দিয়ে ছাড়া পেয়েছেন বলে তাঁদের পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। যদিও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী জানিয়েছে, মুক্তিপণ আদায় করার বিষয়ে তাঁরা অবহিত নন।

ভুক্তভোগী আহমদ উল্লাহ প্রথম আলোকে মুঠোফোনে বলেন, পাহাড়ে গরু চরাতে গিয়ে তাঁরা দুজন অপহরণের শিকার হন। অপহরণকারীরা চার দিন তাঁদের পানি ছাড়া কিছুই খেতে দেননি। দফায় দফায় তাঁদের ওপর নির্যাতন চালানো হয়েছে। সেই নির্যাতনের ভিডিও ধারণ করে পরিবারের কাছে পাঠানো হয়।

স্থানীয় ইউপি সদস্য রফিকুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, দুজন অপহৃত হওয়ার পর গত বুধবার তাঁদের স্বজনদের কাছে ২৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়। পরে ৭ লাখ টাকা মুক্তিপণ আদায় করে দুজনকে ছাড়া হয়েছে। তাঁদের মধ্যে আহমদ উল্লাহর স্বজনেরা ৬ লাখ টাকা দেন। জসিম উদ্দিনের স্বজনেরা ১ লাখ টাকা মুক্তিপণ দেন। তবে মুক্তিপণের টাকা কোথায়, কীভাবে দেওয়া হয়েছে এসব বিষয়ে কোনো তথ্য স্বজনেরা জানাননি।

রফিকুল ইসলাম আরও বলেন, মুক্তিপণ আদায়ের পর অপহৃত দুজনকে জাহাজপুরার পাহাড়ি এলাকায় ছেড়ে দেওয়া হয়। তাঁদের সারা শরীরে নির্যাতনের জখম ছিল। পরিবারের সদস্যরা তাঁদের হাসপাতালে নিয়ে যান।

জানতে চাইলে টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন জানান, মুক্তিপণ আদায়ের বিষয়ে পুলিশ অবহিত নয়। তবে অপহৃত দুই কৃষকের ফিরে আসার কথা স্থানীয় ব্যক্তিদের মাধ্যমে শুনেছেন। ঘটনার বিষয়ে ভুক্তভোগীদের পরিবারের কাছ থেকে কোনো ধরনের অভিযোগ পাওয়া যায়নি।

সম্পর্কিত নিবন্ধ