চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা আজ শুরু, রেকর্ডসংখ্যক পরীক্ষার্থী
Published: 1st, March 2025 GMT
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষা আজ শনিবার শুরু হচ্ছে। প্রথম দিনে বিশ্ববিদ্যালয়ের এ ইউনিটের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। দুপুর ১২টায় শুরু হয়ে বেলা ১টায় শেষ হবে পরীক্ষা।
চারটি ইউনিট ও তিনটি উপ-ইউনিট মিলিয়ে এবার পরীক্ষায় বসবেন ২ লাখ ৭১ হাজার ২৩৯ জন শিক্ষার্থী। এর আগে কখনো এত শিক্ষার্থী চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় বসার জন্য আবেদন করেননি। সেই হিসাবে এ বছর রেকর্ডসংখ্যক পরীক্ষার্থী নিয়ে শুরু হচ্ছে ভর্তি পরীক্ষা।
গত বছরের মতো এ বছরও ৪৮টি বিভাগ ও ৬টি ইনস্টিটিউটে শিক্ষার্থী ভর্তি নেওয়া হচ্ছে। তবে আসনের সংখ্যার পরিবর্তন এসেছে। গত বছর ৪ হাজার ৯২৬টি আসনের বিপরীতে আবেদন নেওয়া হলেও এবার মোট ৪ হাজার ৫৮৪টি আসনের বিপরীতে পরীক্ষা হবে। এর মধ্যে সাধারণ আসন ৪ হাজার ১১টি আর বাকি ৫৭৩টি আসন কোটার জন্য বরাদ্দ।
এ ইউনিটের পরীক্ষার পর ৮ মার্চ বি ইউনিট, ১৫ মার্চ সি ইউনিট ও ২২ মার্চ ডি ইউনিটের পরীক্ষা হবে। অন্যদিকে ১০ মার্চ বি-১ ও ১১ মার্চ বি-২ উপ-ইউনিটের পরীক্ষা হবে। আর ডি-১ উপ-ইউনিটের পরীক্ষা হবে ২৪ মার্চ।
বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক মোহাম্মদ আল-আমিন প্রথম আলোকে বলেন, চট্টগ্রাম ছাড়াও ঢাকা ও রাজশাহী—এই দুই কেন্দ্রে পরীক্ষা হচ্ছে। ২ লাখ ৭১ হাজার ২৪০ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষা দেবেন ৮৭ হাজার ৮৯৬ জন। বাকি পরীক্ষার্থীরা অন্য দুই কেন্দ্রে দেবেন।
কোন ইউনিটে কতবিজ্ঞান, জীববিজ্ঞান, প্রকৌশল, মেরিন সায়েন্সেস অ্যান্ড ফিশারিজ অনুষদের সব বিভাগ নিয়ে গঠন করা হয়েছে এ ইউনিট। এই ইউনিটে সাধারণ আসন রয়েছে ১ হাজার ১২৩টি। এই ইউনিটে পরীক্ষা দেবেন ১ লাখ ৯ হাজার ৮১ শিক্ষার্থী। সেই হিসাবে ১টি আসনের বিপরীতে লড়বেন প্রায় ৯৭ জন।
কলা ও মানববিদ্যা আর শিক্ষা অনুষদভুক্ত বি ইউনিটে সাধারণ আসন রয়েছে ৮৯৬টি। এতে পরীক্ষায় বসবেন ৭৩ হাজার ১৭১ শিক্ষার্থী। ১টি আসনের বিপরীতে এতে পরীক্ষার্থী প্রায় ৮১ জন। ব্যবসায় অনুষদভুক্ত সি ইউনিটে সাধারণ আসন ৬৪০টি। এই ইউনিটে পরীক্ষায় বসবেন ২১ হাজার ৩৯৩ জন। ১টি আসনের বিপরীতে পরীক্ষার্থী ৩৩ জন।
অন্যদিকে সমাজবিজ্ঞান অনুষদের সব বিষয়, আইন বিভাগ ও জীববিজ্ঞান অনুষদের ভূগোল ও পরিবেশবিদ্যা আর মনোবিজ্ঞান বিভাগ নিয়ে গঠন করা হয়েছে ডি ইউনিট। এতে ৮৬২টি সাধারণ আসনের বিপরীতে পরীক্ষায় বসবেন ৬০ হাজার ৫২২ জন। ১টি আসনের বিপরীতে এই ইউনিটে পরীক্ষার্থী প্রায় ৭০ জন। নাট্যকলা, চারুকলা ও সংগীত বিভাগ নিয়ে গঠিত বি-১ উপ-ইউনিটে ১২৫টি আসনের বিপরীতে পরীক্ষায় বসবেন ১ হাজার ৯১১ জন। ১টি আসনের বিপরীতে পরীক্ষার্থী প্রায় ১৫ জন। আরবি, ইসলামিক স্টাডিজ ও পালি বিভাগ নিয়ে গঠিত বি-২ উপ-ইউনিটে আসন রয়েছে ৩২৫টি। এতে এবার পরীক্ষা দেবেন ৩ হাজার ৬৭০ জন। ১টি আসনের বিপরীতে পরীক্ষা দেবেন প্রায় ১১ জন।
শারীরিক শিক্ষা ও ক্রীড়াবিজ্ঞান বিভাগ নিয়ে গঠিত ডি-১ উপ-ইউনিট। এতে ৪০ সাধারণ আসনের বিপরীতে পরীক্ষায় বসবেন ১ হাজার ৪৯১ জন। ১টি আসনের বিপরীতে এতে পরীক্ষার্থী প্রায় ৩৭।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ইউন ট র পর ক ষ পর ক ষ য় বসব ন আসন র ব পর ত পর ক ষ র থ
