Prothomalo:
2025-03-01@08:06:24 GMT

রোজায় ইফতারে কী কী খাবেন

Published: 1st, March 2025 GMT

বিশ্বব্যাপী মুসলমানদের জন্য বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ মাস পবিত্র রমজান। ইফতার রোজার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। ইফতারে আমরা সাধারণত প্রথমে পানি বা শরবত পান করি। এরপর খেজুর বা সহজপাচ্য শর্করা, যেমন দই-চিড়া, গুড়ের পায়েস, ওটমিল, চিয়া পুডিং (এসব খাবারের সঙ্গে চাইলে পছন্দমতো বিভিন্ন বাদাম, ফল মিশিয়ে) দিয়ে ইফতার করা যেতে পারে। এসব খাবার শরীরে দ্রুত শক্তি জোগায় এবং পেট
ঠান্ডা রাখে। 

আমরা অনেকেই ইফতারে পানি খেয়েই ভাজাভুজি, যেমন ছোলা, পিঁয়াজি, বেগুনি খেতে ভালোবাসি। সারা দিন রোজা রাখার পর এসব খাবারে বুকজ্বালা, পেটব্যথা, বুক ধড়ফড় করতে পারে; রক্তে ক্ষতিকর চর্বি বাড়তে পারে। আর ওজন তো বাড়বেই। কারণ, এসব তৈলাক্ত, চর্বিযুক্ত খাবারে প্রচুর ক্যালরি থাকে। 

ইফতারে পুষ্টি উপাদানগুলো যেন সহজেই পাওয়া যায়, তেমন খাবার খেতে হবে। নমুনা হিসেবে এনার্জি বুস্ট করে এমন কিছু খাবারের কথা বলা যায়। যেমন ইফতারের শুরুতেই খেতে হবে দই, লাল চিড়া, কলা, বাদাম, খেজুর—সবকিছু একসঙ্গে মিশিয়ে অথবা গ্রহণ করতে হবে সহজে হজমযোগ্য, যেমন তরলজাতীয় খাবার বা ফলের জুস বা স্মুদি।

মাগরিবের নামাজের পর বা এক-দুই ঘণ্টা পর

● হালিম খুব পুষ্টিকর খাবার। এটি খাওয়া যায়। কারণ, হালিম কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন ও ফ্যাটের ভালো উৎস। 

● সেদ্ধ ছোলা, মুড়ি, টমেটো, শসার পাশাপাশি পছন্দের ভাজাপোড়ার মধ্যে একটি-দুটি সিলেক্টিভ আইটেম, যেমন পিঁয়াজু, আলুর চপ কম তেলে ভেজে খাওয়া যায়। 

● সবজি ও ডিম বা চিকেন স্যুপ খুব স্বাস্থ্যকর। এমন খাবার থেকে প্রোটিন, ভিটামিন ও মিনারেলস পাওয়া যায়। 

● বিভিন্ন ফল দিয়ে তৈরি ‘সালাদ’ পুষ্টিকর খাবার। এটি শরীরকে হাইড্রেট রাখে। 

অনেকের কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা হয়। পেটের সমস্যা এড়াতে তোকমা, ইসবগুল ও তাজা ফলের রস এ সমস্যায় সাহায্য করে। শরীরকে যথাসম্ভব হাইড্রেট রাখা দরকার, যেন পানিশূন্যতা না হয়। সারা দিন রোজা রেখে অতিরিক্ত না খেয়ে খেতে হবে ধীরে ধীরে ও ভালোমতো চিবিয়ে। এতে শরীর সুস্থ থাকবে ও পরের দিনের রোজা রাখার জন্য নিজেকে সুস্থভাবে তৈরি করা যাবে।


লাজিনা ইসলাম চৌধুরী, পুষ্টিবিদ, পিপলস হাসপাতাল, মালিবাগ, চৌধুরীপাড়া, ঢাকা

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ইফত র

এছাড়াও পড়ুন:

বন অধিদপ্তরে বড় নিয়োগ, পদ ৩৩৭, আজই আবেদন করুন

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বন অধিদপ্তরে জনবল নিয়োগের আবেদন শেষ হচ্ছে আগামীকাল রোববার। এই অধিদপ্তরে চার ক্যাটাগরির পদে ৩৩৭ জনকে নিয়োগ দেওয়া হবে। আগ্রহী প্রার্থীদের অনলাইনে আবেদন করতে হবে।

