এশিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপের চ্যালেঞ্জ নিয়ে ইরানে যাচ্ছে নারী কাবাডি দল
Published: 1st, March 2025 GMT
মাত্রই ঢাকায় শেষ হয়েছে বাংলাদেশ-নেপাল পাঁচ ম্যাচের টেস্ট সিরিজ। তাতে স্বাগতিকেরা জিতেছে ৪-১ ব্যবধানে। তবে ঘরের মাঠে নেপালকে হারিয়ে আত্মতৃপ্তির সুযোগ নেই, বলছেন কাবাডিসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। কারণ, এশিয়ান গেমসের পদক এখন সোনার হরিণ হয়ে আছে।
নারী কাবাডিতেও পদক জয় কঠিন হয়ে পড়েছে। গত এশিয়ান গেমসে নেপালের কাছে হেরে পদকশূন্য ছিল বাংলাদেশ। এমন অবস্থায় বাংলাদেশ নারী কাবাডি দল ষষ্ঠ এশিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে খেলতে তেহরানে যাচ্ছে আগামীকাল রোববার রাতে বা সোমবার সকালে।
এশিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপ পাঁচবার হয়েছে। চারবারই চ্যাম্পিয়ন ভারত। একবার দক্ষিণ কোরিয়া, সেটি টুর্নামেন্টের চতুর্থ আসরে। দীর্ঘ ৭ বছর বিরতি দিয়ে টুর্নামেন্টটা হচ্ছে আবার। ৪-৯ মার্চ ইরানের রাজধানীতে আয়োজিত টুর্নামেন্টে খেলছে ৭ দেশ—ইরান, ভারত, মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড, নেপাল , ইরাক ও বাংলাদেশ।
১০ জানুয়ারি থেকে বাংলাদেশ প্রস্তুতি শুরু করে। তাই প্রস্তুতি নিয়ে একটু অতৃপ্তি আছে। আরেকটু সময় পেলে ভালো হতো, মনে করছেন খেলোয়াড়েরা। কাবাডি ফেডারেশন বলছে, তারা বেশি দিন হয়নি দায়িত্বে এসেছে। দ্রুততম সময়ে গুছিয়ে উঠতে সময় লেগেছে।
বাংলাদেশ এখন পর্যন্ত দুবার খেলেছে এশিয়ান নারী কাবাডি চ্যাম্পিয়নশিপে। ২০০৫ সালে প্রথম টুর্নামেন্ট আর ২০০৮ সালে তৃতীয় টুর্নামেন্টে। ভারতের হায়দরাবাদের পর ভারতেরই তামিনাড়ুতে অংশ নেয় বাংলাদেশ। প্রথমবার শ্রীলঙ্কা ও বাংলাদেশ ব্রোঞ্জ পায়। ২০০৭, ২০১৬ ও ২০১৭ সালে বাংলাদেশ অংশ নেয়নি।
২০০৫ ও ২০০৮ সালে খেলোয়াড় হিসেবে অংশ নিয়েছিলেন মালেকা। দ্বিতীয়বার ছিলেন অধিনায়ক। এবার সহকারী কোচ হিসেবে গেলেও ম্যাচের সময় ডাগআউটে মূল কোচের ভূমিকায় তাঁকে দেখা যাবে। কারণ, ইরানে নিয়মই হলো, মেয়েদের খেলায় ছেলেরা থাকতে পারবেন না। ফলে বাংলাদেশ নারী দলের পুরুষ কোচ সুবিমল দাসকে বাইরেই থাকতে হবে।
শাহনাজ পারভীনের প্রত্যাশা এবার বাংলাদেশ পদক নিয়ে ফিরবে, ‘এখন পদক জেতা কঠিন। তবে আমরা সামর্থ্য অনুযায়ী খেলতে পারলে আশা করি ব্রোঞ্জ নিয়ে ফিরব।’
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: চ য ম প য়নশ প
এছাড়াও পড়ুন:
দুই কোটি ২০ লাখ লিটার পাম অয়েল কিনবে সরকার
ভোজ্যতেলের চাহিদা পূরণের পাশাপাশি টিসিবির ফ্যামিলি কার্ডধারীদের মাঝে ভর্তুকি দামে বিক্রির জন্য দুই কোটি ২০ লাখ লিটার পরিশোধিত পাম অয়েল কেনার উদ্যোগ নিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। স্থানীয়ভাবে উন্মুক্ত দরপত্র (জাতীয়) পদ্ধতিতে এই তেল সংগ্রহ করা হবে। এতে মোট ব্যয় হবে ৩৫৬ কোটি ৮১ লাখ ৮০ হাজার টাকা। প্রতি লিটারের দাম ১৬২.১৯ টাকা।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি)। টিসিবির ২০২৪-২৫ অর্থবছরে বার্ষিক ক্রয় পরিকল্পনায় ২৮ কোটি লিটার ভোজ্যতেল কেনার লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে। এর মধ্যে ১৫ কোটি ৪১ লাখ ৯০ হাজার লিটার ক্রয় চুক্তি সম্পন্ন হয়েছে। মোট চাহিদার অংশ হিসেবে আরো দুই কোটি ২০ লাখ লিটার পরিশোধিত পাম অয়েল কেনার উদ্যোগ নিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
