গজারিবনে পড়ে ছিল চালকের রক্তাক্ত লাশ, আধা কিলোমিটার দূরে অটোরিকশা
Published: 1st, March 2025 GMT
গাজীপুর সদর উপজেলায় এক অটোচালককে হত্যার পর লাশটি গজারিবনে ফেলে গেছে দুর্বৃত্তরা। আজ শনিবার সকালে সিংড়াতলী এলাকার গজারিবনের ভেতর থেকে তাঁর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
ওই চালকের নাম ইয়াসিন রানা (২৩)। তিনি কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জ থানার সুতারপাড়া এলাকার বাসিন্দা। গাজীপুর সদর উপজেলার শিরিরচালা এলাকার একটি বাড়িতে ভাড়া থেকে অটোরিকশা চালাতেন।
পুলিশ ও পরিবারসূত্রে জানা গেছে, প্রতিদিনের মতো গতকাল শুক্রবার সকালে অটোরিকশা নিয়ে বের হন ইয়াসিন। পরে তিনি আর বাড়িতে ফেরেননি। পরিবারের লোকজন বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করেও তাঁর সন্ধান পায়নি। আজ শনিবার সকালে স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দা গজারিবনের ভেতর একটি লাশ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দেন। খবর পেয়ে জয়দেবপুর থানার পুলিশ লাশ উদ্ধার করে গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে।
জয়দেবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল হালিম জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, ছিনতাইয়ের উদ্দেশ্যে চালক ইয়াসিনের মাথায় ইট দিয়ে আঘাত করে হত্যা দুর্বৃত্তরা। তবে তাঁর অটোরিকশাটি খোয়া যায়নি। ঘটনাস্থল থেকে প্রায় আধা কিলোমিটার দূরে এটি উদ্ধার করা হয়েছে। সম্ভবত কোনো কারণে ছিনতাইকারীরা এটি নিয়ে পালাতে পারেনি। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
ঢাবিতে বর্ণাঢ্য ঈদ শোভাযাত্রা
পবিত্র ঈদুল ফিতরের দিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বর্ণাঢ্য ঈদ শোভাযাত্রা বের করা হয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক নিয়াজ আহমদ খান শোভাযাত্রায় নেতৃত্ব দেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (শিক্ষা) অধ্যাপক মামুন আহমেদ, প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক সাইফুদ্দীন আহমদসহ বিভিন্ন হলের প্রভোস্ট, শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের নেতারা শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণ করেন।
সোমবার (৩১ মার্চ) সকাল ৮টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদ মসজিদুল জামিআ’য় ঈদুল ফিতরের প্রথম জামাতের পর শোভাযাত্রা শুরু হয়। শোভাযাত্রাটি টিএসসি হয়ে অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে গিয়ে শেষ হয়।
আরো পড়ুন:
বাকৃবির রাজিয়া হলে চার গণরুমে ১২৬ ছাত্রী, ৩২ জনের একটি বাথরুম
দেশের ১১৬তম বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ‘গ্রামীণ ইউনিভার্সিটি’
অধ্যাপক নিয়াজ আহমদ খান পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা, কর্মচারীসহ সকলকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানান। এ উপলক্ষে তিনি সবার জন্য অনাবিল সুখ, শান্তি, সমৃদ্ধি ও কল্যাণ কামনা করেন।
উপাচার্য বলেন, বর্তমানে দেশ এক কঠিন সময় অতিক্রম করছে। এ পরিস্থিতিতে সব ভেদাভেদ ভুলে সকলকে সাম্য, মৈত্রী ও সম্প্রীতির বন্ধনে আবদ্ধ হতে হবে। পরস্পর হাত ধরাধরি করে সুদৃঢ় ঐক্য গড়ে তুলতে হবে। মাহে রমজানের আত্মশুদ্ধি ও সংযমের শিক্ষা গ্রহণ করে ব্যক্তিগত জীবনে সৌহার্দ্য, সহমর্মিতা ও সহনশীলতার চর্চা অব্যাহত রাখতে হবে।
উন্নত, উদার ও মানবিক সমাজ প্রতিষ্ঠায় এগিয়ে আসার জন্য সবার প্রতি আহ্বান রাখেন অধ্যাপক নিয়াজ আহমদ খান।
ঢাকা/সৌরভ/রাসেল