একটি ভিডিওতে দেখা যায়, কড়াইয়ের মতো একটি পাত্র থেকে খাবার তুলে খাচ্ছেন এক নারী। তবে এটি কোনো সাধারণ কড়াই নয়। রীতিমতো এক কেজি সোনা দিয়ে বানানো হয়েছে এটি। এই কড়াইয়ের দাম ৯৭ হাজার মার্কিন ডলার (১ কোটি ১৮ লাখ ৮৯ হাজার টাকা প্রায়)। অনলাইনে ওই নারীর ভিডিওটি ছড়িয়ে পড়ার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারকারীদের মধ্যে নানা প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।

চীনের শেনজেনের শুইবেই এলাকায় একটি সোনার দোকান রয়েছে ওই নারীর। তিনি ওই এলাকায় সোনার পাইকারি বিক্রেতাদের অন্যতম। তিনি জানান, এক গ্রাহক অর্ডার দেওয়ার পর তাঁর কারখানায় ওই সোনার পাত্র তৈরি করা হয়েছে। ওই গ্রাহক আবার তাঁর বন্ধু।

অজ্ঞাত ওই নারী চীনের গণমাধ্যম দুতে নিউজকে বলেন, সোনার সর্বশেষ আন্তর্জাতিক বাজার হিসাব করলে বানানোর খরচসহ পাত্রটির মোট দাম দাঁড়িয়েছে ৭ লাখ ইউয়ান (১ কোটি ১৮ লাখ ৮৯ হাজার টাকা প্রায়)।

জুয়েলারির মালিক ওই নারী বলেন, অসাধারণ এই পণ্য সরবরাহের আগে গ্রাহকের অনুমতি নিয়ে তাঁরা একটি ভিডিও বানিয়েছেন। তাঁর জানামতে, বিশ্বে প্রথম কোনো মানুষ এভাবে সোনা দিয়ে পাত্র বানিয়েছেন।

ওই নারী বলেন, আরেক গ্রাহক ৫০০ গ্রাম সোনা দিয়ে একটি ডুরিয়ান বানিয়ে দেওয়ার অর্ডার করেছেন। এই ব্যবসায়ী বলেন, চলতি বছর বিশ্ব বাজারে সোনার মূল্যবৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। শুইবেই বিপণিবিতানেও কয়েক মাস ধরে সোনার বেচাকেনা বেশ ভালোই বাড়ছে।

অনেকেই ধারণা করছেন যে সোনার দাম ভবিষ্যতে আরও বাড়বে। বিষয়টি মাথায় রেখে অনেকেই এতে আরও বেশি বিনিয়োগ করবেন।

চীনের অনেক তরুণ–তরুণীকে এখন নিজেদের বাড়িতে সোনার গয়না ও পণ্য তৈরির কারখানা খুলতে দেখা যাচ্ছে। অনেকে আগে সস্তায় কিনে রাখা সোনা দিয়ে নিজেদের জন্য সোনার গয়নাসহ নানা পণ্য বানিয়ে নিচ্ছেন।

ওই সোনার দোকানের মালিক বলেন, তিনি জানেন না, ওই গ্রাহক সোনার পাত্র দিয়ে কী করবেন।

অন্যান্য পাত্রের তুলনায় সোনার পাত্রের তাপ পরিবাহিতা ভালো। তবে সাধারণ পাত্রে রান্না করা খাবারের যে স্বাদ, সোনার পাত্রের খাবার স্বাদও তা–ই।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ওই ন র গ র হক

এছাড়াও পড়ুন:

ঈদের সকালে রোগী, নার্স ও ট্রাফিক পুলিশের  সঙ্গে টিম খোরশেদ’র শুভেচ্ছা বিনিময় 

পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ঈদের দিন সকালে নারায়ণগঞ্জের ৩০০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতাল ও সরকারি ভিক্টোরিয়া হাসপাতালে ঈদের দিন ভর্তি থাকা রোগী,নার্স ও পরিবার পরিজনের বন্ধন ছেড়ে নাগরিক সেবায় নিয়োজিত ট্রাফিক পুলিশদের মাঝে পুষ্টিকর প্রাত:রাস (নাস্তা-দুধ, জুস, বিস্কুট ও কেকের বক্স) বিতরণ করে মানবিক সংগঠন টিম খোরশেদ। 

ঈদের নামাজ শেষে টিম খোরশেদ এর স্বেচ্ছাসেবকবৃন্দ প্রথমে হাসপাতালের রোগী ও নার্স ও পরে রাস্তায় কর্মরত ট্রাফিক পুলিশদের মাঝে নাস্তা বিতরণ করে।

টিম খোরশেদ এর দলনেতা সাবেক সিটি করপোরেশন কাউন্সিলর মাকছুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ জানান, আমরা আসলে দূর্গত মানুষ ও নাগরিক সেবায় নিয়োজিতদের ঈদের আনন্দে অংশ নিয়ে হাসি ফুটানোর জন্যই আমাদের সকল কার্যক্রম।
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