প্রায় ৬ বছর আগে ফেসবুকে পরিচয়। সেই পরিচয় থেকে প্রেম এবং অতঃপর  বিয়ে। প্রেমের টানে ইউক্রেন থেকে বাংলাদেশে এসেছে বিয়ে করেছে সালো নাদিয়া নামের ৫০ বছরের এক নারী। তার স্বামী কুমিল্লা নগরীর মোতাসিন বিল্লাহ। বয়স ৬৩। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে রীতিমত ভাইরাল এ বিয়ে। 

এর আগে গত ১৯ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশে আসেন নাদিয়া। পরে নোটারি পাবলিকের মাধ্যমে ২৫ ফেব্রুয়ারি বিয়ে করেন দুজন। এর পর থেকে নববধূকে দেখতে লোকজন ছুটে যাচ্ছেন বাড়িতে।

প্রেমিক মোতাসিন বিল্লাহ কুমিল্লা নগরীর চর্থা বড়পুকুর পাড় এলাকার মৃত আব্দুল হালিম চৌধুরীর ছোট ছেলে। তিনি একজন ব্যবসায়ী। তিন ভাই ও এক বোনের মধ্যে তিনি সবার ছোট। নাদিয়াকে নিয়ে নিজের ফ্ল্যাটে বসবাস করছেন।

আজ শনিবার দুপুরে সমকালকে এসব তথ্য জানিয়েছেন মোতাসিন বিল্লাহ। তিনি বলেন, ২০১৯ সালে ফেসবুকে পরিচয় হয় সাইকোলজিস্ট সালো নাদিয়ার সাথে। পরে দুজনের মধ্যে আলাপ হতে থাকে। বছর দুয়ের মাথায় কথা বলতে বলতে একপর্যায়ে নাদিয়াকে প্রেম নিবেদন করেন মোতাসিন বিল্লাহ। তাতে সায় দেন নাদিয়াও। দুজনের মধ্যে ভালো বুঝাপড়া হওয়ায় সিদ্ধান্ত নেন যুগলবন্দী হওয়ার। সেই সূত্রে গত ১৯ ফেব্রুয়ারি ঢাকা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নামেন ৫০ বছর বয়সী নাদিয়া।

মোতাসিন বিল্লাহ আরও বলেন, ‘নাদিয়া ইউক্রেনের নাগরিক হলেও ১৫ বছর ধরে চেক প্রজাতন্ত্রের রাজধানী প্রাগে বসবাস করেন। একটি সেখানে সাইকোলজিস্ট হিসেবে মানুষকে চিকিৎসাসেবা দিচ্ছেন নাদিয়া। নাদিয়া ইউক্রেনীয় ও স্প্যানিশ ভাষায় কথা বললেও ইংরেজি ভাষাও জানে। তার সাথে আমার ইংরেজি ভাষায় কথা হয়। ধীরে ধীরে বাংলাও শিখতে চেষ্টা করছে সে।’

তিনি বলেন, ‘নাদিয়া খুবই ভালো একজন মানুষ। সে বাংলাদেশকে খুব পছন্দ করে। তবে বাংলাদেশের জলবায়ু ও জনসংখ্যা নিয়ে তার কিছুটা আপত্তি আছে। বাংলাদেশি পোশাক তার প্রিয়। কুমিল্লার রসমালাই খেতে পছন্দ করে নাদিয়া। বাংলাদেশের অতিরিক্ত ঝাল দিয়ে রান্না তার ভালো লাগে না। কয়েকদিন বাংলাদেশে থাকবে। আবার চেক প্রজাতন্ত্রে ফিরে যাবে। সেখানে যাওয়ার পর আমার ভিসার জন্য চেষ্টা করবে। আমি যাওয়া আসার মধ্যে থাকবো। সে-ও বাংলাদেশে যাওয়া-আসা করবে।’ দাম্পত্য জীবন সুখের জন্য সবার কাছে দোয়া চেয়েছেন মোতাসিন বিল্লাহ। 
 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ইউক র ন প র ম সফল ইউক র ন

এছাড়াও পড়ুন:

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়: আবারও উপাচার্যবিরোধী আন্দোলনে শিক্ষার্থীরা

উপাচার্যের একের পর এক বিতর্কিত সিদ্ধান্তে বারবার অশান্ত হয়ে উঠছে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় (ববি)। গত ২৩ সেপ্টেম্বর অধ্যাপক ড. শুচিতা শারমিন উপাচার্য নিযুক্ত হওয়ার পর গত ৭ মাসে একাধিকবার তাঁর পদত্যাগ দাবিতে আন্দোলনে নামেন শিক্ষার্থীরা। সর্বশেষ ইংরেজি বিভাগের  অধ্যাপক ড. মুহসিন উদ্দিনকে বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের দোসর আখ্যা দিয়ে সিন্ডিকেট ও একাডেমিক কাউন্সিল থেকে অব্যাহতি দেওয়ার প্রতিবাদে তারা আবারও আন্দোলনে নেমেছেন। ড. মুহসিনকে পুনর্বহাল ও উপাচার্যকে ক্ষমা চাওয়ার দাবিতে শিক্ষার্থীরা সোমবার ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম দেন।

ড. মুহসিন জুলাই আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের পক্ষে এবং উপাচার্যের আস্থাভাজন শিক্ষকরা আন্দোলনের বিপক্ষে ছিলেন– তাঁর একটি ভার্চুয়াল সভার অডিও গত শনিবার ভাইরাল হয়। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের আগের দিন ৪ আগস্ট তৎকালীন উপাচার্য অধ্যাপক ড. বদরুজ্জামান ভূঁইয়া আওয়ামী লীগপন্থি শিক্ষকদের নিয়ে ওই সভাটি করেছিলেন। অডিও ভাইরাল হওয়ার পর ড. মুহসিনকে পুনর্বহালের দাবিতে আন্দোলনে নামেন শিক্ষার্থীরা।

