চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষা আজ শনিবার শুরু হচ্ছে। প্রথম দিনে বিশ্ববিদ্যালয়ের এ ইউনিটের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। দুপুর ১২টায় শুরু হয়ে বেলা ১টায় শেষ হবে পরীক্ষা।

চারটি ইউনিট ও তিনটি উপ-ইউনিট মিলিয়ে এবার পরীক্ষায় বসবেন ২ লাখ ৭১ হাজার ২৩৯ জন শিক্ষার্থী। এর আগে কখনো এত শিক্ষার্থী চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় বসার জন্য আবেদন করেননি। সেই হিসাবে এ বছর রেকর্ডসংখ্যক পরীক্ষার্থী নিয়ে শুরু হচ্ছে ভর্তি পরীক্ষা।

গত বছরের মতো এ বছরও ৪৮টি বিভাগ ও ৬টি ইনস্টিটিউটে শিক্ষার্থী ভর্তি নেওয়া হচ্ছে। তবে আসনের সংখ্যার পরিবর্তন এসেছে। গত বছর ৪ হাজার ৯২৬টি আসনের বিপরীতে আবেদন নেওয়া হলেও এবার মোট ৪ হাজার ৫৮৪টি আসনের বিপরীতে পরীক্ষা হবে। এর মধ্যে সাধারণ আসন ৪ হাজার ১১টি আর বাকি ৫৭৩টি আসন কোটার জন্য বরাদ্দ।

এ ইউনিটের পরীক্ষার পর ৮ মার্চ বি ইউনিট, ১৫ মার্চ সি ইউনিট ও ২২ মার্চ ডি ইউনিটের পরীক্ষা হবে। অন্যদিকে ১০ মার্চ বি-১ ও ১১ মার্চ বি-২ উপ-ইউনিটের পরীক্ষা হবে। আর ডি-১ উপ-ইউনিটের পরীক্ষা হবে ২৪ মার্চ।

বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক মোহাম্মদ আল-আমিন প্রথম আলোকে বলেন, চট্টগ্রাম ছাড়াও ঢাকা ও রাজশাহী—এই দুই কেন্দ্রে পরীক্ষা হচ্ছে। ২ লাখ ৭১ হাজার ২৪০ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষা দেবেন ৮৭ হাজার ৮৯৬ জন। বাকি পরীক্ষার্থীরা অন্য দুই কেন্দ্রে দেবেন।

কোন ইউনিটে কত

বিজ্ঞান, জীববিজ্ঞান, প্রকৌশল, মেরিন সায়েন্সেস অ্যান্ড ফিশারিজ অনুষদের সব বিভাগ নিয়ে গঠন করা হয়েছে এ ইউনিট। এই ইউনিটে সাধারণ আসন রয়েছে ১ হাজার ১২৩টি। এই ইউনিটে পরীক্ষা দেবেন ১ লাখ ৯ হাজার ৮১ শিক্ষার্থী। সেই হিসাবে ১টি আসনের বিপরীতে লড়বেন প্রায় ৯৭ জন।

কলা ও মানববিদ্যা আর শিক্ষা অনুষদভুক্ত বি ইউনিটে সাধারণ আসন রয়েছে ৮৯৬টি। এতে পরীক্ষায় বসবেন ৭৩ হাজার ১৭১ শিক্ষার্থী। ১টি আসনের বিপরীতে এতে পরীক্ষার্থী প্রায় ৮১ জন। ব্যবসায় অনুষদভুক্ত সি ইউনিটে সাধারণ আসন ৬৪০টি। এই ইউনিটে পরীক্ষায় বসবেন ২১ হাজার ৩৯৩ জন। ১টি আসনের বিপরীতে পরীক্ষার্থী ৩৩ জন।

