বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েট) ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের প্রথম বর্ষে ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে। মেধাতালিকায় স্থান পাওয়াদের ভর্তি কার্যক্রম আগামী ১০ মার্চ থেকে শুরু হবে। ভর্তির বিস্তারিত তথ্য বুয়েটের ওয়েবসাইট তে মিলবে।

আসন কত

কেমিক্যাল অ্যান্ড ম্যাটেরিয়ালস কৌশল, পুরকৌশল, যন্ত্রকৌশল, তড়িৎ ও ইলেকট্রনিক কৌশল এবং স্থাপত্য ও পরিকল্পনা অনুষদসমূহের অধীন ১৩টি বিভাগে স্নাতক শ্রেণিতে ছাত্রছাত্রী ভর্তি করা হবে। এবারের ভর্তি পরীক্ষায় পার্বত্য চট্টগ্রাম ও অন্যান্য এলাকার ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীভুক্ত প্রার্থীদের জন্য প্রকৌশল বিভাগগুলো এবং নগর ও অঞ্চল–পরিকল্পনা বিভাগের জন্য মোট ৩টি ও স্থাপত্য বিভাগে ১টি সংরক্ষিত আসনসহ মোট আসন ১ হাজার ৩০৯টি।

এদিকে ভর্তি পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত এবং অপেক্ষমাণ প্রার্থীদের তালিকা বুয়েটের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে। মেধাতালিকা ও পছন্দক্রম অনুসারে প্রার্থীদের বিভাগ বণ্টনও ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত এবং অপেক্ষমাণ প্রার্থীদের করণীয় কী, তা–ও জানিয়েছে বুয়েট। প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত প্রার্থীদের বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য কয়েকটি ধাপ অনুসরণ করতে হবে। এগুলো হলো—

প্রথম ধাপ: স্বাস্থ্য পরীক্ষা

দ্বিতীয় ধাপ: ভর্তি ফি প্রদান

তৃতীয় ধাপ: মূল সনদ, স্বাস্থ্য পরীক্ষার রিপোর্ট এবং ভর্তি ফির রসিদ জমা সাপেক্ষে ভর্তি নিশ্চিতকরণ

প্রথম ধাপ: স্বাস্থ্য পরীক্ষা

ভর্তির জন্য প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত তালিকাভুক্ত প্রার্থীদের বুয়েটের ওয়েবসাইটে ‘Medical Screening Form for Admission’–এর পিডিএফ ফাইলটি প্রিন্ট করার পর হাতে পূরণ করতে হবে। ফরমের প্রথম অংশটি প্রার্থী নিজেই পূরণ করবেন। দ্বিতীয় অংশটি প্রার্থীর স্বাস্থ্য পরীক্ষা এবং সংশ্লিষ্ট ল্যাবরেটরির রিপোর্ট মূল্যায়নপূর্বক একজন রেজিস্টার্ড চিকিৎসক কর্তৃক পূরণ করতে হবে। উল্লেখ্য, দ্বিতীয় অংশের স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য চিকিৎসক অথবা সংশ্লিষ্ট হাসপাতালের ফি এবং ল্যাবরেটরি রিপোর্টের ফি সংশ্লিষ্ট প্রার্থীকেই বহন করতে হবে।

স্বাস্থ্য পরীক্ষায় যদি দৃষ্টিশক্তির ত্রুটি ধরা পড়ে তাহলে সাত দিনের মধ্যে পুনঃপরীক্ষা করা যেতে পারে। অন্য অস্থায়ী অনুপযুক্ততা যথা: হাইড্রোসিল, হার্নিয়া ইত্যাদি এক মাসের মধ্যে পুনঃপরীক্ষার জন্য বিবেচিত হতে পারে। এ ধরনের অসুস্থতা পুনঃপরীক্ষার প্রয়োজন হলে প্রার্থীর নিজস্ব খরচে যেকোনো বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের মতামতের জন্য বুয়েটের প্রধান চিকিৎসক সুপারিশ করতে পারেন। তবে এই সুপারিশ ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি কমিটির সভাপতি কর্তৃক অনুমোদিত হতে হবে।

দ্বিতীয় ধাপ: ভর্তি ফি প্রদান

প্রকৌশল অনুষদের বিভাগগুলোর এবং নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগে ভর্তির জন্য ৭ হাজার ১৫০ টাকা এবং স্থাপত্য বিভাগে ভর্তির জন্য ৭ হাজার ২০০ টাকা ফি জমা দিতে হবে। সোনালী ব্যাংক লিমিটেডের ডিমান্ড ড্রাফট অথবা পে-অর্ডারের মাধ্যমে ‘কম্পট্রোলার, বুয়েট-ঢাকা’ বরাবর ভর্তি ফি দিতে হবে। ডিমান্ড ড্রাফট/পে-অর্ডারের মূল কপিসহ নির্ধারিত তারিখ ও সময়ে তিনটি কপিসহ সশরীরে উপস্থিত হয়ে জমা দিতে হবে।

সোনালী ব্যাংক লিমিটেডের দেশের যেকোন শাখার মাধ্যমে ডিমান্ড ড্রাফট করা যাবে। শুধু ঢাকা সিটি করপোরেশনের আওতাধীন এলাকায় অবস্থিত সোনালী ব্যাংক লিমিটেডের যেকোনো শাখার মাধ্যমে পে-অর্ডার করা যাবে।

