সানবিডি২৪ এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

রাজনৈতিক ও নির্বাচনী অঙ্গনকে পরিচ্ছন্ন করতে দুর্নীতিগ্রস্ত ও দুর্বৃত্তদের নিষিদ্ধ করতে হবে। এটি করা গেলে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব বলে মন্তব্য করেছেন সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার।

শনিবার (১ মার্চ) দুপুরে মানিক মিয়া এভিনিউতে সংগঠনটির এক মানববন্ধনে এ কথা বলেন তিনি।

তিনি বলেন, ইউএসএআইডি’র ২৯ মিলিয়ন ডলারের সাথে সুজনের কোনো সম্পর্ক নেই। সুজনের বিরুদ্ধে অভিযোগটি সম্পূর্ণ মিথ্যা। বিদেশিদের থেকে কোনো রকম সহায়তা নিতে পারে না সংগঠনটি সুজন। এ সময় শেখ হাসিনার স্বৈরাচার হওয়া ঠেকাতে সংস্কার কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়ন দরকার বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

মানববন্ধনে অন্যান্য বক্তারা বলেন, দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়ন এবং গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র গঠনের জন্য প্রয়োজনীয় সংস্কার করতে হবে। এজন্য সরকারকে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে হবে।

এম জি

.

উৎস: SunBD 24

এছাড়াও পড়ুন:

অস্ত্রবিরতির ঘোষণা পিকেকের, থামছে ৪০ বছরের সংঘাত

তুরস্কে নিষিদ্ধঘোষিত সংগঠন কুর্দিস্তান ওয়ার্কার্স পার্টি (পিকেকে) তুরস্ক সরকারের সঙ্গে অস্ত্রবিরতির ঘোষণা দিয়েছে। আজ শনিবারের এ ঘোষণার মধ্য দিয়ে সশস্ত্র এ সংগঠন এবং তুরস্কের সামরিক বাহিনীর ৪০ বছর ধরে চলা সংঘাতের ইতি ঘটতে যাচ্ছে।

গত বৃহস্পতিবার পিকেকের কারাবন্দী নেতা আবদুল্লাহ ওজালান তাঁর সংগঠনের সদস্যদের প্রতি অস্ত্র সমর্পণের আহ্বান জানান। পাশাপাশি সংগঠনটিকে বিলুপ্ত ঘোষণা এবং তুর্কি সরকারের সঙ্গে তাদের দীর্ঘদিনের সংঘাতের ইতি টানারও আহ্বান জানান তিনি। এর দুই দিন পর তুরস্ক সরকারের সঙ্গে অস্ত্রবিরতির ঘোষণা দিল পিকেকে।

ইরাকের উত্তরাঞ্চল থেকে কার্যক্রম পরিচালনা করে পিকেকে। গতকাল অস্ত্রবিরতির ঘোষণা দিয়ে পিকেকের নির্বাহী কমিটি এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘শান্তি ও গণতান্ত্রিক সমাজ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে আমাদের নেতা ওজালানের আহ্বান কার্যকরের উদ্দেশে আমরা অস্ত্রবিরতির ঘোষণা দিচ্ছি। আজ থেকে এ অস্ত্রবিরতি কার্যকর হবে।’

ওজালানের আহ্বান মেনে অস্ত্রবিরতির এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে জানিয়ে বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘আমরা তাঁর আহ্বানের সঙ্গে একমত। আমরা অস্ত্রবিরতি মানব ও কার্যকর করব। যদি আমাদের ওপর হামলা না হয়, তাহলে আমাদের যোদ্ধারা আর কোনো ধরনের সশস্ত্র তৎপরতা চালাব না।’

তুরস্ক, যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) পিকেকেকে একটি সন্ত্রাসী সংগঠনের তকমা দিয়েছে। তুরস্কের সাড়ে আট কোটি জনসংখ্যার মধ্যে ২০ শতাংশ কুর্দি। এই কুর্দিদের জন্য পৃথক রাষ্ট্র গঠনের লক্ষ্যে ১৯৮৪ সালে সশস্ত্র লড়াই শুরু করে পিকেকে। তবে সাম্প্রতিক সময়ে স্বাধীনতার দাবি ছেড়ে আরও বেশি স্বায়ত্তশাসন এবং সাংস্কৃতিক ও ভাষাগত অধিকারের দাবির কথা বলছে সংগঠনটি।

১৯৯৯ সাল থেকে ইস্তাম্বুলের অদূরে একটি দ্বীপ এলাকার কারাগারে বন্দী আছেন পিকেকের প্রধান আবদুল্লাহ ওজালান। এরপর থেকে চার দশক ধরে চলা এই সংঘাত বন্ধে একাধিকার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত কোনো পদক্ষেপই আলোর মুখে দেখেনি। উল্লেখ্য, এই সংঘাতে ৪০ হাজারের বেশি মানুষের প্রাণহানি হয়েছে।

গত বৃহস্পতিবার কুর্দিপন্থী ডিইএম পার্টির আইনপ্রণেতাদের একটি প্রতিনিধিদল কারাবন্দী ওজালানের সঙ্গে দেখা করে। এরপর ওজালান তাঁর সংগঠনের সদস্যদের উদ্দেশে একটি বিবৃতি দেন। বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘আমি অস্ত্র সমর্পণের আহ্বান জানাচ্ছি এবং আমি এই আহ্বানের ঐতিহাসিক দায় নিচ্ছি। আপনারা (দলের) সম্মেলন করুন এবং সিদ্ধান্ত নিন। সংগঠনের সবাইকে অবশ্যই অস্ত্র সমর্পণ করতে হবে। পিকেকেকে অবশ্যই বিলুপ্ত করতে হবে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • অস্ত্রবিরতির ঘোষণা পিকেকের, থামছে ৪০ বছরের সংঘাত
  • মুন্সিগঞ্জে নিখোঁজ ব্যক্তির সন্ধান চেয়ে মানববন্ধন, থানা ফটকে বিক্ষোভ
  • নেত্রকোনায় ফসল রক্ষা বাঁধ সংস্কারকাজে অনিয়মের প্রতিবাদে মানববন্ধন
  • নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস সরবরাহে সরকারকে ৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটাম
  • খাদ্যে ভেজালকারীদের শাস্তি দাবি
  • ফতুল্লায় কাস্টমস কর্মকর্তার শাস্তির দাবিতে ঝাড়ু মিছিল, মানববন্ধন
  • দুর্ঘটনায় চবি ছাত্রীর মৃত্যু: বিচার ও নিরাপদ সড়কের দাবিতে মানববন্
  • আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ‘সন্তোষজনক’ হলে মধ্যরাতে ব্রিফিং কেন
  • গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির শুনানিতে তীব্র বিরোধিতা, হট্টগোল