কীর্তিনাশা নদীতে ডাকাত-স্থানীয়দের সংঘর্ষ: ‘আমরা ইটপাটকেল ছুড়লে ডাকাতেরা গুলি ছোড়ে’
Published: 1st, March 2025 GMT
‘ডাকাতি হচ্ছে—এমন খবরে পেয়ে আমরা সবাই প্রস্তুতি নিয়ে ট্রলারে করে নদীতে নেমে যাই। আমরা ইটপাটকেল ছুড়লে ডাকাতেরা আমাদের ওপর গুলি ছোড়ে। এতে আমাদের ৭ থেকে ৮ জন আহত হয়। স্পিডবোটে ১০ জনের মতো ডাকাত ছিল। সবার হাতেই অস্ত্র ছিল।’
কীর্তিনাশা নদীতে ডাকাতদের প্রতিহতের ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী উপজেলার চরগোবিন্দপুরের বাসিন্দা রাজু ফরাজী এসব কথা বলেন। গতকাল শুক্রবার রাত সাড়ে নয়টার দিকে মাদারীপুর-শরীয়তপুর দুই জেলার সীমান্তবর্তী এলাকা খোয়াজপুর-টেকেরহাট বন্দর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ঘটনাস্থল থেকে একটি কাটারাইফেল উদ্ধার করেছে পুলিশ।
পুলিশ বলছে, ডাকাতি করতে গিয়ে পালানোর সময় স্থানীয় জনতার পিটুনির শিকার হয়ে দুজনের মৃত্যু হয়েছে। ওই ঘটনায় ডাকাত দলের ছোড়া গুলিতে আটজন আহত হন। গণপিটুনিতে ডাকাত দলের আরও পাঁচ সদস্য আহত হয়েছে। ওই পাঁচজনকে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। গুলিবিদ্ধ ব্যক্তিদের মধ্যে তিনজনকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
নিহত দুজন হলেন রিপন হোসেন (৩২) ও মো.
হাসপাতালের চিকিৎসক রিয়াদ মাহামুদ বলেন, পাঁচজনের শরীরেই একাধিক রাবার বুলেট লেগেছে। এর মধ্যে হেলাল মোল্লার শরীরে ২০টির বেশি রাবার বুলেট বিদ্ধ হয়েছে। অন্যদের শরীরেও পাঁচ থেকে সাতটি করে গুলি লাগে।আরও পড়ুন‘ডাকাতি’ করে পালানোর সময় নদীতে নেমে ধাওয়া, পাল্টা গুলি-ককটেল, গণপিটুনিতে নিহত ২৩ ঘণ্টা আগে
গুলিতে আহত দুলাল সরদার বলেন, ‘আমরা কয়েকজন ট্রলারে ছিলাম। ডাকাতদের ধাওয়া দিলে তারা গুলি ছোড়ে। এতে আমি ও আমার সঙ্গে থাকা অনেকে গুলিবিদ্ধ হই।’
প্রত্যক্ষদর্শী সজীব সরদার বলেন, ‘প্রথমে ডাকাতি হচ্ছে—এমন বিষয় টের পেয়ে মসজিদে মাইকিং করা হয়। রাজারহাট এলাকায় আমরা প্রথমে ডাকাতদের গতিরোধের চেষ্টা করি। যাতায়াতের রাস্তা বন্ধ হয়ে গেলে এ সময় ডাকাতেরা এলোপাতাড়ি গুলি ছোড়ে। ঘটনায় পুরো এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।’
মাদারীপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোকছেদুর রহমান বলেন, ডাকাতির খবর পেয়ে সেনাবাহিনীকে সঙ্গে নিয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। এর আগেই ডাকাত দল মাদারীপুরের অংশ রেখে শরীয়তপুরের দিকে চলে যায়। আহত ব্যক্তিরা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
ঢাবি গণিত অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের পুনর্মিলনী
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় গণিত অ্যালামনাই এসোসিয়েশনের বার্ষিক সাধারণ সভা ও পুনর্মিলনী অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার (১ মার্চ ) বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় গণিত অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ড. মোহাম্মদ তাজুল ইসলামের সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. সায়মা হক বিদিশা, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. এম জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, গণিত বিভাগের চেয়ারপার্সন অধ্যাপক শাপলা শিরিন, ফলিত গণিত বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ফেরদৌস প্রমুখ।
এ সময় শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. শওকাত আলী এবং পিরোজপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. শহীদুল ইসলাম। ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন সংগঠনের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মো. মনসুর রহমান।
উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান বিভাগের সার্বিক উন্নয়নে গণিত অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের অবদান তুলে ধরে বলেন, “প্রাক্তন ও বর্তমান শিক্ষার্থীদের মধ্যে যোগাযোগ বৃদ্ধি, অসচ্ছল শিক্ষার্থীদের বৃত্তি প্রদান, অবকাঠামোগত উন্নয়নসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে অ্যালামনাইদের কার্যক্রম আরো সম্প্রসারণ করতে হবে।”
বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক উন্নয়নে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করার জন্য তিনি গণিত বিভাগের অ্যালামনাইদের প্রতি আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠানে বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত ১৫ জন অধ্যাপককে সম্মাননা প্রদান করা হয়। অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্বে স্মৃতিচারণ, র্যাফেল ড্র ও মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়।
ঢাকা/সৌরভ/মেহেদী