বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম পিন্টু বলেছেন, “জুলুম, অত্যাচার ও নির্যাতন করে কেউ বেশি দিন টিকে থাকতে পারে না। শেখ হাসিনা পালাতে বাধ্য হয়েছে। আমরা আওয়ামী লীগের মতো সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি ও দুর্নীতি করব না।”

শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি। ভূঞাপুর সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে পৌর ও উপজেলা বিএনপি এই সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। 

অনুষ্ঠানে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেন, “আওয়ামী লীগ প্রায় দুই হাজার মানুষকে গুম করেছে।” 

আরো পড়ুন:

রুমিন ফারহানা
অনির্বাচিত সরকার থাকলে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির এরকম অবস্থাই হয়

হাসিনার গাড়িবহরে হামলা: খালাস পেলেন বিএনপি নেতা হাবিব

তিনি আরো বলেন, “জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় নির্বাচন নয়।” 

বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু বলেন, “এই মুহূর্তে নির্বাচন হলে বিএনপি ছাড়া কেউ নির্বাচিত হবে না। তাই বিএনপির বিরুদ্ধে গভীর যড়যন্ত্র চলছে। এখন যারা বিএনপির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে তারাও থাকবে না। বিএনপি ও বাংলাদেশ একে অপরের পরিপূরক।” 

তিনি আরো বলেন, “জুলুম করে কেউ টিকে থাকতে পারে না। যার উদাহরণ আওয়ামী লীগ ও স্বেরাচারী হাসিনা। যারা বিএনপির নেতাকর্মীদের, ছাত্রদের ও আলেমদের হত্যা করেছে তাদের জায়গা আর বাংলার মাটিতে হবে না। স্বৈরাচার বিদায় হলেও তাদের দোসররা এখনো বাংলাদেশে রয়ে গেছে। তারা বিভিন্ন সময়ে দেশকে অস্থিতিশীল করার চক্রান্তে লিপ্ত রয়েছে। এই চক্রান্তকারীদের বিরুদ্ধে সবাইকে সচেতন থাকতে হবে।” 

ভূঞাপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট গোলাম মোস্তফার সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- আব্দুস সালাম পিন্টুর সহধর্মিনী বিলকিস সালাম, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য ওবায়দুল হক নাসির, জেলা বিএনপির সভাপতি হাসানুজ্জামীল শাহিন ও সাধারণ সম্পাদক ফরহাদ ইকবাল।

ঢাকা/কাওছার/মাসুদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব এনপ ব এনপ র

এছাড়াও পড়ুন:

ফতুল্লায় ঈদের দিনে যুবককে গুলি করে হত্যা

ফতুল্লায় মাদকের টাকার লেনদেন নিয়ে বিরোধের জেরে মো. পাভেল নামে এক যুবককে গুলি করে হত্যার অভিযোগ উঠেছে।

সোমবার (৩১ মার্চ) ঈদুল ফিতরের দিন বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থেকে ওই যুবকের মৃত্যু হয়।

এরআগে রোববার  চাঁদরাতে পাভেল ও পাশের বাড়ির সকালে রায়হান বাবু ওরফে ‘কবুতর বাবুর’ মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়।

এ ঘটনায় ঈদের দিন সকালে ‘কবুতর বাবু’ পিস্তল দিয়ে পাভেলের বুকে গুলি করে পালিয়ে যান। নিহত পাভেল (৩৭) ফতুল্লা থানার কাশিপুর মধ্যপাড়া এলাকার হাসমত উল্লাহর ছেলে।
 
নিহত পাভেলের বড় ভাই মাসুম জানান, ঈদের দিন সকালে ‘কবুতর বাবু’ পিস্তল দিয়ে পাভেলের বুকে গুলি করে পালিয়ে যান। পরে গুরুতর অবস্থায় পাভেলকে উদ্ধার করে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নেয়া হয়।

সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে বিকেলে সেখানে তার মৃত্যু হয়। 

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শরীফুল ইসলাম বলেন, ভোর ৪টার ঘটনা। তখন পাভেল নামে ওই যুবক রাস্তায় গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পড়েছিল।

পরে তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বিকেল সাড়ে ৩টায় তিনি মারা যান।

তিনি আরও বলেন, প্রাথমিক তদন্ত ও স্থানীয়দের মাধ্যমে জানতে পেরেছি অভিযুক্ত রায়হান বাবু এলাকায় মাদক সেবনসহ মাদক ব্যবসা করতেন। পাভেল তার পূর্ব পরিচিত। দুজনের মধ্যে সম্পর্ক এবং যাওয়া আসা ছিল। 

ধারণা করা হচ্ছে, মাদক কেনাবেচার টাকা লেনদেন নিয়ে বিরোধের জেরে এই হত্যাকাণ্ড হয়ে থাকতে পারে। এ ঘটনায় মামলা হবে এবং আমরা তদন্তসহ অভিযুক্ত রায়হান বাবুকে আটকের চেষ্টা করছি।
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