দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া কয়লাভিত্তিক ৫২৫ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের তৃতীয় ইউনিট চালু হয়েছে। শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) রাত ১০টার দিকে এই ইউনিটে বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু হয়। 

শনিবার (১ মার্চ) বিষয়টি জানিয়েছেন বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রধান প্রকৌশলী মো. আবুবকর সিদ্দিক।

এর আগে, গত ২২ ফেব্রুয়ারি বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু হয় কেন্দ্রটির ১ নম্বর ইউনিটে। গত ১৭ ফেব্রুয়ারি বিকেলে বয়লারে যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে বন্ধ করে দেওয়া হয় ১২৫ মেগাওয়াটের ওই ইউনিটটি। বর্তমানে ১ ও ৩ নম্বর ইউনিট থেকে গড়ে ২৫০ মেগাওয়াট ইউনিট বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়ে জাতীয় গ্রিডে যোগ হচ্ছে।

আরো পড়ুন:

মুন্সীগঞ্জে ফসলি জমির ওপর দিয়ে বৈদ্যুতিক লাইন নির্মাণ বন্ধের দাবি

বিদ্যুৎ খাতে অতিরিক্ত ৩৬৭ কোটি টাকা দিচ্ছে বিশ্বব্যাংক

চালু হওয়া ৩ নম্বর ইউনিটটি ২৭৫ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন হলেও তা থেকে প্রতিদিন ১৮০-২০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে। একই সঙ্গে ১ নম্বর ইউনিটটি ১২৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতাসম্পন্ন হলেও তা থেকে ৬৫-৭০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, বড়পুকুরিয়া খনি থেকে উত্তোলন করা কয়লা ব্যবহার করে তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হয়। বর্তমানে কয়লা মজুত রয়েছে ৩ লাখ ২৫ হাজার মেট্রিক টন। কয়লাভিত্তিক এই তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের তিনটি ইউনিটে মোট বিদ্যুৎ উৎপাদনক্ষমতা ৫২৫ মেগাওয়াট। এর মধ্যে ১ নম্বর ও ২ নম্বর ইউনিট মিলে মোট বিদ্যুৎ উৎপাদনের ক্ষমতা রয়েছে ২৫০ মেগাওয়াট। ৩ নম্বর ইউনিটটি ২৭৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতাসম্পন্ন।

বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রধান প্রকৌশলী মো.

আবুবকর সিদ্দিক বলেন, ‍“গত ১৭ ফেব্রুয়ারি বিকেলে বয়লারে যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে বন্ধ করে দেওয়া ১২৫ মেগাওয়াটের ১ নম্বর ইউনিট। ২২ ফেব্রুয়ারি ইউনিটটি চালু করা হয়। এর আগে ১৫ ফেব্রুয়ারি তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের সচল ৩ নম্বর ইউনিটটিও একই কারণে বন্ধ করে দেওয়া হয়। মেরামত শেষে গতকাল শুক্রবার রাত ১০টা ৮ মিনিট থেকে বিদ্যুৎকেন্দ্রের ৩ নম্বর ইউনিটটি চালু করা হয়েছে। বর্তমানে এ দুটি ইউনিট থেকে গড়ে ২৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়ে জাতীয় গ্রিডে যোগ হচ্ছে। তাতে লোডশেডিং কমে আসবে।”

ঢাকা/মোসলেম/মাসুদ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর বড়প ক র য়

এছাড়াও পড়ুন:

যবিপ্রবিতে শেখ পরিবারের নামে থাকা ৫ স্থাপনার নাম পরিবর্তন

যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (যবিপ্রবি) শেখ পরিবারের নামে থাকা পাঁচটি স্থাপনার নাম পরিবর্তন করা হয়েছে।

শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম রিজেন্ট বোর্ডের ১০৫তম সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

যবিপ্রবির রিজেন্ট বোর্ড সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ি, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব একাডেমিক ভবনের নাম পরিবর্তন করে কবি নজরুল একাডেমিক ভবন, শেখ হাসিনা ছাত্রী হলের নাম পরিবর্তন করে তাপসী রাবেয়া হল, শেখ রাসেল জিমনেসিয়ামের নাম পরিবর্তন করে বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান জিমনেসিয়াম রাখা হয়েছে।

এছাড়া ড. এমএ ওয়াজেদ মিয়া ইনস্টিটিউট ফর অ্যাডভ্যান্সড স্টাডিজের নাম পরিবর্তন করে ইনস্টিটিউট ফর হায়ার স্টাডিজ অ্যান্ড রিসার্চ রাখা হয়েছে।  

এদিকে একই রিজেন্ট বোর্ডের সভায় যবিপ্রবি ঝিনাইদহের ভেটেরিনারি মেডিসিন অনুষদের ভেটেরিনারি ছাত্র হলের নাম পরিবর্তন করে রাখা হয়েছে কবি গোলাম মোস্তফা হল।

জুলাই বিপ্লব পরবর্তী সময়ে শিক্ষার্থীদের দীর্ঘদিনের দাবি ছিল, শেখ পরিবারের নামে থাকা বিভিন্ন স্থাপনার নাম পরিবর্তন করতে হবে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বিজ্ঞপ্তি দিয়ে নতুন নাম আহ্বান করে ও পরবর্তীতে যবিপ্রবির ১০৫তম রিজেন্ট বোর্ড সভায় উপস্থিত সদস্যদের সর্বসম্মতিক্রমে শেখ পরিবারের নামে থাকা স্থাপনাগুলোর নাম পরিবর্তন করা হয়।

ঢাকা/ইমদাদুল/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