আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে আফগানিস্তানের বিপক্ষে হেরে বিদায় ঘন্টা বেজে গিয়েছে ইংল্যান্ডের। তুমুল সমালোচনার মুখে পড়েন থ্রি-লায়ন্স কাপ্তান জস বাটলার। ইংলিশদের সাদা বলে টানা ব্যর্থতার দায় কাঁধে নিয়ে শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫) অধিনায়কত্বের দায়িত্ব ছেড়ে দেন বাটলার। বাটলার যেহেতু নেতৃত্ব থেকে সরেই দাঁড়ালেন, তাহলে শনিবার (১ মার্চ, ২০২৫) দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে আসরের শেষ ম্যাচের দায়িত্বে কে থাকবেন?

শুক্রবার ইংল্যান্ড দলের সংবাদ সম্মেলনে বাটলার উপস্থিত হন কোচ ব্রেন্ডন ম্যাককালামকে নিয়ে। মিডিয়া ম্যানেজার আগেই জানিয়ে দিলেন মাত্র তিনেক প্রশ্নের উত্তর দেবেন বাটলার। কথা অনুযায়ী, নেতৃত্ব ছাড়ার ঘোষণা দেওয়ার পর তিন প্রশ্নের উত্তর দিয়ে রুম থেকে চলে যান বাটলার। চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে প্রোটিয়াদের বিপক্ষে শেষ ম্যাচে নেতৃত্বে কে থাকবেন সেই প্রশ্নটাই নিলেন না উপস্থিত সাংবাদিকদের কাছ থেকে।

সেই উত্তর জানাতে হলো ইংলিশদের কিউই কোচকে। সংবাদ সম্মেলনে কোচ ম্যাককালাম বলেন, “জস (বাটলার) এই ম্যাচেও নেতৃত্ব দেবে। অধিনায়ক হিসেবে এটিই হবে তার শেষ ম্যাচ। আশা করি, ছেলেরা ভালোভাবে নিজেদের মেলে ধরে তাকে ভালোভাবেই বিদায় জানাবে।”

আরো পড়ুন:

ব্যর্থ মিশন শেষে দেশে ফিরলেরন শান্ত-মুশফিকরা

চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে বিনা খরচে ইফতার পাবে দর্শকরা 

বাটলারের নেতৃত্বে এখনও পর্যন্ত ইংল্যান্ড ৪৪টি একদিনের ম্যাচ খেলে ১৮টি জিতেছে, ২৫টি হেরেছে। সাম্প্রতিক সময়ে ইংল্যান্ডের সাদা বলের পারফরম্যান্স তো আরও বাজে। ইংলিশরা শেষ ২১টি ওয়ানডে ম্যাচের ১৫টিতে হেরেছে। চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে অস্ট্রেলিয়া ও আফগানিস্তানের বিপক্ষে হার তাদেরকে ছিটকে দেয় আসর থেকে। তার আগে ভারতের কাছে ৩ ম্যাচের সিরিজে হোয়াইটোয়াশ হয় বাটলারের দল।

মূলত ২০২২ এর জুন মাসে ইয়ন মরগানের অবসরের পর ইংল্যান্ডকে সাদা বলের ক্রিকেটে নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য বাটলারকে অধিনায়ক করেছিল ইংল্যান্ড অ্যান্ড ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ড (ইসিবি)। সে বছর অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে ইংল্যান্ডকে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের শিরোপা এনে দেন বাটলার।

বাটলারের নেতৃত্বে পাশাপাশি ৫১টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ইংল্যান্ডের অধিনায়ক ছিলেন তিনি। এর মধ্যে ইংল্যান্ড জিতেছে ২৬টি ম্যাচ, হেরেছে ২২টি ম্যাচ এবং তিনটির ফলাফল হয়নি।

বাটলারের অধিনায়কত্বে পরপর তিনটি বড় টুর্নামেন্টে ব্যর্থ হলো ইংল্যান্ড। ২০২৩ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপ, গত বছরের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ এবং এবারের চ্যাম্পিয়নস ট্রফি। ৩৪ বছর বয়সী এই উইকেটরক্ষক-ব্যাটার নিজেও ফর্মে নেই। অধিনায়কত্ব ছাড়ার সিদ্ধান্ত জানিয়ে বাটলার বলেছেন, “সরে যাওয়ার জন্য এটাই আমার এবং দলের জন্য সেরা সময়।”

ঢাকা/নাভিদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

ভারতের জিডিপির এক-তৃতীয়াংশ শতকোটিপতিদের হাতে

ভারতে অতি ধনীদের বাড়বাড়ন্ত হচ্ছে। এই শ্রেণির মানুষের সংখ্যা যেমন বেড়েছে, তেমনি বেড়েছে এই শ্রেণির মানুষের হাতে থাকা সম্পদের পরিমাণ।

২০২৫-২৬ অর্থবছরের শুরুতে ভারতে এই শতকোটিপতি বা বিলিয়নিয়ারের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৮৪। দেখা যাচ্ছে, গত বছর এই সময় ভারতে শতকোটিপতির সংখ্যা ছিল ২৭১; অর্থাৎ এক বছরে ভারতে শতকোটিপতির সংখ্যা বেড়েছে ১৩। সম্প্রতি প্রকাশিত দ্য হুরুন গ্লোবাল রিচ লিস্ট, ২০২৫-এ এই তথ্য প্রকাশিত হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারতের শতকোটিপতিদের সম্পদের পরিমাণ এখন ৯৮ লাখ কোটি রুপি। এই অঙ্ক ভারতের মোট দেশজ উৎপাদন বা মোট জিডিপির এক-তৃতীয়াংশ।

