জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৪-২০২৫ শিক্ষাবর্ষে প্রথম বর্ষ স্নাতক (সম্মান) ভর্তিতে অনলাইনে প্রাথমিক আবেদনের সময় বৃদ্ধি করা হয়েছে। এখন শিক্ষার্থীরা ২০ মার্চ রাত ১২টা পর্যন্ত আবেদন করতে পারবেন। বুধবারের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়েছে।

গত ২১ জানুয়ারি বিকেল ৪টা থেকে শুরু হয় প্রাথমিক আবেদন। ২৮ ফেব্রুয়ারি রাত ১২টা পর্যন্ত ছিল আবেদনের সময়। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক (সম্মান) শ্রেণিতে ভর্তির পরীক্ষা আগামী ৩ মে অনুষ্ঠিত হবে।

আগ্রহী প্রার্থীদের জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তিবিষয়ক www.

nu.ac.bd/admissions ওয়েবসাইট থেকে আবেদন ফরম পূরণ করতে হবে। প্রাথমিক আবেদন ফি বাবদ ৭০০ টাকা আবেদনকৃত কলেজে (কলেজ কর্তৃক নির্ধারিত মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে অথবা সরাসরি) ২২ মার্চের মধ্যে অবশ্যই জমা দিতে হবে। আবেদনকারীকে অবশ্যই ভর্তি নির্দেশিকায় বিবৃত সব শর্ত মেনে অনলাইন আবেদন ফরম পূরণ করতে হবে।

১ম বর্ষ স্নাতক (সম্মান) শ্রেণির অনলাইন ভর্তি কার্যক্রমে প্রাথমিক আবেদন ফরম পূরণের শর্তগুলো ও ভর্তি সংক্রান্ত নির্দেশিকা জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি বিষয়ক ওয়েবসাইটে (www.nu.ac.bd/admissions) মিলবে। এই ওয়েবসাইটে Honours অপশনে গিয়ে Honours Admission Guideline লিংকে ক্লিক করতে হবে। আবেদনকারীকে অবশ্যই ভর্তি নির্দেশিকায় বিবৃত সকল শর্ত মেনে অনলাইন আবেদন ফরম পূরণ করতে হবে।

আরও পড়ুনচায়নিজ গভর্নমেন্ট স্কলারশিপ, প্রয়োজন নেই আইইএলটিএস২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

আগ্রহী প্রার্থীদের জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তিবিষয়ক www.nu.ac.bd/admissions ওয়েবসাইট থেকে আবেদন ফরম পূরণ করতে হবে। প্রাথমিক আবেদন ফি বাবদ ৭০০ টাকা আবেদনকৃত কলেজে (কলেজ কর্তৃক নির্ধারিত মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে অথবা সরাসরি) ২ মার্চের মধ্যে অবশ্যই জমা দিতে হবে। আবেদনকারীকে অবশ্যই ভর্তি নির্দেশিকায় বিবৃত সব শর্ত মেনে অনলাইন আবেদন ফরম পূরণ করতে হবে।

আরও পড়ুনজাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রফেশনাল মাস্টার্স, ফি ৩০০ টাকা১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ভর্তি পরীক্ষার নম্বর কত—

ভর্তি পরীক্ষায় উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ে বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা শাখার শিক্ষার্থীদের জন্য আলাদাভাবে ১০০ নম্বরের এমসিকিউ পরীক্ষা গ্রহণ করা হবে। এমসিকিউ পদ্ধতিতে ১০০ নম্বরের ভর্তি পরীক্ষায় ১০০টি প্রশ্নের উত্তর ১ ঘণ্টা সময়ের মধ্যে দিতে হবে। ভর্তি পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বরের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের এসএসসি পরীক্ষায় প্রাপ্ত জিপিএর ৪০ শতাংশ ও এইচএসসি পরীক্ষায় প্রাপ্ত জিপিএর ৬০ শতাংশ যোগ করে সর্বমোট ২০০ নম্বরের মধ্যে মেধাতালিকা প্রস্তুত করা হবে। পরবর্তী সময়ে প্রতিটি কলেজের জন্য আলাদাভাবে বিষয়ভিত্তিক মেধাতালিকা প্রণয়ন করে শিক্ষার্থীদের বিষয় বরাদ্দ দেওয়া হবে।

*ভর্তি বিজ্ঞপ্তির বিস্তারিত দেখতে ও আবেদনের পদ্ধতি দেখতে এখান ক্লিক করুন

আরও পড়ুনকৃষি গুচ্ছের ৯ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিতে আবেদন শুরু, ৩৮৬৩ আসনে দ্বিতীয়বার সুযোগ, জেনে নিন খুঁটিনাটি১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫আরও পড়ুনশিক্ষক-শিক্ষার্থী-কর্মচারীরা পাবেন অনুদান, আবেদন অনলাইনে২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: পর ক ষ য়