এছাড়াও পড়ুন:
তিন স্তরে কমছে ইন্টারনেটের দাম
নতুন তিনটি স্তরে ইন্টারনেটের মূল্য কমছে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত ফয়েজ আহমেদ তৈয়্যব।
সোমবার (২১ এপ্রিল) সকালে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এ তথ্য জানান তিনি।
ফয়েজ আহমেদ তৈয়্যব লিখেছেন, “নতুন তিনটি স্তরে ইন্টারনেটের মূল্য কমছে। ফাইবার অ্যাট হোমের ম্যানেজমেন্ট নিশ্চিত করেছেন যে- আইটিসি পর্যায়ে ১০ শতাংশ, আইআইজি পর্যায়ে ১০ শতাংশ এবং এনটিটিএন বা ন্যাশনাল ট্রান্সমিশন পর্যায়ে ১৫ শতাংশ মূল্য হ্রাস করবেন তারা। ”
এর আগে আইএসপি লাইসেন্স প্রাপ্ত কোম্পানিগুলোর অ্যাসোসিয়েশন থেকে পাঁচ এমবিপিএসের পরিবর্তে ৫০০ টাকায় ১০ এমবিপিএস ইন্টারনেট প্রদানের নিশ্চয়তা দেওয়া হয়েছে।
তারও আগে আন্তর্জাতিক গেটওয়ে পর্যায়ে বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবল কোম্পানি সকল আইআইজি এবং আইএসপি গ্রাহকদের জন্য ১০ শতাংশ এবং পাইকারি গ্রাহকদের জন্য অতিরিক্ত ১০ শতাংশসহ মোট ২০ শতাংশ দাম কমিয়েছে।
এ নিয়ে ইন্টারনেট লাইসেন্স রেজিমের মোট তিন থেকে চারটি স্তরে ইন্টারনেটের মূল্য কমানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বাকি আছে শুধু মোবাইলসেবা দাতা ৩টি বেসরকারি কোম্পানির দাম কমানোর ঘোষণা। এরইমধ্যে সরকার মোবাইল কোম্পানিগুলোকে বিডব্লিউডিএম এবং ডার্ক ফাইবার সুবিধা দিয়েছে।
তিনি আরো লিখেছেন, “এমতাবস্থায় বেসরকারি মোবাইল কোম্পানিগুলোর ইন্টারনেটের দাম না কমানোর কোনো ধরনের যৌক্তিক কারণ কিংবা অজুহাত অবশিষ্ট থাকে না। সরকার মোবাইল সেবাদাতা কোম্পানিগুলোকে পলিসি সাপোর্ট দিয়েছে এবং সরকারি-বেসরকারি যৌথ উদ্যোগে আন্তর্জাতিক এবং জাতীয় স্তরগুলোতে পাইকারি পর্যায়ে ইন্টারনেটের দামও কমিয়েছে। এখন তাদের জাতীয় উদ্যোগে শরিক হওয়ার পালা।”
প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী জানিয়েছেন, মোবাইল ইন্টারনেটের দাম কমানোর পদক্ষেপে চলমান উচ্চ মূল্যস্ফীতিও সামান্য কিছুটা কমে আসবে বলে আশা করি।
ঈদুল ফিতরের দিন থেকে সরকারি মোবাইল সেবা দাতা কোম্পানি টেলিটক ১০ শতাংশ মূল্য ছাড়ের ঘোষণা দিয়েছিল। সরকার আশা করে অতি দ্রুতই তিনটি বেসরকারি মোবাইল কোম্পানি অত্যন্ত যৌক্তিকভাবে মোবাইল ইন্টারনেটের মূল্য পতনের ঘোষণা দেবে।
সরকার এখানে দুই ধরনের মূল্য ছাড় আশা করে- প্রথমত, মার্চ মাসে এসআরও অ্যাডজাস্টমেন্ট বাবদ মোবাইল কোম্পানিগুলো যে মূল্য বাড়িয়েছিল সেটা কমাবে। (সরকার শুল্ক বৃদ্ধির উদ্যোগ নিয়ে তা থেকে সরে এসেছে, কিন্তু সেই মতে বর্ধিত মূল্য কমায়নি মোবাইল কোম্পানিগুলো। )
দ্বিতীয়ত, আন্তর্জাতিক গেটওয়ে/আইটিসি, আইআইজি এবং ন্যাশনাল ট্রান্সমিশন পর্যায়ে যতটুকু পাইকারি দাম কমানো হয়েছে তার সমানুপাতিক হারে গ্রাহক পর্যায়ে ইন্টারনেটের দাম কমাবে। বাংলাদেশের মোবাইল ইন্টারনেটের মানে ব্যাপক প্রশ্ন রয়েছে। মানের তুলনায় দাম অনেক বেশি। এমতাবস্থায় গ্রাহকস্বার্থে যৌক্তিক পদক্ষেপ নিতে সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
ঢাকা/হাসান/ইভা