যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধানকে অবসরে পাঠাল ট্রাম্প প্রশাসন
Published: 1st, March 2025 GMT
যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনীর স্বাস্থ্যবিষয়ক সংস্থার প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল টেলিটা ক্রসল্যান্ডকে গতকাল শুক্রবার বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়েছে। সংশ্লিষ্ট দুটি সূত্রের বরাতে বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ তথ্য জানিয়েছে। টেলিটা মার্কিন সেনাবাহিনীর অন্যতম জ্যেষ্ঠ কৃষ্ণাঙ্গ নারী কর্মকর্তা।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জয়েন্ট চিফস অব স্টাফের চেয়ারম্যান ও অন্য জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের বরখাস্ত করার মাত্র এক সপ্তাহের মাথায় ক্রসল্যান্ডকে অবসরে পাঠানো হলো।
ক্রসল্যান্ডের অবসরে যাওয়ার কথাটি জনসাধারণের কাছে প্রকাশ করা হলেও তাঁকে যে ৩২ বছরের কর্মজীবন থেকে অবসরে যেতে বাধ্য করা হয়েছে, সে ব্যাপারে রয়টার্সই প্রথম খবর প্রকাশ করেছে।
শুক্রবার স্বাস্থ্যবিষয়ক প্রতিরক্ষা বিভাগের ভারপ্রাপ্ত সহকারী সচিব স্টিফেন ফেরারা বলেছেন, ক্রসল্যান্ডের অবসরকাল শুরু হয়েছে।
ফেরারা এক বিবৃতিতে বলেন, ‘ক্রসল্যান্ড ৩২ বছর ধরে জাতির প্রতি, সামরিক স্বাস্থ্যব্যবস্থার প্রতি এবং সেনাবাহিনীর ওষুধ ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে যে অবদান রেখেছেন, তার জন্য তাঁকে ধন্যবাদ জানাতে চাই।’
তবে সাবেক ও বর্তমান দুই কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেছেন, ক্রসল্যান্ডকে বলা হয়েছিল তাঁকে অবশ্যই অবসর নিতে হবে। কেন তা বলা হয়েছে, সে ব্যাপারে তাঁকে জানানো হয়নি।
ক্রসল্যান্ড কেন অবসরে গেলেন, সে ব্যাপারে বলতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে পেন্টাগন। তারা রয়টার্সকে এ ব্যাপারে সামরিক স্বাস্থ্য সংস্থা ডিফেন্স হোমল্যান্ড এজেন্সির সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলেছে। রয়টার্স ওই সংস্থার সঙ্গেও যোগাযোগ করেছিল। তবে তাৎক্ষণিক সাড়া পাওয়া যায়নি।
পিট হেগসেথ মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ামাত্রই পেন্টাগনের বৈচিত্র্য, সমতা ও অন্তর্ভুক্তিমূলক উদ্যোগগুলোকে বাতিল করার পদক্ষেপ নিয়েছেন। তাঁর দাবি, এসব উদ্যোগ বৈষম্যমূলক ছিল।
এ ছাড়া হেগসেথ ব্ল্যাক হিস্ট্রি মান্থ এবং উম্যানস হিস্ট্রি মান্থের মতো আত্মপরিচয়ের স্বীকৃতিমূলক মাসগুলোর উদ্যাপন বন্ধ করে দিয়েছেন।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: রয়ট র স
এছাড়াও পড়ুন:
