বগুড়া সদরের সাবগ্রাম এলাকায় মধ্যরাতে বাড়িতে ঢুকে মা-মেয়েকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। শুক্রবার দিবাগত রাতে উপজেলার সাবগ্রাম মধ্যপাড়া এই ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন- ছকিনা বেগম (৩৫) ও তার মা আনোয়ারা বেগম (৫৮)।
স্বজনদের অভিযোগ, বগুড়া সদরের আকাশতারা এলাকার রুবেল হোসেনের সঙ্গে ছকিনার বিয়ের ৭ বছর পর পারিবারিক কলহের জেরে প্রায় ১ মাস আগে তাদের মধ্যে বিচ্ছেদ হয়। শুক্রবার রাতে রুবেল প্রাক্তন স্ত্রী ছকিনার বাড়িতে গেলে বাকবিতণ্ডা শুরু হয়। একপর্যায়ে রুবেল ধারালো অস্ত্র দিয়ে ছকিনাকে কুপিয়ে আহত করে। এই সময় বাধা দিতে গেলে ছকিনার মা আনোয়ারা বেগমকেও কপেয়ে আহত করে।
এ সময় প্রতিবেশিরা তাদের চিৎকার শুনে এগিয়ে গেলে রুবেল পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠালে সেখানে শনিবার ভোরে ছকিনার মৃত্যু হয়। বেলা সাড়ে দশটার দিকে আনোয়ারা মারা যান।
বগুড়া সদর থানার ওসি (তদন্ত) একেএম মঈন উদ্দিন বলেন, কি কারণে কারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। অপরাধীকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
জেলেনস্কিকে হোয়াইট হাউজ থেকে বের হয়ে যেতে বলা হয়েছিল
খনিজ উপাদান হস্তান্তর সংক্রান্ত চুক্তি ও যুদ্ধ বন্ধ সংক্রান্ত আলোচনার জন্য শুক্রবার ওয়াশিংটন সফরে গিয়েছিলেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির জেলেনস্কি। সেখানে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং ভাইস প্রেসিডেন্ট জে ডি ভ্যান্সের সঙ্গে বৈঠকেও বসেছিলেন তিনি।
কিন্তু উত্তেজনা ও উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়ের মধ্যে দিয়ে শেষ হয়েছে সেই বৈঠক এবং ওয়াশিংটন থেকে জেলেনস্কি ফিরে গেছেন কোনো প্রকার চুক্তি স্বাক্ষর না করেই।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির হোয়াইট হাউজ সংবাদদাতা ট্রাম্প-জেলেনস্কির ওই বৈঠককে উত্তেজনার এক নজিরবিহীন মুহূর্ত বলে বর্ণনা করেছেন। হোয়াইট হাউজের একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, বৈঠকের এক পর্যায়ে জেলেনস্কিকে চলে যেতে বলা হয়।
আরো পড়ুন:
ট্রাম্প-জেলেনস্কির বাগবিতণ্ডা, প্রতিক্রিয়ায় যা বললেন বিশ্ব নেতারা
‘নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক’ সূত্র ব্যবহার করলে মামলার হুঁশিয়ারি ট্রাম্পের
বিবিসি বলছে, হোয়াইট হাউজে কোনো বিদেশি রাষ্ট্রনেতার সঙ্গে বৈঠকের পর তাকে নিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্টের যৌথ সংবাদ সম্মেলন করা রীতি হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবে ট্রাম্পের সঙ্গে জেলেনস্কির উত্তপ্ত বাক্যবিনিময়ের পর হোয়াইট হাউজ এ সংবাদ সম্মেলন বাতিল করার কথা জানায়। এরপর জেলেনস্কি ও তার সঙ্গে থাকা ইউক্রেনের অন্য কর্মকর্তাদের হোয়াইট হাউজ থেকে বেরিয়ে যেতে দেখা যায়।
জেলেনস্কি এবং ডোনাল্ড ট্রাম্প ও তার ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যানসের মধ্যে বৈঠকটি দ্রুত একটি প্রকাশ্য ‘বৈরী তর্ক-বিতর্কে’ পরিণত হয়েছিল। এ সময় মার্কিন প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কিকে ইউক্রেন সংঘাতের অবসানে আলোচনায় ‘অকৃতজ্ঞতা এবং অনিচ্ছার’ জন্য অভিযুক্ত করেন।
বৈঠকটি তিক্ত হয়ে ওঠে যখন ট্রাম্প জেলেনস্কিকে বলেন যে, যুদ্ধ বন্ধে রাশিয়ার সঙ্গে চুক্তি করতে চাইলে ইউক্রেনকে ছাড় দিতে হবে।
ট্রাম্পের এ কথার পরিপ্রেক্ষিতে জেলেনস্কি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের প্রতি ট্রাম্পের নরম মনোভাব নিয়ে তাকে চ্যালেঞ্জ করে বসেন। তিনি বলেন, “একজন খুনিকে কোনো ছাড় দেওয়া উচিত নয়।”
জেলেনস্কির সঙ্গে বৈঠক শেষ হওয়ার পরপরই ট্রাম্প ট্রুথ সোশ্যালে একে পোস্টে লেখেন, “জেলেনস্কি যুক্তরাষ্ট্র ও এ দেশের শ্রদ্ধার জায়গা ওভাল অফিসকে অসম্মান করেছেন। যেদিন তিনি শান্তির জন্য প্রস্তুত হবেন, আবার (হোয়াইট হাউজে) ফিরে আসতে পারেন।”
হোয়াইট হাউজ থেকে বেরিয়ে ফ্লোরিডার বাসভবনের উদ্দেশে রওনা হওয়ার সময় ট্রাম্প সাংবাদিকদের বলেন, “জেলেনস্কির বোঝা উচিত যে তিনি এ যুদ্ধে হারছেন।”
“তাকে বলতে হবে, ‘আমি শান্তি চাই।’ ‘পুতিন এটা, পুতিন ওটা’- শুধু এসব নেতিবাচক কথা বলে লাভ নেই। তাকে বলতে হবে, ‘আমি শান্তি স্থাপন করতে চাই। আমি আর যুদ্ধ চালিয়ে যেতে চাই না” বলেন ট্রাম্প।
বৈঠকের পর ফক্স নিউজকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জেলেনস্কি আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, “ট্রাম্পের সঙ্গে তার সম্পর্ক এখনও ঠিক করা সম্ভব।”
ঢাকা/ফিরোজ