সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের জীবনমান উন্নয়ন: আধুনিক দৃষ্টিকোণ ও গবেষণাধর্মী বিশ্লেষণ
Published: 1st, March 2025 GMT
বাংলাদেশের প্রাথমিক শিক্ষাব্যবস্থার অগ্রগতি দেশের সামগ্রিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। এর মধ্যে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছেন। শিক্ষকদের দক্ষতা ও জীবনমানের উন্নয়ন সরাসরি শিক্ষার গুণগত মানে প্রতিফলিত হয় এবং এটি শিক্ষার্থীদের ফলাফলেও প্রভাব ফেলে। তবে বর্তমানে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের কিছু বড় চ্যালেঞ্জ রয়েছে, যেমন সীমিত প্রশিক্ষণ, সুসংগঠিত বেতনকাঠামোর অভাব, সামাজিক মর্যাদা কম থাকা এবং শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যগত সমস্যা। এসব সমস্যার সমাধান কীভাবে করা যেতে পারে, সেটি এই নিবন্ধে আলোচিত হয়েছে।
১.আধুনিক শিক্ষক প্রশিক্ষণ ও দক্ষতা উন্নয়ন
বাংলাদেশের অধিকাংশ শিক্ষক এখনো ডিজিটাল শিক্ষা ও আধুনিক শিক্ষণপদ্ধতিতে পিছিয়ে আছেন, যা তাঁদের কার্যক্ষমতা কমিয়ে দেয়। তবে উন্নত দেশগুলোয় শিক্ষক প্রশিক্ষণপদ্ধতিতে বিপ্লব ঘটেছে, যা তাঁদের দক্ষতা বাড়ানোর পাশাপাশি শিক্ষার মানের উন্নতিতে সহায়ক হয়েছে। গবেষণায় দেখা গেছে, নিয়মিত ও আধুনিক প্রশিক্ষণের মাধ্যমে শিক্ষকেরা তাঁদের পেশাগত দক্ষতা বৃদ্ধি করতে সক্ষম হন, যা শিক্ষার্থীদের ফলাফলে পরোক্ষভাবে প্রতিফলিত হয়।
বাংলাদেশেও শিক্ষক প্রশিক্ষণপদ্ধতির আধুনিকীকরণ অত্যন্ত জরুরি। প্রতিবছর সেমিনার, ওয়ার্কশপ ও অনলাইন কোর্সের মাধ্যমে শিক্ষক প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা যেতে পারে। এর মাধ্যমে শিক্ষকদের দক্ষতা বৃদ্ধি পাবে এবং শ্রেণিকক্ষে ডিজিটাল কৌশল ব্যবহার করে শিক্ষার গুণগত মানে উন্নতি ঘটানো সম্ভব হবে।
২. শিক্ষকদের বেতনকাঠামো ও আর্থিক নিরাপত্তালেখকউৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: শ ক ষকদ র
এছাড়াও পড়ুন:
৩৫০-৪০০ করে জিম্বাবুয়েকে ৩০০ রানের টার্গেট দিতে চায় বাংলাদেশ
ব্যাটিং ব্যর্থতায় জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে প্রথম দিন ডুবেছিল বাংলাদেশ। বোলিংটাও হয়নি মনোঃপুত। তবে দ্বিতীয় দিন বোলারাই উদ্ধার করেছে বাংলাদেশকে।
সোমবার সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে দ্বিতীয় দিনের লড়াই শেষে দুই দলের কাউকেই এগিয়ে রাখার সুযোগ নেই। বাংলাদেশের করা ১৯১ রানের জবাবে ২৭৩ রান করে জিম্বাবুয়ে। ৮২ রানের লিড পায় তারা। জবাব দিতে নেমে ১ উইকেটে ৫৭ রান তুলেছে স্বাগতিকরা। হাতে ৯ উইকেট রেখে বাংলাদেশ কতদূর যাবে সেটাই দেখার। তবে ম্যাচের ভবিষ্যৎ নিজেদের পক্ষে আনতে দ্বিতীয় ইনিংসে ভালো ব্যাটিংয়ের বিকল্প নেই।