সূত্র জানায়, উন্মুক্ত দরপত্র পদ্ধতির অধীন স্থানীয় ক্রয়ের ক্ষেত্রে পণ্য সরবরাহ, কার্যসম্পাদন বা ভৌত সেবার জন্য বিজ্ঞাপন পত্রিকায় প্রকাশের তারিখ থেকে দরপত্র প্রণয়ন ও দাখিলের জন্য ন্যূনতম ২৮দিন সময় ধার্য থাকলেও পিপিআর-২০০৮ এর বিধি ৬১ (৫) অনুযায়ী অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির গত ৪ জুন সভায় টিসিবির জন্য স্থানীয় দরপত্র আহ্বানের ক্ষেত্রে দরপত্র প্রণয়ন ও দাখিলের সময়সীমা ২৮ দিনের পরিবর্তে ১৪ দিন করার সিদ্ধান্ত হয়। স্থানীয়ভাবে দুই কোটি ২০ লাখ লিটার পরিশোধিত পাম অয়েল কেনার জন্য পাবলিক প্রকিউরমেন্ট বিধিমালা ২০০৮ অনুসরণকরে গত ১৩ জানুয়ারি উন্মুক্ত দরপত্র আহ্বান করা হয়। দরপত্রের বিপরীতে আংশিক অর্থাৎ সর্বনিম্ন ৫৫,০০,০০০ লিটার এর প্রস্তাব দাখিলের সুযোগ রাখা হয়।
দরপত্র দাখিলের সর্বশেষ সময় ২৬ জানুয়ারি এবং দরপত্র উন্মুক্তকরণের সময় ২৭ জানুয়ারি বেলা ১২ টা পর্যন্ত ধার্য ছিল। কিন্তু কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তে দরপত্র দাখিলের সর্বশেষ সময় ২ ফেব্রুয়ারি এবং দরপত্র উন্মুক্তকরণের সময় ৩ ফেব্রুয়ারি পুনঃ নির্ধারণ করে। পরবর্তীতে সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান কর্তৃক বৈধতার মেয়াদ ১৪ মে পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়।
দরপত্র উন্মুক্তকরণ কমিটি ৩ ফেব্রুয়ারি প্রাপ্ত দরপত্রসমূহ উন্মুক্ত করে একটি দরপত্র পাওয়া যায়। দরদাতা প্রতিষ্ঠান শবনম ভেজিটেবল অয়েল ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড তাদের প্রস্তাবে ২ লিটারের পেট বোতলে ১,১০,০০,০০০ লিটার পাম অয়েল তেল প্রতি লিটারের দাম ১৬২.১৯ টাকা দরে সরবরাহের প্রস্তাব করে। যার দাপ্তরিক প্রাক্কলিত দর ছিল ১৭৪.৬৩ টাকা। অর্থাৎ প্রাক্কলিত দরের চেয়ে ১২.৪৪ টাকা কম।
দরপত্র মূল্যায়ন কমিটির সভা ৪ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হয়। মূল্যায়ন কমিটি প্রাপ্ত একটি দরপত্র, তুলনামূলক বিবরণী এবং সংযুক্ত দাখিলকৃত কাগজ পর্যালোচনা করেন। পর্যালোচনা শেষে, দাখিলকৃত দরপত্রটি রেসপনসিভ হিসেবে বিবেচিত হয়। দরপত্র মূল্যায়ন কমিটি প্রাপ্ত প্রস্তাবিত দরের বিষয়ে আলোচনা করেন। আলোচনা শেষে, পিপিআর ২০০৮ এর বিধি ৯৯ (জ) অনুযায়ী রেসপনসিভ দরদাতা শবনম ভেজিটেবল অয়েল ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড এর দরপত্রে প্রস্তাবিত ১,১০,০০,০০০ লিটার পাম অয়েল এর সঙ্গে প্রতি লিটার ১৬২.১৯ টাকা দরে অবশিষ্ট ১,১০,০০,০০০ লিটারসহ সম্পূর্ণ পরিমাণ অর্থাৎ ২,২০,০০,০০০ লিটার পাম অয়েল সরবরাহ করার জন্য সম্মতি চাওয়া হলে প্রতিষ্ঠানটি অবশিষ্ট পরিমাণ পাম অয়েল সরবরাহে সম্মতি প্রকাশ করে এবং লিখিতভাবে জানায়।
দরপত্রে প্রস্তাবিত ২,১০,০০,০০০ লিটার এর সাথে অবশিষ্ট ১,১০,০০,০০০ লিটারসহ সর্বমোট দুই কোটি ২০ লাখ লিটার বোতলজাত পরিশোধিত পাম অয়েল ২ লিটার পেট বোতলে প্রতি লিটার অগ্রিম আয়কর, প্রযোজ্য মুসক ও টিসিবির গুদামসমূহে পরিবহন খরচসহ ১৬২.১৯ টাকা দরে সর্বমোট তিনশ ছাপান্ন কোটি একাশি লাখ আশি হাজার টাকা মূল্যে ক্রয়ের সুপারিশ করে দরপত্র মূল্যায়ন কমিটি।
সূত্র জানায়, উক্ত পাম অয়েল মে মাসে গ্রহণ করা হবে এবং টিসিবির বিক্রয় কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার স্বার্থে উক্ত সময়ে মজুত বিবেচনায় ভোজ্যতেলের প্রয়োজনীয়তা থাকায় দরপত্র মূল্যায়ন কমিটির সব সদস্য ক্রয়ের একমত পোষণ করেন।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের এ সংক্রান্ত একটি ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদনের জন্য সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির সভায় উপস্থাপন করা হবে বলে সূত্র জানায়।
ঢাকা/হাসনাত/এসবি