ময়মনসিংহের ত্রিশালে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘শেখ পরিবারের’ নামে থাকা দুই আবাসিক হলের নাম ও একটি চত্বরের নাম পরিবর্তন করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ৮৮তম সিন্ডিকেট সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। একই সভায় নতুন নামকরণও করা হয়েছে।

‘জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের’ নাম পরিবর্তন করে ‘বিদ্রোহী হল’ ও ছাত্রীদের ‘বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের’ নাম পরিবর্তন করে ‘শিউলিমালা হল’ রাখা হয়েছে। এ ছাড়া শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্যসংবলিত ‘বঙ্গবন্ধু স্কয়ার’–এর নাম পরিবর্তন করে ‘জুলাই-২৪ স্কয়ার’ করা হয়েছে। ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু স্কয়ারে শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য ভেঙে দেওয়া হয়। পরে হল দুটির নাম কবি কাজী নজরুল ইসলামের সৃষ্টিকর্ম ‘বিদ্রোহী’ কবিতা ও ‘শিউলিমালা’ গল্পগ্রন্থের নামে পরিবর্তন করার দাবি জানিয়ে আসছিলেন শিক্ষার্থীরা।

বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক মো.

মিজানুর রহমান আজ শনিবার সকালে জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের ৮৮তম সিন্ডিকেট সভায় তিনটি স্থাপনার নাম পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। শিক্ষার্থীদের জোর দাবি ছিল নাম পরিবর্তনের। সে কারণে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এ সিদ্ধান্ত নেয়।

নাম পরিবর্তনের এ সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। তাঁরা বলছেন, দুটি হলের নাম পরিবর্তন শিক্ষার্থীদের প্রাণের দাবি ছিল। ফ্যাসিস্ট হাসিনা সারা দেশের কোনায় কোনায় ‘শেখ পরিবারের’ ছাপ রেখে গেছে। এমন পরিবারতন্ত্রের চর্চা যেন ভবিষ্যতে আর কোনো প্রতিষ্ঠানেই না হয়।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: র রহম ন

এছাড়াও পড়ুন:

অনশন প্রত্যাহার করলেন কুয়েট শিক্ষার্থীরা  

খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মাছুদ এবং উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. শরিফুল ইসলামকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি প্রদানের সিদ্ধান্ত নিয়ে সরকার। 

এই সিদ্ধান্তের পর বুধবার দিবাগত রাত ১টায় বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সদস্য অধ্যাপক ড. তানজীম উদ্দিন খান শিক্ষার্থীদের জুস খাইয়ে অনশন ভঙ্গ করান। পরে শিক্ষার্থীরা অনশনস্থল থেকে নিজ নিজ হলে ফিরে যান।

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. মামুন অর রশিদ জানান, কুয়েটের সাম্প্রতিক ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে উদ্ভূত সংকট নিরসন এবং শিক্ষা কার্যক্রম দ্রুত শুরু করার লক্ষ্যে উপাচার্য এবং উপ-উপাচার্যকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি প্রদানের প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে। অবিলম্বে একটি সার্চ কমিটি গঠনের মাধ্যমে এ দুটি পদে নতুন নিয়োগ প্রদান করা হবে। অন্তর্বর্তীকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মিত কার্যক্রম চালু রাখার স্বার্থে জ্যেষ্ঠ অধ্যাপকদের মধ্য থেকে একজনকে সাময়িকভাবে উপাচার্যের দায়িত্ব অর্পণ করা হবে। 

শিক্ষার্থীরা জানান, উপাচার্যের অপসারণের এক দফা দাবিতে গত ১৫ এপ্রিল থেকে তারা ক্যাম্পাসে আন্দোলন শুরু করেন। এরপর গত সোমবার থেকে ৩২ জন শিক্ষার্থী আমরণ অনশন কর্মসূচি শুরু করেছিলেন। 

সম্পর্কিত নিবন্ধ