সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার বলেছেন, সংস্কারগুলো দ্রুততার সঙ্গে হওয়া উচিত। তাহলে দ্রুত একটি নির্বাচন হতে পারে। সংস্কার ছাড়া নির্বাচন হলে আবারও স্বৈরাচারের পুনরুত্থান হবে।

আজ শনিবার রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে সুজন আয়োজিত এক মানববন্ধনে বদিউল আলম এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, কোনোভাবেই এটা চাওয়া নয়।

সুজনের সম্পাদক বলেন, আন্দোলন কিন্তু শুধু শেখ হাসিনাকে ক্ষমতাচ্যুত করার উদ্দ্যেশ্যে নয়; এটা ছিল স্বৈরাচারী ব্যবস্থার বিতরণ ও স্বৈরাচারী পদ্ধতি, প্রক্রিয়া, প্রতিষ্ঠানগুলোর পরিবর্তন। স্বৈরাচারী পদ্ধতি শেখ হাসিনাকে দানবে পরিণত করেছিল।

বদিউল আলম আরও বলেন, শেখ হাসিনা আকাশ থেকে আবির্ভূত হননি, একটি পদ্ধিতির মধ্য দিয়ে তিনি তা হয়েছেন। এই পদ্ধতির সংস্কারের প্রয়োজন। নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে হলে রাজনৈতিক অঙ্গনকেও পরিচ্ছন্ন করা লাগবে। নয়তো আবারও স্বৈরাচার তৈরি হবে। এই লুই কানের সুন্দর ভবনে যেন অসুন্দর মানুষ আর ঢুকতে না পারে।

সুজন বিদেশি সাহায্য নিতে পারে না

বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি শক্তিশালী করতে মার্কিন সরকারের দেওয়া অনুদান সুজন পেয়েছে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে সুজন সম্পাদক বলেছেন, এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা। সুজন কোনো নিবন্ধিত সংগঠন নয়। সুজন কোনো বিদেশি সাহায্য নিতে পারে না; সংগঠনটি পরিচালিত হয় বিভিন্ন ব্যক্তির সহায়তায়।

যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তা পাওয়ার তথ্যকে ফেক নিউজ উল্লেখ করে বদিউল আলম বলেন, ডিপ ফেক নিউজ। এর মধ্যে সামান্যতম সত্যতা নেই। স্বৈরাচারের দোসররা বিতর্কিত করার জন্য এসব অপতথ্য ছড়াচ্ছে।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

এই কঠিন সময়ে ঐক্য ধরে রাখা প্রয়োজন: ঢাবি উপাচার্য

শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে জাতির ঐক্য রক্ষার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) উপাচার্য নিয়াজ আহমেদ খান।

উপাচার্য বলেন, ‘আমরা একটি কঠিন সময়ের মধ্য দিয়ে অতিক্রম করছি। এক অর্থে জাতির জন্য এটি একটি ক্রান্তিকাল। এই সময়ে আমাদের ঐক্য ধরে রাখা একান্তই প্রয়োজন।’

আজ রোববার সকালে রাজধানীর মিরপুরে শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে সাংবাদিকদের কাছে নিয়াজ আহমেদ খান এ কথা বলেন।

ঢাবি উপাচার্য বলেন, শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস জাতির জন্য পরম শ্রদ্ধা, কৃতজ্ঞতা ও মমতার দিন। এক গভীর ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, চিন্তাবিদ ও বুদ্ধিজীবীরা নির্মম হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছিলেন। তাঁদের সেই চূড়ান্ত আত্মত্যাগ ইতিহাসে চিরভাস্বর হয়ে আছে।

নিয়াজ আহমেদ খান বলেন, যুগে যুগে ও প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের আত্মত্যাগ এ জাতিকে অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়াই করতে ঐক্যবদ্ধ করেছে এবং সাহস জুগিয়েছে। সেই ধারাবাহিকতায় জাতি ১৯৯০ ও ২০২৪ সালের আন্দোলনের মধ্য দিয়ে অগ্রসর হয়েছে।

উপাচার্য আরও বলেন, শহীদ বুদ্ধিজীবীদের আত্মত্যাগ আজও জাতির ঐক্য ধরে রাখার পথে একটি গুরুত্বপূর্ণ আলোকবর্তিকা। একই সঙ্গে ১৯৫২, ১৯৬৮, ১৯৬৯, মহান মুক্তিযুদ্ধসহ প্রতিটি আন্দোলন–সংগ্রামে যাঁরা রক্ত ও জীবন দিয়ে দেশের স্বাধীনতা ও মর্যাদা রক্ষা করেছেন, তাঁদের সবার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতা।

নিয়াজ আহমেদ খান বলেন, ১৯৫২ থেকে ২০২৪—এর প্রতিটি দিন ও ঘটনাপ্রবাহ জাতির মৌলিক পরিচয়ের মাইলফলক। এর কোনো অংশ বাদ দেওয়ার সুযোগ নেই। এ ইতিহাসই যুগে যুগে জাতিকে ঐক্যবদ্ধ রেখেছে, আর বর্তমান সময়ে সেই ঐক্য ধরে রাখাই সবচেয়ে বড় প্রয়োজন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