টেকনাফ সীমান্তে রাখাইনে ফের বোমার বিকট শব্দ
Published: 1st, March 2025 GMT
সানবিডি২৪ এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন
মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে থেকে প্রায় দুই মাস পর কক্সবাজার টেকনাফ সীমান্তে আবারও মুহুর্মুহু গোলার বিকট শব্দ শোনা যাচ্ছে। শুক্রবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে টেকনাফ সাবরাং সীমান্তসহ পৌরসভার বিভিন্ন এলাকায় রাখাইন থেকে বোমা বিস্ফোরণের বিকট শব্দ শোনা গেছে। গোলার শব্দে স্থানীয় লোকজন আতঙ্কিত হয়ে পড়ছেন।
এদিকে দীর্ঘদিন বন্ধের পর মিয়ানমারে বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন আরাকান আর্মির সঙ্গে দেশটির সেনাবাহিনীর (জান্তা সরকার) মধ্য তুমুল সংঘর্ষ ফের শুরু হয়েছে বলে জানা গেছে। তার আগে দীর্ঘ ১১ মাসের লড়াই-সংঘাতের পর ২০২৪ সালের ৭ ডিসেম্বর মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের মংডু টাউনশিপের ২৭০ কিলোমিটার এলাকার নিয়ন্ত্রণ নিয়েছিল দেশটির সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান আর্মি (এএ)। এরপরও স্বস্তিতে নেই সশস্ত্র গোষ্ঠীটি। মাঝখানে প্রায় দুই সংঘাত বন্ধ থাকার পর আবারো ওপার থেকে এপারে গোলাগুলির শব্দ শোনা যাচ্ছে।
ওপারের গোলার বিকট শব্দের সীমান্তের এপার কাঁপছে উল্লেখ করে টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ এহসান উদ্দিন বলেন, ‘আমিও দুটি মুহুর্মুহু গোলার বিকট শব্দ শুনেছি। তবে সীমান্তে আামদের দায়িত্বরত বাহিনীরদের মাধ্যমে খোঁজখবর রাখছি।’
এ বিষয়ে পৌরসভাস্থল সীমান্তের বাসিন্দা মোহাম্মদ ইসলাম বলেন, ‘সীমান্তের খুব কাছে হওয়ায় ওপারে গোলার বিস্ফোরণ হলে আমার বাড়িঘর কেঁপে ওঠে। শুক্রবার রাত সাড়ে ১১টায় মিয়ানমারের গোলার শব্দ শোনা গেছে। ঘরে থাকা লোকজন আতঙ্কিত হয়ে পড়ছে।’
শাহপরীর দ্বীপ বড় মাদ্রাসার শিক্ষক মো.
টেকনাফের সাবরাং ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য আব্দুস সালাম বলেন, মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে গোলাগুলির শব্দ এ পারেও শোনা যাচ্ছে বলে স্থানীয় লোকজন জানিয়েছেন।
তবে এ বিষয়ে সীমান্তে দায়িত্বে থাকা টেকনাফ বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) এবং বাংলাদেশ কোস্টগার্ডের পক্ষ থেকে কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
এনজে
উৎস: SunBD 24
কীওয়ার্ড: র খ ইন
এছাড়াও পড়ুন:
বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের তৃতীয় ইউনিট চালু
দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া কয়লাভিত্তিক ৫২৫ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের তৃতীয় ইউনিট চালু হয়েছে। শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) রাত ১০টার দিকে এই ইউনিটে বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু হয়।
শনিবার (১ মার্চ) বিষয়টি জানিয়েছেন বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রধান প্রকৌশলী মো. আবুবকর সিদ্দিক।
এর আগে, গত ২২ ফেব্রুয়ারি বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু হয় কেন্দ্রটির ১ নম্বর ইউনিটে। গত ১৭ ফেব্রুয়ারি বিকেলে বয়লারে যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে বন্ধ করে দেওয়া হয় ১২৫ মেগাওয়াটের ওই ইউনিটটি। বর্তমানে ১ ও ৩ নম্বর ইউনিট থেকে গড়ে ২৫০ মেগাওয়াট ইউনিট বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়ে জাতীয় গ্রিডে যোগ হচ্ছে।
আরো পড়ুন:
মুন্সীগঞ্জে ফসলি জমির ওপর দিয়ে বৈদ্যুতিক লাইন নির্মাণ বন্ধের দাবি
বিদ্যুৎ খাতে অতিরিক্ত ৩৬৭ কোটি টাকা দিচ্ছে বিশ্বব্যাংক
চালু হওয়া ৩ নম্বর ইউনিটটি ২৭৫ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন হলেও তা থেকে প্রতিদিন ১৮০-২০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে। একই সঙ্গে ১ নম্বর ইউনিটটি ১২৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতাসম্পন্ন হলেও তা থেকে ৬৫-৭০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, বড়পুকুরিয়া খনি থেকে উত্তোলন করা কয়লা ব্যবহার করে তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হয়। বর্তমানে কয়লা মজুত রয়েছে ৩ লাখ ২৫ হাজার মেট্রিক টন। কয়লাভিত্তিক এই তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের তিনটি ইউনিটে মোট বিদ্যুৎ উৎপাদনক্ষমতা ৫২৫ মেগাওয়াট। এর মধ্যে ১ নম্বর ও ২ নম্বর ইউনিট মিলে মোট বিদ্যুৎ উৎপাদনের ক্ষমতা রয়েছে ২৫০ মেগাওয়াট। ৩ নম্বর ইউনিটটি ২৭৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতাসম্পন্ন।
বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রধান প্রকৌশলী মো. আবুবকর সিদ্দিক বলেন, “গত ১৭ ফেব্রুয়ারি বিকেলে বয়লারে যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে বন্ধ করে দেওয়া ১২৫ মেগাওয়াটের ১ নম্বর ইউনিট। ২২ ফেব্রুয়ারি ইউনিটটি চালু করা হয়। এর আগে ১৫ ফেব্রুয়ারি তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের সচল ৩ নম্বর ইউনিটটিও একই কারণে বন্ধ করে দেওয়া হয়। মেরামত শেষে গতকাল শুক্রবার রাত ১০টা ৮ মিনিট থেকে বিদ্যুৎকেন্দ্রের ৩ নম্বর ইউনিটটি চালু করা হয়েছে। বর্তমানে এ দুটি ইউনিট থেকে গড়ে ২৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়ে জাতীয় গ্রিডে যোগ হচ্ছে। তাতে লোডশেডিং কমে আসবে।”
ঢাকা/মোসলেম/মাসুদ