সানবিডি২৪ এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মালয়েশিয়ার ইমিগ্রেশন বিভাগ অভিযান পরিচালনা করে বাংলাদেশিসহ বিভিন্ন দেশের অন্তত ৯৬ জন অভিবাসীকে গ্রেফতার করেছে। শুক্রবার ভোরে দেশটির সেলাঙ্গর রাজ্য থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।

এ বিষয়ে ইমিগ্রেশন বিভাগের মহাপরিচালক দাতুক জাকারিয়া শাবান এক বিবৃতিতে বলেছেন, এনফোর্সমেন্ট ডিভিশন, ডিপো এবং ডিটেনশন ম্যানেজমেন্ট ডিভিশন, প্রিভেনশন ডিভিশন, ইন্টিগ্রিটি ডিভিশন, পুত্রজায়া হেডকোয়ার্টার এবং মালয়েশিয়ান সিভিল ডিফেন্স ফোর্সের বিভিন্ন পদের ১১৬ জন কর্মকর্তার একটি বাহিনী নিয়ে এই অভিযান পরিচালিত হয়েছিল।

এই অভিযানে, মোট ১৩৫ জন বিদেশিকে আটক করা হয়েছিল। পরে এর মধ্যে থেকে ৯৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতাররা বাংলাদেশ, মিয়ানমার এবং ইন্দোনেশিয়ার নাগরিক। তবে কতজন বাংলাদেশি রয়েছে সেই তথ্য জানায়নি ইমিগ্রেশন। একটি ব্যক্তিগত জায়গায় অভিযান পরিচালনা করা হয়। সেখানে অবৈধ অভিবাসীরা বাসা ভাড়া করে থাকতো।

তিনি বলেন, ১৯৫৯/৬৩ সালের ইমিগ্রেশন আইন, ১৯৬৬ সালের পাসপোর্ট আইনের অধীনে অবৈধ অভিবাসীরা সেখানে বসবাস করছিলেন এবং জনসাধারণের কাছ থেতে পাওয়া অভিযোগের ভিত্তিতে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

তার মতে, তদন্ত এবং পরবর্তী পদক্ষেপের জন্য সবাইকে কেএলআইএ ইমিগ্রেশন ডিপোতে রাখা হয়েছে।

অবৈধ অভিবাসীদের নিয়োগ এবং সুরক্ষা প্রদানকারী যেকোনো দলের বিরুদ্ধেও কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও ইমিগ্রেশনের মহাপরিচালক জানান।

এনজে

.

উৎস: SunBD 24

কীওয়ার্ড: পর চ ল

এছাড়াও পড়ুন:

রাজশাহীতে ভ্যানের জন্য চালককে খুন, গ্রেপ্তার ৪

রাজশাহীতে ব্যাটারিচালিত একটি ভ্যানের জন্য এর চালককে খুন করা হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে। শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাতে রাজশাহী জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) ও জেলার মোহনপুর থানা-পুলিশ যৌথভাবে চাঁপাইনবাবগঞ্জে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে।

গ্রেপ্তার চারজন হলেন, মোহনপুর উপজেলার তিলাহারী পূর্বপাড়া গ্রামের লায়েক আলীর ছেলে হাবিবুর রহমান ওরফে আরিফ (২৬), পশ্চিমপাড়া গ্রামের নজরুল ইসলামের ছেলে শয়ন ইসলাম (২৮), রাজশাহী নগরের বুলনপুর ঘোষপাড়া গ্রামের দিপক সাহার ছেলে দেবর্শিষ সাহা (২২) ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার আলীনগর বুধপাড়া গ্রামের সাম মোহাম্মদের ছেলে আনোয়ার হোসেন (৩০)।

গত ২৫ ফেব্রুয়ারি মোহনপুর উপজেলার বড়াইল গ্রামের একটি পুকুর থেকে ভ্যানচালক আবদুল মালেকের (৪২) অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ নিয়ে মোহনপুর থানায় অজ্ঞাত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা হয়। পরে খুনের রহস্য উদঘাটনে তদন্ত শুরু করে পুলিশ।

আরো পড়ুন:

অপারেশন ডেভিল হান্ট: ২৪ ঘণ্টায় গ্রেপ্তার ৬১৮

ধর্ষণচেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে হত্যা, আসামির বাড়ি ভাঙচুর

মোহনপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আতাউর রহমান জানান, গত ২১ ফেব্রুয়ারি থেকে নিখোঁজ ছিলেন ভ্যানচালক মালেক। ২১ ফেব্রুয়ারি রাতে আসামিরা কোমল পানীয়র সঙ্গে তাকে অতিরিক্ত ঘুমের ওষুধ খাইয়েছিল। তারপরও মালেকের ঘুম না এলে তারা তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করে। এরপর তার ভ্যানটি নিয়ে বিক্রি করে দেয়। মূলত ওই ভ্যানের জন্যই মালেককে খুন করা হয়। 

ওসি জানান, অভিযানে ভ্যানটি উদ্ধার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারের পর আসামিরা এই খুনের ঘটনা স্বীকার করেছেন। তারা আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে রাজি হয়েছে। শনিবার বিকেলে তাদের আদালতে তোলা হবে।

ঢাকা/কেয়া/বকুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