জাটকা রক্ষায় পদ্মা-মেঘনায় মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা শুরু
Published: 1st, March 2025 GMT
সানবিডি২৪ এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন
ইলিশের প্রজনন মৌসুমে জাটকা রক্ষায় চাঁদপুরের পদ্মা-মেঘনাসহ ৬টি নদী অঞ্চলে দুই মাস মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা শুরু হয়েছে। শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) মধ্যরাত থেকে শুরু হওয়া এই নিষেধাজ্ঞা আগামী ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত চলবে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চাঁদপুর নৌ অঞ্চলের সহকারী পুলিশ সুপার মো.
তিনি জানান, জাটকা রক্ষায় নদীতে নৌপুলিশের অভিযান শুরু হয়েছে। নৌপুলিশের ১২টি থানা ও ফাঁড়ির দেড় শতাধিক পুলিশ সদস্য নিয়োজিত থাকবে। এর মধ্যে ২৬টি টহল টিম পালাক্রমে নদীতে অভিযান পরিচালনা করবে। পুলিশ নদীতে অবস্থান করছে। কোনো জেলে আইন অমান্য করে নদীতে নামলে মৎস্য আইনে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
নৌপুলিশ জানায়, চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার ষাটনল থেকে লক্ষ্মীপুর জেলার চর আলেকজেন্ডার পর্যন্ত ১০০ কিলোমিটার এলাকায় জাল ফেলা, মাছ আহরণ, ক্রয়-বিক্রয়, মজুদ ও পরিবহন সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে নদীতে মাছ শিকার করতে গিয়ে কোন জেলে ধরা পড়লে কমপক্ষে এক থেকে দুই বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড বা সর্বোচ্চ পাঁচ হাজার টাকা জরিমানাসহ উভয় দণ্ডিত হতে পারেন।এদিকে শনিবার (১মার্চ) ভোর থেকে চাঁদপুরে পদ্মা-মেঘনার নৌ সীমানায় জাটকা রক্ষায় টহল অভিযান শুরু করেছে মৎস্য বিভাগ, নৌপুলিশ ও কোস্ট গার্ড। নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে কেউ যেন মাছ ধরতে নদীতে না নামেন এজন্য জেলে পাড়ায় স্পিডবোট নিয়ে ঘুরে ঘুরে মাইকিং করছেন নৌপুলিশের সদস্যরা।
এনজে
উৎস: SunBD 24
এছাড়াও পড়ুন:
শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি ৩০ হাজার টাকা করার দাবি টিইউসির
শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি ৩০ হাজার টাকা ঘোষণা করার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্র (টিইউসি)। পাশাপাশি রেশন প্রথা চালু করে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য সস্তা ও ন্যায্যমূল্যে শ্রমজীবী মানুষের জন্য সরবরাহের দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি।
আজ সোমবার রাজধানীর পুরানা পল্টনের মণি সিংহ-ফরহাদ স্মৃতি ট্রাস্ট ভবনের মুনির আজাদ সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত টিইউসির কেন্দ্রীয় কমিটির সভায় এসব দাবি জানান সংগঠনের নেতারা। এ সময় বন্ধ হওয়া পাট, সুতা, বস্ত্র, চিনিকলসহ সব কলকারখানা আধুনিকায়ন করে রাষ্ট্রীয় মালিকানায় চালুর দাবিও জানানো হয়।
সভায় টিইউসির নেতারা বলেন, অতীতের মতো বর্তমানেও দেশের শ্রমজীবী মানুষ মানবেতর জীবন যাপন করছেন। দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণহীন হওয়ায় মেহনতি মানুষের পক্ষে জীবিকা নির্বাহ করা দুরূহ হয়ে পড়েছে। শ্রমজীবী মানুষের ওপর চাঁদাবাজি, হয়রানি, নির্যাতন অহরহ ঘটছে। শ্রমিকেরা দীর্ঘদিন ধরে কলকারখানা ও অঞ্চলভিত্তিক রেশনের মাধ্যমে চাল, ডাল, তেল, আটা ও শিশুখাদ্য সরবরাহের দাবি করলেও সরকারের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।
টিইউসির নেতারা আরও বলেন, শ্রমিকদের খাতভিত্তিক ঘোষিত মজুরি দেওয়া হচ্ছে না। অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতের শ্রমিকদের স্বীকৃতি নেই। শ্রম আইনের আওতায় না থাকার কারণে তাঁরা ন্যূনতম সুযোগ-সুবিধা থেকেও বঞ্চিত। আউটসোর্সিংয়ে নিয়োগের মাধ্যমে শ্রমিকদের মৌলিক ট্রেড ইউনিয়ন অধিকার খর্ব করা হচ্ছে। নারী শ্রমিকেরা নানাভাবে নির্যাতিত ও নিগৃহীত হচ্ছেন। শ্রেণিবৈষম্য দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। শ্রম অধিকার সংকুচিত হচ্ছে। ছাত্র-শ্রমিক-জনতার অভ্যুত্থানে ৫ আগস্ট সরকার পরিবর্তিত হলেও শ্রমজীবী মানুষের ওপর শোষণ–নির্যাতন অব্যাহত রয়েছে।
টিইউসির সহসভাপতি মাহবুব আলমের সভাপতিত্বে সভায় শুরুতে বিদ্যমান শ্রম পরিস্থিতি প্রতিবেদন উত্থাপন করেন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ।
সভায় আরও বক্তব্য দেন টিইউসির সহসভাপতি আবদুর রাজ্জাক, সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুল মালেক, দপ্তর সম্পাদক সাহিদা পারভীন, অর্থ সম্পাদক কাজী মো. রুহুল আমিন, প্রচার সম্পাদক মোবারক হোসেন প্রমুখ।