খুলনার রূপসা উপজেলায় পাওনা টাকা চাইতে গিয়ে হামলার শিকার হয়ে এক মাংস ব্যবসায়ী নিহত হয়েছেন। গতকাল শুক্রবার রাতে উপজেলার সেনের বাজার এলাকায় হামলার ঘটনাটি ঘটে। পরে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়।

ওই ব্যবসায়ীর নাম আরিফ (২৬)। তিনি খুলনা সদরের মোহাম্মদ আলীর ছেলে। এ ঘটনায় শাহীন নামের আরেক মাংস বিক্রেতা আহত হয়েছেন। তিনি খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দাদের সূত্রে জানা গেছে, খুলনার গল্লামারী এলাকায় মাংসের ব্যবসা করেন আরিফ। তিনি পাওনা টাকা চাইতে গতকাল সন্ধ্যার দিকে রূপসার সেনের বাজার এলাকায় রুবেল ও তাঁর ভাই জুয়েলের মাংসের দোকানে যান। এ সময় আরিফের সঙ্গে ছিলেন আরেক মাংস ব্যবসায়ী শাহীন। আরিফ অনেক দিন ধরে রুবেল-জুয়েলের কাছে পাইকারি দরে মাংস বিক্রি করে আসছিলেন। এ বাবদ ওই দুই ভাইয়ের কাছে বড় অঙ্কের টাকা পাওনা ছিল আরিফের। বিষয়টির সমাধানে উভয় পক্ষকে নিয়ে গতকাল সালিসে বসেছিল সেনের বাজার কমিটি। এ সময় আরিফের সঙ্গে রুবেলের বাগ্‌বিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে রুবেল ও জুয়েল চাপাতি নিয়ে আরিফ ও শাহীনের ওপর হামলা চালান। তাঁদের এলোপাতাড়ি কুপিয়ে দ্রুত ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যান ওই দুই ভাই।

স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় আরিফ ও শাহিনকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল রাত পৌনে ১০টার দিকে আরিফ মারা যান। পরে ময়নাতদন্তের জন্য তাঁর লাশটি হাসপাতালটির মর্গে পাঠানো হয়েছে।

রূপসা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহফুজুর রহমান আজ শনিবার সকালে জানান, আরিফের মাথার মাঝবরাবর কোপ দেওয়া হয়েছিল। চিকিৎসাধীন শাহীনের পায়ে কোপ লেগেছে। ওই ঘটনায় এখনো কোনো মামলা না হলেও বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: আর ফ র গতক ল ব যবস

এছাড়াও পড়ুন:

ব্রাহ্মণবাড়িয়া যুব মহিলা লীগের সহ-সভাপতি সেতু গ্রেপ্তার

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা যুব মহিলা লীগের সহ-সভাপতি উম্মে হানি সেতুকে গ্রেপ্তার করছে পুলিশ। শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) রাতে ঢাকার ধানমন্ডি এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। 

শনিবার (১ মার্চ) সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানা পুলিশের একটি দল সেতুক ধানমন্ডি থানা থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নিয়ে আসে। সেতু ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা যুব মহিলা লীগের প্রভাবশালী নেত্রী। তিনি গত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা পরিষদে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে পরাজিত হন।

এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোজাফফর হোসেন জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ধানমন্ডি থানা পুলিশের একটি দল শুক্রবার রাতে ধানমন্ডি এলাকা থেকে সেতুকে গ্রেপ্তার করে। পরে তাকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডল থানার কাছে হস্তান্তর করা হয়। তার বিরুদ্ধে দুটি নাশকতার মামলা ও বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থীদের উপর হামলা ও মারধরের অভিযোগে একটি মামলা রয়েছে।

আরো পড়ুন:

রাজশাহীতে ভ্যানের জন্য চালককে খুন, গ্রেপ্তার ৪

অপারেশন ডেভিল হান্ট: ২৪ ঘণ্টায় গ্রেপ্তার ৬১৮

শনিবার দুপুরে সেতুকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া আদালতে পাঠানো হয়েছে বলে জানান ওসি। 

ঢাকা/রুবেল/বকুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