শাস্তি থেকে বাঁচতে নিজেকে বদলাতে হবে কনস্টাসের, বলছেন ওয়াহ
Published: 1st, March 2025 GMT
স্যাম কনস্টাস এমন কথা আগেও শুনেছেন। বেপরোয়া শট খেললে টেস্টে কনস্টাসের ভবিষ্যৎ ভালো হবে না বলে তাঁকে সতর্ক করেছিলেন অস্ট্রেলিয়ার সাবেক অধিনায়ক রিকি পন্টিং।
এবার কনস্টাসকে সতর্ক করেছেন অস্ট্রেলিয়ার আরেক অধিনায়ক স্টিভ ওয়াহ। তাঁর ভাষ্যও অনেকটা পন্টিংয়ের মতো। মানে নিজেকে সামলাতে না পারলে বিপদে পড়বেন কনস্টাস।
কনস্টাস টেস্ট ক্যারিয়ারে এখন পর্যন্ত খেলেছেন ৪ ইনিংস। তবে তাঁকে ঘিরে বেশি আলোচনা অভিষেকে তাঁর ৬০ রানের ইনিংসটি ঘিরে। বাকি ৩ ইনিংসে করেছেন ৮, ২৩ ও ২২। এরপর শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে অ্যাওয়ে টেস্ট সিরিজে তিনি দলে জায়গা পাননি। ধারণা করা হচ্ছে, আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে আবার একাদশে ফিরবেন কনস্টাস। এর আগে কনস্টাসকে ওয়াহ মনে করিয়ে দিয়েছেন, তাঁর কৌশলই কাল হতে পারে।
খেলাটির প্রতি আরও শ্রদ্ধাশীল হতে হবে। কারণ, যদি তা না করে, তাহলে খেলাই ওকে শাস্তি দেবেকনস্টাস প্রসঙ্গে স্টিভ ওয়াহএসইএন রেডিওতে ওয়াহ বলেছেন, ‘কনস্টাসের কৌশল অবশ্যই ভারত এবং বুমরার ওপর আকাঙ্ক্ষিত প্রভাব ফেলেছিল.
গত ফেব্রুয়ারিতে শেফিল্ড শিল্ডের ম্যাচে আক্রমণাত্মকভাবে খেলতে গিয়ে স্কট বোল্যান্ডের বিপক্ষে দুই ইনিংসেই আউট হয়েছেন কনস্টাস। রান করেছেন ৭ ও ১৭। ওয়াহ আশা করছেন, এই কৌশল তাঁর মাথাটা এখনো ‘নষ্ট’ করেনি।
প্রথম টেস্ট ইনিংসে ফিফটির পর কনস্টাসউৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: কনস ট স
এছাড়াও পড়ুন:
মোগল আমলে যেমন ছিল ঢাকার ঈদ
বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর থেকে প্রকাশিত একটি পোস্টকার্ডে দেখা যায়, সতেরো শতকের শুরুতে নায়েব নাজিমদের ঈদ উদ্যাপন, ঈদ মিছিলের দৃশ্য। সেখানে তৎকালীন ঢাকার প্রধান বাণিজ্যকেন্দ্র চকবাজার, বড় কাটরার ফটক ও মীর জুমলার কামান ‘বিবি মরিয়ম’ দৃশ্যমান।
ছবির সেই ঈদের মিছিলটি নিমতলী প্রাসাদ থেকে বের হয়ে হোসেনি দালান, বেগমবাজার, চকবাজার ঘুরে আবার নিমতলীতে গিয়ে শেষ হয়। জলরঙে আঁকা শিল্পী আলম মুসাওয়ারের এসব চিত্রকলায় ধরা আছে শত শত বছর ধরে পুরান ঢাকায় মোগল ঐতিহ্যের পরম্পরার কথা।
একই সময়ের মোগল সাম্রাজ্যের কেন্দ্রের একটি দৃশ্য দেখা যাক। হাতি এনে বসানো হলো বাদশাহর সামনে। পাশে হাওদায় রাখা রত্নখচিত শৈল্পিক কেদারায় বসলেন বাদশাহ। কেদারা তুলে দেওয়া হলো হাতির পিঠে। হাতিযোগে বাদশাহ আর পদযোগে রাজকর্মচারীরা চললেন দিল্লির ঈদগাহ অভিমুখে নামাজ পড়তে। মোগল আমলের শেষ দিকের ঈদ মিছিলের এমন বর্ণনা পাওয়া যাবে মুন্সি ফাইজুদ্দিনের ‘বাজম-ই আখির’ নামের লেখা উর্দু কাব্যগ্রন্থে। সতেরো শতকে লেখা হয় এই কাব্যগ্রন্থ।
আরও পড়ুনদিল্লি থেকে পুরান ঢাকা : যেমন ছিল শত বছর আগের ঈদ০৫ এপ্রিল ২০২৪ঢাকার শাহি ঈদগাহ, প্রায় ৪০০ বছরের পুরোনো এই পুরাকীর্তি।