অভিনয়কে বিদায় সোহেল রানার, করবেন না সক্রিয় রাজনীতি
চলচ্চিত্রের বরেণ্য অভিনেতা ও প্রযোজক সোহেল রানা। দীর্ঘ অভিনয় ক্যারিয়ারে তিন শতাধিক চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন তিনি। চলচ্চিত্রের পাশাপাশি রাজনীতির মাঠেও পাওয়া গেছে তাকে। অবশেষে আনুষ্ঠানিকভাবে অভিনয়কে বিদায় বলে দিলেন এই বরেণ্য চলচ্চিত্র ব্যক্তিত্ব। জানালেন রাজনৈতিক কর্মকান্ডেও আর দেখা যাবে না তাকে।
এ প্রসঙ্গে সোহেল রানা বলেন ‘১৯৭৩ সালে অভিনেতা হিসেবে ক্যামেরার সামনে দাঁড়িয়েছিলাম। সেই হিসাবে প্রায় ৫২ বছর হয়ে গেছে। চলতে চলতে তো একসময় শেষ হতেই হয়। অভিনয়টা এখনো বুকের মধ্যে লালন করলেও প্রফেশনাল অভিনয়ে আর দেখা যাবে না আমাকে। অ্যাকটিভ রাজনীতি ও প্রফেশনাল অভিনয় থেকে অবসরের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। নতুন করে আর পর্দায় দেখা যাবে না। শরীরটাও আর সাপোর্ট করছে না।
তবে এখনো একটা সিনেমা পরিচালনা করার ইচ্ছা আছে তাঁর। মূলত বয়সের কারণেই অবসরের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সোহেল রানা। অভিনয় থেকে অবসরের সবচেয়ে বড় কারণ বয়স। এখন তার বয়স ৭৯ বছর।
অভিনয় ছাড়ার সিদ্ধান্ত জানানোর সময় দেশের চলচ্চিত্রজগৎ নিয়ে নিজের আক্ষেপের কথা জানিয়ে সোহেল রানা বলেন, ‘চলচ্চিত্রজগৎ তো এখন শেষ। এখন দু-চারজন যারা করছে, তাদের সঙ্গে আমাদের প্রজন্মের মিলছে না। যেভাবে আমাদের ব্যবহার করার কথা, তেমন উপযুক্ততা তাদের নেই। বিদেশি সিনেমায় দেখি, আমাদের বয়সের শিল্পীরা দিব্যি কাজ করছেন। তাদের জন্য আলাদাভাবে চরিত্র ও গল্প লেখা হচ্ছে। কিন্তু আমাদের দেশে সে রকম কিছু হচ্ছে না। আমাদের এখানে শিল্পীদের বয়স হয়ে গেলে শুধু বাবা-মা, চাচাদের ক্যারেক্টার হিসেবে ব্যবহার করা হয়। পারফর্ম করার সুযোগ থাকলে এ ধরনের চরিত্রে অভিনয় করা কোনো সমস্যা নয়। কিন্তু তা না হলে তো অভিনয়ের কোনো মানে হয় না। আমি সেই জায়গায় থেকেই চলে যেতে চাই। মানুষ আমাকে ভালোবাসে, সম্মান করে। মানুষের এই ভালোবাসা নিয়ে আমি সরে যেতে চাচ্ছি।’
বাংলাদেশের প্রথম পূর্ণাঙ্গ মুক্তিযুদ্ধের চলচ্চিত্র ‘ওরা ১১ জন’-এর প্রযোজক হিসেবে চলচ্চিত্রজগতে প্রবেশ করেন মাসুদ পারভেজ ওরফে সোহেল রানা। সিনেমাটি ১৯৭২ সালে মুক্তি পায়। সোহেল রানার অভিনেতা হিসেবে আত্মপ্রকাশ এর দুই বছর পর ১৯৭৪ সালে কাজী আনোয়ার হোসেনের বিখ্যাত চরিত্র মাসুদ রানা হিসেবে।
‘মাসুদ রানা’ সিনেমাটা পরিচালনাও করেছিলেন তিনি। এরপর হয়ে ওঠেন ঢাকাই সিনেমার জনপ্রিয় নায়ক। তাকে সর্বশেষ দেখা গেছে তানভীর হোসেনের ‘মধ্যবিত্ত’ সিনেমায়। যদিও এক দশক ধরে সিনেমায় অনেকটা অনিয়মিত তিনি।