এছাড়াও পড়ুন:

শতবর্ষী রাস্তার ওপর সবজি চাষ আওয়ামী লীগ নেতার

চারঘাটের সরদহ ইউনিয়নের খোর্দগোবিন্দপুর মাঠপাড়ার গ্রামীণ রাস্তা দিয়ে শত বছর ধরে গ্রামের মানুষ চলাচল করছেন। রাস্তাটি পাকা করতে দরপত্রও করা হয়েছে। সেই রাস্তার জমি নিজের দাবি করে পটোল রোপণ করেছেন স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা সমজান আলী। এতে মানুষের চলাচল ও মাঠের ফসল পরিবহনে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। স্থানীয়রা প্রশাসনের কাছে এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
এক যুগে কয়েক দফা কাজের বিনিময়ে খাদ্য (কাবিখা) কর্মসূচির আওতায় শতবর্ষী মাটির রাস্তাটির সংস্কার করা হয়। উপজেলা প্রকৌশল বিভাগ থেকে রাস্তাটি পাকাকরণের জন্য দরপত্র হয়েছে। এর মধ্যে পাশের জমির মালিক সমজান আলী শ্রমিক দিয়ে রাস্তা কেটে ফসলি জমি বানিয়েছেন। তিনি ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য হলেও গত পাঁচ আগস্টের পর থেকে বিএনপি-জামায়াতের লোকজনের সঙ্গে চলাফেরা করছেন।
সোমবার সকালে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা গেছে, দৈর্ঘ্যে ১২০ ফুট ও প্রস্থে ৪ ফুট অংশ কেটে নিজের জমির সঙ্গে মিলিয়ে দিয়েছেন সমজান আলী। সেখানে পটোল রোপণ করা হয়েছে। ১৩ ফুট প্রস্থের সড়ক থেকে আরও ৪ ফুট কেটে নেওয়া হবে বলে স্থানীয়দের জানিয়েছেন তিনি। এ অবস্থায় প্রকৌশল বিভাগের রাস্তা পাকাকরণ কাজ অনিশ্চয়তায় পড়েছে। স্থানীয়রা বাধা দিলেও রাস্তা কাটা বন্ধ না করে উল্টো হুমকি দেন সমজান আলী।
স্থানীয় ষাটোর্ধ্ব রেজাউল করিম বলেন, রাস্তাটি পাকাকরণের দরপত্র হয়েছে। এখন সেই রাস্তার বেশির ভাগ অংশ নিজের দাবি করে কেটে ফেলেছেন আওয়ামী লীগ নেতা সমজান আলী।
নাইমুর রহমান বলেন, বাবা-দাদা সবাই এই রাস্তা দিয়ে চলাচল করেছেন। এখন শত শত মানুষের চলাচল। মাঠপাড়ার ফসল ভ্যান, ট্রলি ও মিনি ট্রাকে করে এই রাস্তা দিয়ে বাজারে নেওয়া হয়। কাউকে কিছু না জানিয়ে রাস্তাটি কেটে ফেলা হলো। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছি।
সমজান আলী বলেন, রাস্তার বেশির ভাগ অংশই আমার জমিতে। এ জন্য কিছু অংশ কেটে নিয়েছি। শুধু আমি রাস্তায় জমি দেব– তা হবে না। অন্যদেরও দিতে হবে। জমির কাগজপত্র দেখতে চাইলে তিনি বলেন, কাগজপত্র এখন কাছে নেই। তবে স্থানীয় আমিন সুবল চন্দ্র ছয় মাসে দুই দফা জমি পরিমাপ করেছে। মাপ অনুযায়ী রাস্তার বেশির ভাগ অংশ আমার জমিতে পড়েছে বলে তিনি জানিয়েছেন।
স্থানীয় আমিন বীর মুক্তিযোদ্ধা সুবল চন্দ্র বলেন, জমিটি দেড় থেকে দুই বছর আগে পরিমাপ করেছি। কিছু অংশ রাস্তার ভেতরে ছিল। রাস্তাটি এখন সরকারি সম্পদ। তাই সমজান আলী জমি নিতে পারবে না– এ তথ্য তাঁকে জানানো হয়েছিল। 
উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আরিফ হোসেন বলেন, কাগজপত্র যাচাই-বাছাইয়ের জন্য শুনানির নোটিশ করা হয়েছে। কাগজপত্র নিয়ে সমজান আলীকে আসতে বলা হয়েছে। তবে কোনো জমি ব্যক্তির সম্পত্তি হলেও ২০ বছর সেখানে মানুষজন হাঁটলেই তা সরকারি হয়ে যাবে। 

সম্পর্কিত নিবন্ধ