‘কাউকে অ্যারেস্ট করতে হলে আমাদের অনুমতি নিয়ে করতে হবে’
Published: 1st, March 2025 GMT
“কে কী করেছে? কে আওয়ামী লীগ করেছে? সেটা না। সবাই আমাদের মানুষ। সবাই চৌরঙ্গীর মানুষ। এদেরকে পুলিশ অ্যারেস্ট (গ্রেপ্তার) করতে হলে আমাদের কাছে অনুমতি নিয়ে করতে হবে। এর বাইরে যদি একটা মানুষকে গ্রেপ্তার করা হয়, আমরা থানা ঘেরাও করব সবাই মিলে। কিডা কোন দল করেছে এটা দেখার বিষয় না।”
এমন বক্তব্য দিয়ে ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছেন কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলা বিএনপির এক নেতার ভাই ও সরকারি কর্মকর্তা।
শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) রাতে ফেসবুকে ১ মিনিট ২২ সেকেন্ডের এমন বক্তব্যের একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়লে এ নিয়ে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়।
বক্তব্য দেওয়া শেখ রাসেল কুমারখালী উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য, পান্টি ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও চৌরঙ্গী বহুমুখী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শেখ রেজাউল করিম মিলনের ভাই। তিনি বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনিস্টিটিউটের উপ-পরিচালক। বর্তমানে তিনি ময়মনসিংহে কর্মরত আছেন বলে জানা গেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, চৌরঙ্গী বহুমুখী মাধ্যমিক বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ দুই দিনব্যাপী বার্ষিক ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় সমাপনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনিস্টিটিউটের উপ-পরিচালক শেখ রাসেল। সেসময় অনেকেই তার বক্তব্য ফেসবুকে লাইভ করেন। রাতে তা ভাইরাল হয়।
চৌরঙ্গী বহুমুখী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শেখ রেজাউল করিম মিলনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা সৈয়দ মেহেদী আহমেদ রুমী। বিশেষ অতিথি ছিলেন- পাবনা জেলা ও দায়রা জজ আদালতের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতের বিচারক মো.
ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে জোড় হাত করে আবেগ আপ্লুত হয়ে শেখ রাসেলকে বলতে শোনা যায়, “আমরা অনেক অন্যায় করেছি। আমরা ছোট ছিলাম। আমরা বুঝিনি। আমাদের ক্ষমা করে দিন। আমাদের সঙ্গে থাকেন। আর একটা অন্যায়ও আমাদের দ্বারা হবে না। মেহেদী রুমীর নেতৃত্বে শেখ সদর উদ্দিনের স্বপ্নের চৌরঙ্গী গড়ার ইচ্ছা আমার। আমাদের সঙ্গে থাকেন।”
ভাইরাল ভিডিও সম্পর্কে জানতে চাইলে শেখ রাসেল বলেন, “বক্তব্যটির মাধ্যমে আমি বোঝাতে চেয়েছি, কোনো নিরপরাধ মানুষ যেন হয়রানির শিকার না হয়। তারপরও যদি অন্য কিছু বলে থাকি, তা হলো স্লিপ অব টাং।”
শেখ রাসেলের এমন বক্তব্যের তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব মো. লুৎফর রহমান। তিনি ফোনে বলেন, “এ ধরনের বক্তব্য দেওয়া ঠিক হয়নি। বিএনপি তা সমর্থন করে না। এমন বক্তব্য সমীচীন নয়।”
কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সোলায়মান শেখ বলেন, “পুলিশ কারো কথা মতো চলবে না। পুলিশ তার নিজস্ব গতিতেই চলবে।”
ঢাকা/কাঞ্চন/মাসুদ
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব এনপ র আম দ র ফ সব ক
এছাড়াও পড়ুন:
যৌন কেলেঙ্কারি থেকে ওভাল অফিসে
প্রায় দুই দশক হয়ে গেল ধারাবাহিকভাবে নিজেকে পপ কালচারের আলোচিত চরিত্র হিসেবে ধরে রেখেছেন কার্ডাশিয়ান। তাঁর প্রতিটি পদক্ষেপই যেন জন্ম দেয় আলোচনার। খুব কম তারকাই এতটা তারকাখ্যাতি সামলাতে পারেন, কিন্তু কার্ডাশিয়ান অন্য ধাতুতে গড়া। বিখ্যাত হওয়ার জন্যই যেন বিখ্যাত হয়েছেন তিনি।
এই এখন যেমন একটি মামলাকে কেন্দ্র করে আলোচনায় ৪৪ বছর বয়সী এই তারকা। ২০১৬ সালে প্যারিস ফ্যাশন উইকে গিয়ে ডাকাতের কবলে পড়েছিলেন। হোটেলকক্ষে সেই ডাকাতির ঘটনায় তাঁর কয়েক মিলিয়ন ডলারের অলংকার খোয়া যায়। কার্ডাশিয়ান অভিযোগ করেন, মাথায় অস্ত্র ঠেকিয়ে এসব অলংকার লুট করা হয়। চুরি যাওয়া অলংকারের মধ্যে ছিল কার্ডাশিয়ানের তখনকার স্বামী র্যাপার কানিয়ে ওয়েস্টের দেওয়া হীরার আংটি। এ ঘটনায় ছয়জনকে অভিযুক্ত করা হয়। ২৮ এপ্রিল প্যারিসে মামলাটির পরবর্তী শুনানি।
তারকাখ্যাতি
১৯৮০ সালের ২১ অক্টোবর লস অ্যাঞ্জেলেস কিম কার্ডাশিয়ানের জন্ম। বড় হতে নানা ধরনের ঘটনার সাক্ষী হন তিনি। ১৯৯১ সালে তাঁর বাবা দুঁদে আইনজীবী রবার্টের সঙ্গে মা ক্রিসের বিচ্ছেদ হয়ে যায়। আবার বিয়ে করেন মা। পাত্র ১৯৭৬ সালের অলিম্পিকে ডেকাথলনজয়ী ব্রুস জেনার। পরে ব্রুস আবার রূপান্তরিত হন। নাম হয় কেইলিন জেনার। বছর কয়েক পর কার্ডাশিয়ানের বাবা রবার্ট বিখ্যাত এক মামলা লড়েন। ১৯৯৫ সালে মার্কিন ফুটবল কিংবদন্তি ওজে সিম্পসনের বিরুদ্ধে সাবেক স্ত্রী ও তাঁর বন্ধুকে হত্যার অভিযোগ ওঠে। সিম্পসনের হয়ে রবার্টই মামলাটি লড়েন এবং সিম্পসনকে ছাড়িয়ে আনেন।