১. পদের নাম: ইঞ্জিন ড্রাইভার/ইঞ্জিনম্যান

পদসংখ্যা: ১৩

যোগ্যতা: দ্বিতীয় বিভাগ বা সমমানের জিপিএসহ এসএসসি বা সমমান পাস। দ্বিতীয় শ্রেণির ইঞ্জিন ড্রাইভার যোগ্যতা সনদ থাকতে হবে।

বেতন স্কেল: ১১৩০০-২৭৩০০ টাকা (গ্রেড–১২)

২. পদের নাম: গাড়িচালক

পদসংখ্যা: ২৫

যোগ্যতা: অষ্টম শ্রেণি বা জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট বা সমমান পাস। বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ কর্তৃক প্রদত্ত বৈধ ড্রাইভিং লাইসেন্স এবং হালকা বা ভারী যানবাহন চালনায় পারদর্শী হতে হবে।

বেতন স্কেল: ৯৩০০-২৭৪৯০ টাকা (গ্রেড-১৬)

৩. পদের নাম: স্পিডবোট ড্রাইভার

পদসংখ্যা: ১৩

যোগ্যতা: এসএসসি বা সমমান পাস। স্পিডবোট ড্রাইভার হিসেবে তিন বছরের অভিজ্ঞতা; অথবা এসএসসি বা সমমান পাসসহ স্পিডবোট অপারেটর সনদধারী হতে হবে।

বেতন স্কেল: ৯৩০০-২৭৪৯০ টাকা (গ্রেড-১৬)

৪. পদের নাম: বনপ্রহরী

পদসংখ্যা: ২৮৬

যোগ্যতা: এসএসসি বা সমমান পাস। উচ্চতা ১৬৩ সেন্টিমিটার ও বুকের মাপ ৭৬ সেন্টিমিটার।

বেতন স্কেল: ৯০০০-২১৮০০ টাকা (গ্রেড-১৭)

আবেদনের বয়স

সব প্রার্থীর ক্ষেত্রে ১ জানুয়ারি ২০২৫ তারিখে বয়স ১৮ থেকে ৩২ বছরের মধ্যে হতে হবে। বয়স প্রমাণের ক্ষেত্রে কোনো অ্যাফিডেভিট গ্রহণযোগ্য হবে না।

আবেদন যেভাবে

আগ্রহী প্রার্থীদের এই ওয়েবসাইটে ফরম পূরণের মাধ্যমে আবেদন করতে হবে। নিয়োগসংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য এই লিংকে জানা যাবে।

আবেদন ফি

যেকোনো টেলিটক প্রিপেইড মুঠোফোন নম্বর থেকে এসএমএস করে পরীক্ষার ফি বাবদ ১ নম্বর পদের জন্য ১৫০ টাকা ও টেলিটকের সার্ভিস চার্জ ১৮ টাকাসহ মোট ১৬৮ টাকা; ২ ও ৩ নম্বর পদের জন্য ১০০ টাকা ও টেলিটকের সার্ভিস চার্জ ১২ টাকাসহ মোট ১১২ টাকা এবং ৪ নম্বর পদের জন্য ৫০ টাকা ও টেলিটকের সার্ভিস চার্জ ৬ টাকাসহ মোট ৫৬ টাকা জমা দিতে হবে। সব গ্রেডের অনগ্রসর নাগরিকদের (ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠী/শারীরিক প্রতিবন্ধী/তৃতীয় লিঙ্গের প্রার্থীগণ) আবেদন ফি ৫০ টাকা ও টেলিটকের সার্ভিস চার্জ ৬ টাকাসহ মোট ৫৬ টাকা জমা দিতে হবে।

আবেদনের শেষ সময়: ২ মার্চ ২০২৫, বিকেল ৫টা পর্যন্ত।

/////////

আরও পড়ুন:

কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরে বিশাল নিয়োগ, সংশোধিত পদ ৭৫১

আনসার বাহিনীতে বড় নিয়োগ, পদ ২৭১

পুলিশ নেবে কনস্টেবল, আবেদন শুরু ৩ মার্চ

সম্পর্কিত নিবন্ধ