কত রান হলে জিম্বাবুয়েকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দেওয়া যাবে? প্রশ্ন করা হয়েছিল, ৫ উইকেট পাওয়া মেহেদী হাসান মিরাজকে। দলের প্রতিনিধি হয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসে মিরাজ জানালেন, অন্তত ৩০০ রানের টার্গেট জিম্বাবুয়েকে দিতে চান তারা। এজন্য স্কোরবোর্ডে ৩৫০-৪০০ রান লাগবেই। সেই লক্ষ্যেই ব্যাটসম্যানরা ব্যাটিং করবেন বলে জানালেন।
তার ভাষ্য, ‘‘এখন যে উইকেট আছে, আমার কাছে মনে হয় যদি ভালো ব্যাটিং করতে পারি, যদি ৩৫০–৪০০ রান করতে পারি, এটা আমাদের দলের জন্য অনেক ভালো হবে। টেস্ট ক্রিকেটে যদি ৩০০ রান লক্ষ্য দেওয়া হয়, প্রতিপক্ষের জন্য অনেক কঠিন। কারণ উইকেটে অনেক পরিবর্তন আসবে। আমাদের ওই দায়িত্ব নিয়ে ব্যাটিং করতে হবে।’’
সিলেটের উইকেটে এখন পর্যন্ত পেসাররা বেশি সুবিধা পাচ্ছেন। স্পিনারদের সাফল্যের পাল্লা ভারী হলেও যতটুকু সুবিধা পেসাররাই পাচ্ছেন। নতুন বলে বল বেশ ভালো মুভমেন্ট পাচ্ছে। স্পিনাররা তেমন টার্ন পাচ্ছেন না। মিরাজও জানালেন, স্পিনাররা ছিলেন সাপোর্টিং রোলে। পেসাররাই তৈরি করেছেন আসল চাপ।
আজ দিনের শুরুতে নাহিদ রানা গতির ঝড় তুলে ৩ উইকেট নেন। হাসান মাহমুদ পান ১ উইকেট। দ্বিতীয় সেশনে খালেদের পকেটে যায় ১ উইকেট। বাকি ৫ উইকেট পান মিরাজ। সম্মিলিত প্রচেষ্টায় জিম্বাবুয়েকে বেশিদূর যেতে দেয়নি বাংলাদেশ।
বোলারদের পারফরম্যান্সে খুশি মিরাজ, ‘‘আমাদের বোলাররা খুব ভালো বল করেছি। গতকাল আমরা বোলাররা খুব ভালো করতে পারিনি। হয়তো আমাদের আরো ভালো করা উচিৎ ছিল। পেস বোলাররা খুব ভালো বল করেছে। হাসান, নাহিদ রানা এবং… খালেদ, তিনজন… খুবই ভালো বল করেছে। আমাদের স্পিনারদের ভূমিকা ছিল আমরা যেন সাপোর্ট করতে পারি। টেস্ট ম্যাচে প্রথম ইনিংসে নতুন বলে পেসারদের ভূমিকাটা গুরুত্বপূর্ণ। তারা সেই জিনিসটা মেইনটেইন করতে পেরেছে। এবং… আমার কাছে মনে হয়, তারা যেভাবে বল করেছে এটা আমাদের দলের জন্য অনেক সাহায্য করেছে ওদেরকে অলআউট করতে।’’
ম্যাচ এখন নিজেদের নিয়ন্ত্রণে আছে বলে মনে করছেন মিরাজ, ‘‘এখন পর্যন্ত আমাদের নিয়ন্ত্রণেই আছে আমি মনে করি। আমাদের ১ উইকেট গিয়েছে। ব্যাটসম্যান আছে। আমরা যদি ভালো একটা স্কোর দিতে পারি তাদেরকে। চার নম্বর দিন ওদের জন্য অনেক কঠিন হবে এই উইকেটে।’’
তৃতীয় দিনের সকালের সেশনটাকেই মূল চ্যালেঞ্জ হিসেবে ধরছেন মিরাজ, ‘‘প্রথমে আমাদের লিড পার করতে হবে। আমাদের লক্ষ্য থাকবে লিডটা যেন ক্রস করতে পারি। তারপর আমাদের ব্যাটসম্যানরা যেন দায়িত্ব নিয়ে বড় একটা স্কোর করতে পারি।’’
সিলেট/ইয়াসিন