শতকোটিপতির সংখ্যা বৃদ্ধির সঙ্গে ভারতের এই শ্রেণির মানুষের সম্পদ বেড়েছে। দেশটিতে শতকোটিপতিদের হাতে থাকা সম্পদের পরিমাণ এখন সৌদি আরবের মোট জিডিপি বা দেশজ উৎপাদনের চেয়ে বেশি। দ্য হুরুন গ্লোবাল রিচ লিস্ট, ২০২৫-এ বলা হয়েছে, গত বছর ভারতের শতকোটিপতিদের সম্পদের পরিমাণ বেড়েছে প্রায় ১০ শতাংশ। একই সঙ্গে সামগ্রিকভাবে ভারতের ধনীদের সম্পদের পরিমাণ গত এক বছরে ৬২ শতাংশ বেড়েছে। তাঁদের সম্পদের পরিমাণ লাখ কোটি ডলারের মাইলফলক ছুঁয়ে ফেলেছে। হুরুন গ্লোবালের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান গবেষক আনাস রহমান জুনাইদ এটিকে ভারতের অর্থনীতির জন্য ইতিবাচক আখ্যা দিয়েছেন।

প্রতিবেদনের তথ্যানুসারে, ২০২২ সালে ভারতে শতকোটিপতির সংখ্যা ছিল ২৪৯। কিন্তু ২০২৩ সালে তা কমে ১৮৭-তে নেমে আসে; গত বছর তা আবার বেড়ে ২৭১-এ ওঠে। ধারণা করা হচ্ছে, ২০২৫-২৬ অর্থবছরে তা ৩০০ পেরিয়ে যাবে।

অতি ধনীদের সংখ্যার নিরিখে ভারতের অবস্থান এখন বিশ্বে তৃতীয়। ভারতের আগে আছে কেবল যুক্তরাষ্ট্র ও চীন। ভারতের পরে আছে যথাক্রমে যুক্তরাজ্য, জার্মানি ও সুইজারল্যান্ড। সেই সঙ্গে এশিয়ার শতকোটিপতিদের রাজধানী হিসেবে মুম্বাইকে হটিয়ে দিয়েছে চীনের সাংহাই শহর। সাংহাই শহরে এখন ৯২ জন শতকোটিপতির বসবাস, মুম্বাইয়ে ৯০ জন। এ ছাড়া বিশ্বের অন্য যেসব জায়গায় শতকোটিপতিদের সংখ্যা বাড়ছে সেগুলো হলো সিঙ্গাপুর, I রাশিয়া, কানাডা, তুরস্ক ও মেক্সিকো।

গত বছর ভারত ও এশিয়ার শীর্ষ ধনী মুকেশ আম্বানির সম্পদের পরিমাণ এক লাখ কোটি রুপি কমেছে। মূলত খঋণের পরিমাণ বেড়ে যাওয়ায় তাঁর সম্পদ কমেছে। প্রতিবেদনের তথ্যানুসারে, তাঁর সম্পদের পরিমাণ ৮ দশমিক ৬ লাখ কোটি রুপি।

ভারতের ধনীদের মধ্যে দ্বিতীয় স্থানে থাকা গৌতম আদানির সম্পদের পরিমাণ গত বছর প্রায় এক লাখ কোটি রুপি বেড়েছে। তাঁর সম্পদের পরিমাণ এখন ৮ দশমিক ৪ লাখ কোটি রুপি। তিনি এখন বিশ্বের ১৮তম শীর্ষ ধনী। গত বছর তিনি কিছু সময়ের জন্য এশিয়ার শীর্ষ ধনীর আসনে বসেছিলেন।

ভারতীয় অতি ধনীদের গড় বয়স ৬৮ বছর; বৈশ্বিক পর্যায়ে যা ৬৬ বছর; অর্থাৎ এ ক্ষেত্রে ভারতীয় অতি ধনীরা কিছুটা পিছিয়ে আছেন।

এ বছর ভারতের সর্বকনিষ্ঠ অতি ধনী হিসেবে তালিকায় উঠে এসেছেন রাজোরপের সহপ্রতিষ্ঠাতা শশাঙ্ক কুমার ও হর্ষিল মাথুর। তাঁদের দুজনেরই বয়স মাত্র ৩৪ বছর।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • কুইনস কমনওয়েলথ রচনা প্রতিযোগিতা, অংশ নিয়ে ইংল্যান্ড ভ্রমণের সুযোগ
  • আজ টিভিতে যা দেখবেন (২ এপ্রিল ২০২৫)
  • একঝলক (০১ এপ্রিল ২০২৫)
  • সীমান্ত ব্যাংকে নিয়োগ, বিবিএ অথবা স্নাতক পাসে আবেদন
  • গাজার রাফা শহর খালি করার নির্দেশ ইসরায়েলি সেনার
  • ভারতের জিডিপির এক-তৃতীয়াংশ শতকোটিপতিদের হাতে
  • আজ টিভিতে যা দেখবেন (১ এপ্রিল ২০২৫)
  • গোপন সদকা
  • আজ টিভিতে যা দেখবেন (৩১ মার্চ ২০২৫)
  • ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকে চাকরি, বয়স ৪৮ হলেও আবেদন