চকরিয়ার ওসিকে প্রত্যাহারের নির্দেশ স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার
Published: 1st, March 2025 GMT
কক্সবাজারের চকরিয়া থানার ওসি মনজুর কাদের ভূঁইয়াকে প্রত্যাহারের নির্দেশ দিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম।
সম্প্রতি কক্সবাজারের এক স্থানীয় সাংবাদিককে চকরিয়া থানার ওসি তুলে নিয়ে নির্যাতন করেছেন বলে অভিযোগ ওঠে। এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার দৃষ্টি আকর্ষণ করেন ভুক্তভোগী সাংবাদিক মনসুর আলম। এরপর উপদেষ্টা চট্টগ্রামের ডিআইজিকে ফোন করেন এবং ওসিকে প্রত্যাহারের নির্দেশ দেন।
শনিবার (১ মার্চ) সকালে কক্সবাজার জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে স্বরাষ্ট্র ও কৃষি মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এই আদেশ দেন।
আরো পড়ুন:
আমি কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সম্পৃক্ত নই: আসিফ মাহমুদ
বাহিনীর কারো গাফিলতি পেলে ছাড় নয়: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, “মিয়ানমার থেকে পণ্য আনার সময় সিটওয়েতে মিয়ানমার সরকারকে এবং নাফ নদী পার হওয়ার সময় আরাকান আর্মিকে ট্যাক্স দিতে হচ্ছে। সীমান্তের বর্তমান পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ সরকারকে আনুষ্ঠানিক ও অনানুষ্ঠানিকভাবে মিয়ানমার সরকারের পাশাপাশি উভয় পক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে হচ্ছে। এটি একটি বড় সমস্যা এবং তা সমাধানে সরকার কাজ করছে।”
কক্সবাজারে অপহরণের প্রবণতা বেড়ে গেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, “দেশে ১২ লাখ রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে। যাদের মধ্যে অনেকে অপহরণসহ বিভিন্ন অপরাধে জড়িত। রোহিঙ্গাদের যত দ্রুত নিজ দেশে ফেরত পাঠানো যাবে, ততই আমাদের দেশের জন্য মঙ্গল। সরকার তাদের দ্রুত ফেরত পাঠানোর চেষ্টা করছে।”
সভায় সশস্ত্র বাহিনী, পুলিশ, র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব), বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি), আনসার, কারা অধিদপ্তর, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তর, ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তর, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর এবং কৃষি মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন কক্সবাজার জেলার দপ্তর ও সংস্থার কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
ঢাকা/তারেকুর/মাসুদ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর উপদ ষ ট সরক র
এছাড়াও পড়ুন:
ইংল্যান্ড হারলে বাড়তি কত টাকা পাবে বাংলাদেশ?
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির মিশন শেষ হয়েছে বাংলাদেশের। তিন ম্যাচে দুই হার ও এক ম্যাচ পরিত্যক্ত হওয়ার ফলে মাত্র ১ পয়েন্ট নিয়ে টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নিয়েছে টাইগাররা। তবে মাঠের লড়াই শেষ হলেও আর্থিক দিক থেকে এখনও একটি সম্ভাবনা রয়েছে বাংলাদেশের জন্য।
আইসিসির নির্ধারিত প্রাইজমানি অনুযায়ী, অংশগ্রহণকারী প্রতিটি দলই শুধুমাত্র টুর্নামেন্টে খেললেই পাবে ১ লাখ ২৫ হাজার ডলার (প্রায় দেড় কোটি টাকা)। এছাড়া ৭ম ও ৮ম স্থান অধিকারী দল দুটি পাবে ১ লাখ ৪০ হাজার ডলার (প্রায় ১ কোটি ৬৮ লাখ টাকা) করে। অর্থাৎ বাংলাদেশ যদি ৭ম বা ৮ম স্থান অর্জন করে, তাহলে প্রায় ৩ কোটি টাকার বেশি প্রাইজমানি নিশ্চিত হবে।
তবে বাংলাদেশের প্রাপ্ত অর্থ আরও বাড়তে পারে ইংল্যান্ডের পারফরম্যান্সের ওপর নির্ভর করে। ইংল্যান্ড যদি গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে হেরে যায়, তাহলে তাদের পয়েন্ট থাকবে ০ এবং তারা ৮ম স্থানে থাকবে। সেক্ষেত্রে বাংলাদেশ ৬ষ্ঠ স্থান অর্জন করবে এবং ৩ লাখ ৫০ হাজার ডলার (প্রায় ৪ কোটি ২০ লাখ টাকা) প্রাইজমানি পাবে। সাথে অংশগ্রহণ বাবদ পাওয়া দেড় কোটি টাকা যোগ করলে মোট আয় দাঁড়াবে প্রায় ৫ কোটি ৭০ লাখ টাকা। যা ৭ম বা ৮ম স্থান অর্জনের চেয়ে প্রায় ৩ কোটি টাকা বেশি।
অর্থের হিসাব একদিকে থাক, তবে মাঠের পারফরম্যান্সে এবারের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি বাংলাদেশ দলের জন্য ছিল হতাশাজনক। ভারত ও নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে তেমন কোনো প্রতিরোধ গড়তে পারেনি টাইগাররা, যার ফলে টুর্নামেন্টে বাংলাদেশের অভিযান শেষ হয়েছে রীতিমতো ব্যর্থতার ছাপ রেখে।