অন্যদিকে সমাজবিজ্ঞান অনুষদের সব বিষয়, আইন বিভাগ ও জীববিজ্ঞান অনুষদের ভূগোল ও পরিবেশবিদ্যা আর মনোবিজ্ঞান বিভাগ নিয়ে গঠন করা হয়েছে ডি ইউনিট। এতে ৮৬২টি সাধারণ আসনের বিপরীতে পরীক্ষায় বসবেন ৬০ হাজার ৫২২ জন। ১টি আসনের বিপরীতে এই ইউনিটে পরীক্ষার্থী প্রায় ৭০ জন। নাট্যকলা, চারুকলা ও সংগীত বিভাগ নিয়ে গঠিত বি-১ উপ-ইউনিটে ১২৫টি আসনের বিপরীতে পরীক্ষায় বসবেন ১ হাজার ৯১১ জন। ১টি আসনের বিপরীতে পরীক্ষার্থী প্রায় ১৫ জন। আরবি, ইসলামিক স্টাডিজ ও পালি বিভাগ নিয়ে গঠিত বি-২ উপ-ইউনিটে আসন রয়েছে ৩২৫টি। এতে এবার পরীক্ষা দেবেন ৩ হাজার ৬৭০ জন। ১টি আসনের বিপরীতে পরীক্ষা দেবেন প্রায় ১১ জন।

শারীরিক শিক্ষা ও ক্রীড়াবিজ্ঞান বিভাগ নিয়ে গঠিত ডি-১ উপ-ইউনিট। এতে ৪০ সাধারণ আসনের বিপরীতে পরীক্ষায় বসবেন ১ হাজার ৪৯১ জন। ১টি আসনের বিপরীতে এতে পরীক্ষার্থী প্রায় ৩৭।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ইউন ট র পর ক ষ পর ক ষ য় বসব ন আসন র ব পর ত পর ক ষ র থ

এছাড়াও পড়ুন:

কাশিমপুর কারাগার থেকে পালানো মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি টাঙ্গাইলে

গাজীপুরের কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্র্রীয় কারাগার থেকে পালিয়ে যাওয়া শাহাদাত হোসেন (৪০) নামে মৃত্যুদণ্ডের সাজাপ্রাপ্ত এক আসামিকে টাঙ্গাইল থেকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব। 

শনিবার (১ মার্চ) সকালে র‌্যাব-১৪, সিপিসি-৩ টাঙ্গাইল ক্যাম্পের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মিডিয়া অফিসার) জুয়েল চাকমা প্রেসবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানিয়েছেন। এর আগে শুক্রবার রাতে টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলার গোলচত্বর সংলগ্ন পুরাতন বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। 

সাজাপ্রাপ্ত আসামি শাহাদাত হোসেন টাঙ্গাইল সদর উপজেলার চৌবাড়িয়া গ্রামের ওমর আলীর ছেলে। ২০০২ সালে যৌতুকের জন্য স্ত্রীকে হত্যার মামলায় বিচারক তার মৃত্যুদণ্ডের রায় দেন। এরপর থেকে তিনি কারাগারে ছিলেন।

র‌্যাব জানায়, ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট সরকার পতনের সময় দেশের আইন-শৃঙ্খলার নাজুক পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে গাজীপুরের কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে অন্যান্য বন্দিদের সাথে কয়েদী শাহাদাত হোসেন পালিয়ে যায়। এ ঘটনাটি সারাদেশে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। পরবর্তীতে পলাতক আসামি শাহাদাত হোসেনকে গ্রেপ্তারে র‌্যাব-১৪, সিপিসি-৩ টাঙ্গাইল ক্যাম্প গোয়েন্দা নজরদারী বৃদ্ধি করে এবং আসামির অবস্থান শনাক্তের জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা করে। পরে দীর্ঘ সাত মাসের অব্যাহত চেষ্টার পর র‌্যাবের টাঙ্গাইল ক্যাম্পের একটি দল অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে। তাকে টাঙ্গাইল সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

ঢাকা/কাওছার/টিপু 

সম্পর্কিত নিবন্ধ