রূপগঞ্জে ওভার টাইমের বকেয়া টাকা পরিশোধের দাবিতে ইনফিউশন লিমিটেড নামের একটি স্যালাইন কারখানায় শ্রমিক অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। শনিবার (১ মার্চ) উপজেলার মৈকুলি এলাকায় ঢাকা সিলেট মহাসড়ক সংলগ্ন অবস্থিত স্যালাইন তৈরীর কারখানাটিতে সকাল থেকে শ্রমিকদের মাঝে এই অসন্তোষ দেখা যায়। 

পাওনা টাকা পরিশোধ এবং সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট বিনয় কৃষ্ণ বাড়ৌইকে অপসারণের দাবিতে বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা কারখানার মূল ফটকের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেন।

শ্রমিকরা অভিযোগ করে জানান, মৈকুলি এলাকায় অবস্থিত অরিয়ন ইনফিউশন লিমিটেড নামের একটি স্যালাইন কারখানায় সাড়ে ৩ শতাধিক শ্রমিক কাজ করেন। এর মধ্যে ২৮০ জন পুরুষ শ্রমিক, ২০ জন নারী শ্রমিক ও ৫০ জন স্টাফ কাজ করেন। শ্রমিকদের ৯ মাসের ওবারটাইম, ২০ সালের বোনাস ও ২৪ সালের বোনাস বকেয়া রয়েছে। 

বেশ কিছুদিন ধরে বকেয়া ওভারটাইম ও বোনাস পরিশোধ করার জন্যে মালিক পক্ষের কাছে দাবি জানিয়ে আসছে শ্রমিকরা। কিন্তু মালিক পক্ষ দেই দিচ্ছি করে নানা ধরনের টালবাহানা করছে। এছাড়া কারখানার সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট বিনয় কৃষ্ণ বাড়ৌই শ্রমিকদের নানাভাবে মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন করে আসছে। এসবের প্রতিবাদ করলেই প্রতিবাদী শ্রমিকদের কারখানা থেকে বের করে দেয়া হয়।

শনিবার সকালে শ্রমিকরা মালিকপক্ষের কাছে তাদের বকেয়া পাওনা টাকা পরিশোধ করতে বলেন। তখন মালিকপক্ষ কোন প্রকার সমস্যার সমাধান না করে শ্রমিকদের হুমকি শুরু কথা বলেন। এরপরে শ্রমিকরা উত্তেজিত হয়ে কারখানার সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পরিদর্শন করেন পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা ।

রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) লিয়াকত আলী বলেন, মালিক ও শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা চলছে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।
 

.

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: র পগঞ জ ন র য়ণগঞ জ পর শ ধ অবস থ

এছাড়াও পড়ুন:

গজারিয়ায় নদীতে পড়ে নিখোঁজ নৌযান শ্রমিকের মরদেহ উদ্ধার

মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ার মেঘনা নদী থেকে নিখোঁজের তিন দিন পর আতাবর (৬৫) নামের এক নৌযান শ্রমিকের মরদেহ উদ্ধার করেছে স্থানীয়রা। মঙ্গলবার সকাল ১১টার দিকে উপজেলার হোসেন্দী ইউনিয়নের চর বলাকী গ্রামসংলগ্ন নদী থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

এর আগে রবিবার বিকাল ৫টার দিকে উপজেলার বালুয়াকান্দি ইউনিয়নের তেতৈতলা পুরাতন ফেরিঘাট এলাকায় নোঙর করা একটি বাল্কহেড থেকে নদীতে পড়ে গিয়ে নিখোঁজ হন তিনি। নিহত আতাবর ঢাকার ধামরাই উপজেলার ফুলতলা গ্রামের বাসিন্দা। তিনি এমভি এস.এম. এন্টারপ্রাইজ নামক বাল্কহেডে লস্কর হিসেবে কর্মরত ছিলেন।

প্রত্যক্ষদর্শী নৌযান শ্রমিক নূর ইসলাম জানান, রবিবার বিকেলে পাথর খালাস শেষে তেতৈতলা পুরাতন ফেরিঘাট এলাকায় বাল্কহেডটি নোঙর করে রাখা হয়। ডেকে দাঁড়িয়ে থাকা অবস্থায় পেছন থেকে আরেকটি বাল্কহেড — এমভি তোহা এন্টারপ্রাইজ — ধাক্কা দিলে আতাবর মাথায় আঘাত পেয়ে ছিটকে নদীতে পড়ে যান। সঙ্গে সঙ্গে খোঁজাখুঁজি শুরু হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।

গজারিয়া নৌ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মাহবুব আলম জানান, স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে মঙ্গলবার সকালে মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