বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের আওতাধীন পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ‘শিক্ষানবিশ লাইনম্যান’ পদের নির্বাচনী (লিখিত এমসিকিউ) পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছে। এতে প্রাথমিকভাবে ২ হাজার ৪৭৪ জন উত্তীর্ণ হয়েছেন। পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের ওয়েবসাইটে দেওয়া এক বিজ্ঞপ্তি এই ফল ও নির্দেশনা প্রকাশ করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ‘শিক্ষানবিশ লাইনম্যান’ পদে লোকবল নিয়োগের জন্য গতকাল লিখিত (এমসিকিউ) পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রাথমিকভাবে মোট ২ হাজার ৪৭৪ জন প্রার্থী উত্তীর্ণ হয়েছেন।

প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত প্রার্থীদের ১৪ মার্চ পরবর্তী পরীক্ষায় অংশ নিতে হবে। ওই দিন মিরপুর বাংলা স্কুল অ্যান্ড কলেজ (বালক শাখা) সেকশন-১১, পল্লবী, মিরপুর, ঢাকায় সকাল ১০টা থেকে এই পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।

এই পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য নির্বাচিত প্রার্থীদের বরাবর পৃথক কোনো প্রবেশপত্র ইস্যু করা হবে না। লিখিত পরীক্ষার প্রবেশপত্র ও কালো কালির বলপয়েন্ট অবশ্যই সঙ্গে আনতে হবে। প্রবেশপত্র ছাড়া কোনো প্রার্থীকে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে দেওয়া হবে না। এর আগে ইস্যুকৃত প্রবেশপত্রের নির্দেশনাবলি যথাযথভাবে প্রতিপালন করতে হবে।

আরও পড়ুনকারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরে বিশাল নিয়োগ, সংশোধিত পদ ৭৫১৮ ঘণ্টা আগে

লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীদের তালিকা এই লিংকে দেখা যাবে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: পর ক ষ

এছাড়াও পড়ুন:

গুজরাটে আতশবাজি কারখানায় বিস্ফোরণ, নিহত ১৮

ভারতের গুজরাটের একটি আতশবাজির কারখানা ও গোডাউনে বিস্ফোরণের ঘটনায় অন্তত ১৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। বিস্ফোরণের তীব্রতা এতটাই ছিল যে তার ফলে ভবনের একাংশ ভেঙে পড়ে। সূত্র- বিবিসি বাংলা

গুজরাটের পুলিশ বলছে, মঙ্গলবার সকালে গুজরাটের বনাসকাণ্ঠা জেলার ডীসা শহরে আতশবাজির কারখানায় হঠাৎই বিস্ফোরণ হয়।

বনাসকাণ্ঠা জেলার পুলিশ সুপার অক্ষয়রাজ মাকওয়ানা বলেন, খবর পাওয়া মাত্রই স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে উদ্ধারের কাজ শুরু করা হয়। ধ্বংসস্তূপ সরিয়ে এখনও পর্যন্ত ১৮ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

পুলিশ জানিয়েছে, যে সময় ঘটনাটি ঘটে সে সময় ঘটনাস্থলে কারখানার শ্রমিকেরা ছাড়াও তাদের পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

গোডাউনের একাংশেই শ্রমিকেরা তাদের পরিবার নিয়ে বসবাস করতেন। বিস্ফোরণে ভবনের একাংশ ভেঙে পড়ায় ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে যান উপস্থিতদের অনেকেই।

পুলিশের ওই কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ভবনের একটি স্ল্যাব ধসে পড়ায় প্রাণ হারিয়েছেন বহু মানুষ। নিহতরা মধ্য প্রদেশের বাসিন্দা ছিলেন।

তিনি বলেন, এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। আমরা তদন্ত করছি, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এ ঘটনায় শোক জানিয়েছেন গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ভুপেন্দ্র প্যাটেল। নিহতের পরিবারের জন্য ক্ষতিপূরণেরও ঘোষণা করেছেন তিনি। 

বনাসকাণ্ঠা জেলার কালেক্টর মিহির প্যাটেল বলেন, তীব্র বিস্ফোরণে কারখানার আরসিসি স্ল্যাব ধসে পড়েছে। জেসিবি মেশিনের মাধ্যমে ধ্বংসাবশেষ সরানোর কাজ শুরু হয়।

প্রাথমিকভাবে খবর পাওয়া গেছে, বাজি তৈরির কাজ চলার সময়ই বিস্ফোরণ ঘটে।

স্থানীয়রা বাসিন্দারা জানিয়েছেন, যে সময় ঘটনাটি ঘটে সেই সময় কারখানায় কাজ হচ্ছিল।

হঠাৎ বিকট আওয়াজ শুনতে পান স্থানীয় বাসিন্দারা। মুহূর্তে ছোটাছুটি শুরু হয়ে যায়। চারিদিক থেকে চিৎকার শোনা যাচ্ছিল।

একজন স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, যে সময় ঘটনাটি ঘটে তখন ভেতরে কাজ চলছিল। কমপক্ষে ৩৫ জন ছিলেন সেখানে। ধ্বংসস্তূপের নিচে অনেকে আটকে থাকতে পারেন বলে আশঙ্কা করছি।

তবে ওই কারখানায় ঘটনার সময় ঠিক কতজন উপস্থিত ছিলেন, সে বিষয়ে নিশ্চিতভাবে কিছু বলতে পারেননি কর্মকর্তারা।

সম্পর্কিত নিবন্ধ