সোমবার দুপুরে ক্যাম্পাসে মানববন্ধন ও পরে উপাচার্যের দপ্তরে গিয়ে শিক্ষার্থীরা ৪ দফা দাবিসংবলিত স্মারকলিপি দেন। এতে উল্লেখ করা হয়েছে, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দাবি না মানলে কঠোর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে। দাবিগুলো হলো– অধ্যাপক মুহসিন উদ্দিনের বিরুদ্ধে মিথ্যা-অপমানজনক অপবাদ প্রত্যাহার, সিন্ডিকেট ও একাডেমিক কাউন্সিলের সদস্য পদে পুনর্বহাল; অবসরের পর চুক্তিভিত্তিক নিয়োগপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার মনিরুল ইসলামকে অপসারণ; ফ্যাসিবাদ ও স্বৈরাচারের দোসর শিক্ষকদের লাভজনক কমিটি থেকে অপসারণ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের দৃশ্যমান উন্নয়ন না করে একের পর এক বিতর্কিত সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও ফ্যাসিবাদের দোসরদের পুনর্বাসন করায় উপাচার্যকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাওয়া।

আন্দোলনকারীদের অন্যতম ইংরেজি চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী রাকিন খান জানান, একজন নিরপরাধ শিক্ষককে মিথ্যা অপবাদ দেওয়ায় সাধারণ শিক্ষর্থীরা ক্ষুব্ধ। সোমবার তারা উপাচার্যের দপ্তরে গিয়ে স্মারকলিপি দিয়েছেন। তারা জেনেছেন, গতকাল তিনি ক্যাম্পাসে ছিলেন না। চার দফা দাবি না মানলে বড় আন্দোলন গড়ে তুলবেন। 

উপাচার্যের বিরুদ্ধে যত অভিযোগ
ড. শুচিতা যোগদানের পরই শিক্ষার্থীরা অভিযোগ তোলেন, তিনি রংপুর বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য ড. নাজমুল আহসান কলিমুল্লাহর অনুসারী। জাতীয় নির্বাচন পর্যবেক্ষণ পরিষদের ৩৫০ বিশিষ্টজন গত বছর দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের সমর্থনে বিবৃতি দিয়েছিলেন। উপাচার্যও সেই বিবৃতিদাতাদের একজন। এ ছাড়া কলিমুল্লাহকে ববির একাডেমিক কাউন্সিলর, পরীক্ষা কমিটি ও পূর্বের চাকরি গণনা কমিটির সদস্য করা হলে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে প্রত্যাহার করেন তিনি। 

উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. গোলাম রাব্বানীর অভিযোগ, তিনি সব একাডেমিক কাজের প্রশাসনিক তত্ত্বাবধান করবেন। কিন্তু উপাচার্য তাঁকে বাদ দিয়েই নথিভিত্তিক ও সভাভিত্তিক একাডেমিক সিদ্ধান্ত নেন। কোষাধ্যক্ষ ড. মামুন অর রশিদের অভিযোগ, বিশ্ববিদ্যালয়ের বিধিতে ৩ লাখ টাকা পর্যন্ত চেক কোষাধ্যক্ষ এবং তদূর্ধ্ব চেক উপাচার্য ও কোষাধ্যক্ষ যৌথ স্বাক্ষর করবেন। কিন্তু উপাচার্য সব চেকে একাই স্বাক্ষর করেন। এসব অভিযোগ এর আগে শিক্ষার্থীরা দুইবার উপচার্যের পদত্যাগে এক দফার আন্দোলনে নেমেছিলেন। গত ২৮ নভেম্বর তাঁর কক্ষে তালাও লাগিয়েছিলেন তারা। 

শিক্ষার্থীদের দাবির বিষয়ে বক্তব্য জানতে উপাচার্য ড. শুচিতা শারমিনের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল ও মেসেজ দেওয়া হলেও তিনি সাড়া দেননি। পরে সোমবার রাতে তাঁর ব্যক্তিগত কর্মকর্তা সাকিব হোসেন জানান, উপাচার্য সারাদিন একাধিক বৈঠক করেছেন। এখন তিনি বিশ্রামে রয়েছেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • বৈরুতে ইসরায়েলি হামলা, ইসলামপন্থী নেতা নিহত
  • নেতৃত্বশূন্য পাকিস্তানের ভবিষ্যৎ কী
  • পদ্মাপাড়ের মাটি বিক্রি করছেন সাবেক ছাত্রদল নেতা, হুমকিতে পুলিশ একাডেমিসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা
  • যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রীও মনে করেন, ট্রান্স নারী মানেই নারী নন
  • সিটি কলেজের স্থাপনায় হামলা পুলিশ দাঁড়িয়ে দেখেছে: ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ
  • মহানবীকে নিয়ে কটূক্তির অভিযোগে মহাখালী-সাতরাস্তা সড়ক অবরোধ
  • শাশুড়িকে নারীর চোখে ‘দানব’ বানায় কে
  • সাগর-রুনি হত্যা মামলা তদন্তে সময় বাড়ানো হলো আরও ৬ মাস
  • ‘মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নয়নে ট্রেনিং-রিসার্চকে গুরুত্ব দিতে হবে’
  • বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়: আবারও উপাচার্যবিরোধী আন্দোলনে শিক্ষার্থীরা