পাবনায় সড়কে গাছ ফেলে অন্তত ১০টি গাড়িতে ডাকাতি
Published: 1st, March 2025 GMT
পাবনার সাঁথিয়া উপজেলার বেড়া-সাঁথিয়া আঞ্চলিক মহাসড়কের তলট এলাকায় গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাত একটার দিকে গাছ ফেলে অন্তত ১০টি গাড়িতে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। ডাকাতদের মারধরে অন্তত পাঁচজন আহত হয়েছেন বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, গতকাল রাত একটার দিকে তলট বাজার থেকে কিছুটা দূরে ছেঁচানিয়া সেতুর কাছে গাছ কেটে সড়কের ওপর ফেলে রাখে ডাকাতরা। তারা প্রথমে একটি পণ্যবাহী ট্রাক আটকে রাখে। এতে কিছু সময়ের মধ্যেই বাস, ট্রাক, প্রাইভেট কার, মাইক্রোবাসসহ প্রায় ৪০টি গাড়ি আটকে পড়ে। ডাকাত দলে ১০ থেকে ১৫ জন সদস্য ছিল বলে প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি।
ডাকাতেরা হাঁসুয়া, রামদা, ছুরি, চাকুসহ বিভিন্ন অস্ত্র নিয়ে পর্যায়ক্রমে গাড়িগুলোতে হানা দেয়। অন্তত ১০টি গাড়িতে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। গাড়ির দরজা খুলতে দেরি করায় কিছু গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। পাশাপাশি যাত্রীদের মারধর করা হয়। এ সময় পরিবহনশ্রমিক ও যাত্রীদের সঙ্গে থাকা মুঠোফোন, টাকা ও অন্যান্য মূল্যবান সামগ্রী লুট করে নিয়ে যায় ডাকাত দল। ঘণ্টাব্যাপী লুট চালায় ডাকাত দল।
ডাকাতির কবলে পড়া সাঁথিয়ার দৌলতপুর গ্রামের তোফাজ্জল হোসেন বলেন, ‘রাত একটার দিকে বেড়া বাসস্ট্যান্ড থেকে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় সাঁথিয়ায় যাওয়ার পথে দেখি, ডাকাতেরা গাছ ফেলে সড়ক বন্ধ করে রেখেছে। আমাদের অটোরিকশা আটকে গেলে তারা আমার কাছে এসে মারধর করে। টাকা ও মোবাইল ফোন কেড়ে নেয়। বিদেশগামী একটি মাইক্রোবাস এলে ডাকাতেরা গাড়িটি থামিয়ে তাদের কাছ থেকে সব কিছু কেড়ে নেয়। ডাকাতদের অস্ত্রের কোপে ওই গাড়ির কয়েকজন আহত হন। আমি সেখানে পাঁচ থেকে ছয়টি গাড়িতে ডাকাতি হতে দেখেছি। পরে পুলিশ এলে ডাকাতেরা পালিয়ে যায়।’
আবদুস সালাম নামের এক ইসলামি বক্তা ফেসবুকে এক ভিডিও বক্তব্যে বলেছেন, ‘কিছুক্ষণ আগে এই সড়কে দুর্ধর্ষ ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। সড়কে গাছের গুঁড়ি ফেলে গাড়িগুলোতে ডাকাতি করেছে। আমাদের গাড়িতে আক্রমণ করে ডাকাত দলের সদস্যরা।’
এ ব্যাপারে সাঁথিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সাইদুর রহমান বলেন, ‘খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই আমরা ঘটনাস্থলে পৌঁছাই। আমাদের উপস্থিতি টের পেয়ে ডাকাতেরা পালিয়ে যায়। তবে সেখানে যতগুলো গাড়ির ডাকাতির কথা বলা হচ্ছে, তা সঠিক নয়। সেখানে প্রকৃতপক্ষে তিন থেকে চারটি গাড়িতে ডাকাতি হয়েছে। আমরা ডাকাতদের ধরার চেষ্টা করছি।’
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ড ক ত দল
এছাড়াও পড়ুন:
সামনের দশকেই শিরোপা জেতবে আফগানরা: স্টেইন
আইসিসি ইভেন্টে আফগানিস্তান সাম্প্রতিক সময়ে বেশ নজরকাড়া পারফরম্যান্স করছে। যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটি বাংলাদেশের অনেক পরে ক্রিকেট শুরু করেও এগিয়ে গিয়েছে অনেক। হাশমতউল্লাহ শহীদির নেতৃত্বাধীন দলটি ২০২৩ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপে ইংল্যান্ড, পাকিস্তান এবং শ্রীলঙ্কাকে পরাজিত করে রাউন্ড-রবিন পর্ব থেকে সেমিফাইনালে উঠার দৌড়ে ছিল।
এবারের আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফির সেমি ফাইনালের দৌড়ে এখনও কাগজে কলমে টিকে আছে দলটি। যদিও নেট রান রেটের হিসেব বলছে তাদের পক্ষে সেমি ফাইনাল খেলা সম্ভব নয়। পরপর দুবার আইসিসির বৈশ্বিক ওয়ানডে আসরে খুব কাছে গিয়েও সেমি ফাইনালে উঠতে ব্যর্থ হয় তারা।
আরো পড়ুন:
বাংলাদেশের বিপক্ষে নামছেন সাকিব!
ব্যর্থ মিশন শেষে দেশে ফিরলেরন শান্ত-মুশফিকরা
তবে আফগানদের আগামীতে উজ্জ্বল ভবিষ্যত দেখছেন সাবেক তারকা ক্রিকেটাররা। কদিন আগেই বাংলাদেশ তো বটেই এমনকি পাকিস্তানের মতো পরাশক্তিকেও আফগানদের দেখে ক্রিকেট শিখতে বলেছেন ইংল্যান্ডের সাবেক অধিনায়ক নাসের হুসেইন। এবার দক্ষিণ আফ্রিকার কিংবদন্তি পেসার ডেল স্টেইন বলেছেন সামনের দশকের মাঝেই আইসিসির বৈশ্বিক শিরোপা জিতবে আফগানরা।
স্টেইন আফগানিস্তানের সাম্প্রতিক পারফরম্যান্স নিয়ে মন্তব্য করেছেন ক্রিকেটভিত্তিক ওয়েবসাইট ইএসপিএনক্রিকইনফোতে। প্রোটিয়াদের হয়ে আন্ত্ররজাতিক ক্রিকেটে ৬৯৯ উইকেটের মালিক বলেছেন যে আফগানদের আরও ধৈর্য্য শেখা প্রয়োজন। যখন তাদের পরিকল্পনা অনুসারে কিছু ঘটে না, তখন অনেক সময়ই মাঠে তারা অস্থির হয়ে ওঠে। কিংবদন্তি এই গতিতারকা আরও যোগ করেছেন যে, যদি তারা ধৈর্য্যের কৌশল শিখে ফেলে, তবে আগামী দশ বছরের মাঝেই তারা একটি আইসিসি টুর্নামেন্ট জিততে পারবে।
স্টেইন বলে, “আমরা এখন এমন একটি সময়ে আছি যেখানে মানুষ ধৈর্য্য হারিয়ে ফেলেছে। আমরা দুই সেকেন্ডের একটি ইনস্টাগ্রাম স্টোরি দেখা ছাড়া কিছুই সহ্য করতে পারি না, এবং আফগানিস্তানের খেলোয়াড়দেরও মাঠে খেলতে গিয়ে ঠিক তেমনই মনে হয়। ধৈর্য্য হল আফগানিস্তানের খেলোয়াড়দের শেখার সবচেয়ে বড় বিষয়। একবার যদি তারা এটা শিখে নেয়, তবে সাচ্ছন্দ্যে আগামী দশ বছরে তারা আইসিসি টুর্নামেন্ট জয় করতে পারবে।”
“তারা চায় সব কিছু দ্রুত ঘটুক। এই বলটা একটা উইকেট হতে হবে, উইকেট নেওয়ার জন্য ধৈর্য্য নেই। ব্যাটসম্যানরাও অনেক সময় প্রথম ওভারে আক্রমণাত্বক ব্যাটিং করতে থাকে। ক্রিজে অনেক বেশি নড়াচড়া করে। তারা ছক্কা মারতে চায় এবং খেলায় দ্রুত নিয়ন্ত্রণ নিতে চায়।”- যোগ করেন স্টেইন।
উল্লেখ্য আফগানিস্তান ২০২৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে রশিদ খান নেতৃত্বে সেমিফাইনালে পৌঁছেছিল।
ঢাকা/নাভিদ