তৃতীয় ধাপ: মূল সনদ, স্বাস্থ্য পরীক্ষার রিপোর্ট এবং ভর্তি ফির রসিদ জমা প্রদান সাপেক্ষে ভর্তি নিশ্চিতকরণ

ভর্তির জন্য প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত তালিকাভুক্ত প্রার্থীদের নোটিশে উল্লিখিত নির্ধারিত স্থান, তারিখ ও সময়ে সশরীরে উপস্থিত হতে হবে। এ ক্ষেত্রে যা যা অনুসরণ করতে হবে, তা হলো—

(ক) সনদ ও দলিলাদি যাচাই এবং জমা প্রদান

(ক.

১) প্রথমত, নির্ধারিত বুথে নিম্নলিখিত দলিলাদি জমা দিতে হবে—

মূল সনদ এবং অন্যান্য: (i) মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট/দাখিল অথবা সমমানের পরীক্ষার মূল সনদ এবং ফটোকপি (১ কপি)। (ii) মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট/দাখিল অথবা সমমানের পরীক্ষার মূল ট্রান্সক্রিপ্ট বা গ্রেড শিট এবং ফটোকপি (১ কপি)।

(iii) উচ্চমাধ্যমিক সার্টিফিকেট/আলিম অথবা সমমানের পরীক্ষার মূল ট্রান্সক্রিপ্ট বা গ্রেড শিট এবং ফটোকপি (১ কপি)।

বি.দ্র.: ফটোকপি সত্যায়ন করার প্রয়োজন নেই।

উল্লেখ্য, প্রদানকৃত ছাত্রছাত্রীদের মূল ট্রান্সক্রিপ্ট/গ্রেড শিট ও সনদ ভর্তি কমিটিগুলোর সভাপতির অফিসে জমা রাখা হবে। জমা গ্রহণের পর ভর্তি/ভর্তির যোগ্যতা বাতিল ছাড়া এসব কাগজপত্র সাময়িকভাবে ফেরত কিংবা ফটোকপি প্রদান করা হবে না।

আরও পড়ুনচীনের এআইআইবি গ্লোবাল ইন্টার্নশিপ প্রোগ্রাম, দিনে ৯০ ডলারের সঙ্গে নানা সুযোগ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

(ক.২) সংরক্ষিত আসনের জন্য প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত তালিকাভুক্ত ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীভুক্ত প্রার্থীদের তাদের ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীভুক্ত প্রমাণস্বরূপ নিম্নোক্ত দলিলাদি জমা দিতে হবে—

(i) স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কর্তৃক প্রদত্ত সনদ (মূল কপি ও এক কপি সত্যায়িত ফটোকপি)।

(ii) ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীভুক্ত গোত্রের মোড়ল/হেডম্যান/গোত্রপ্রধান প্রদত্ত সনদ, যা স্থানীয় থানা নির্বাহী অফিসার/জেলা প্রশাসক প্রতিস্বাক্ষরিত হতে হবে (মূল কপি ও এক কপি সত্যায়িত ফটোকপি)।

(খ) স্বাস্থ্য পরীক্ষার ছাড়পত্র গ্রহণ: সনদ, ট্রান্সক্রিপ্ট এবং অন্য দলিলাদি জমার পর নির্দিষ্ট মেডিকেল বুথে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য নির্ধারিত ‘Medical Screening Form for Admission’–এর পূরণকৃত কপি, ল্যাবরেটরি রিপোর্ট এবং অন্যান্য কাগজপত্র (প্রয়োজন সাপেক্ষে) জমা দিতে হবে।

(গ) ভর্তি ফি জমা প্রদান: মেডিকেল অফিসারের ছাড়পত্র পাওয়ার পর ভর্তি ফির পে–অর্ডারের/ডিমান্ড ড্রাফটের মূল কপি এবং দুটি ফটোকপি নির্ধারিত বুথে জমা দিতে হবে।

আরও পড়ুনইউনিভার্সিটি অব ব্রুনেই দারুসসালামে বৃত্তি, মাসে ২ লাখের সঙ্গে নানা সুযোগ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

উপরোক্ত প্রক্রিয়াগুলো সঠিকভাবে সম্পাদন করার পর ভর্তি নিশ্চিত করা হবে।

অপেক্ষমাণ তালিকাভুক্ত প্রার্থীদের জন্য করণীয়: প্রয়োজন অনুযায়ী সময়সূচি পরে জানানো হবে (বিশ্ববিদ্যালয় ওয়েবসাইটে এ–সংক্রান্ত নোটিশ প্রকাশ করা হবে।) উপরোক্ত প্রক্রিয়াসমূহ সঠিকভাবে সম্পাদন করার পর ভর্তি নিশ্চিত করা হবে।

২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি কমিটিগুলোর সভাপতির পূর্ব অনুমতি না নিয়ে উপস্থিতির দিন নির্ধারিত সময়ে অনুপস্থিত প্রার্থীর ভর্তির যোগ্যতা বাতিল বলে গণ্য হবে।

আরও পড়ুনজাপান ওয়ার্ল্ড ব্যাংক গ্র্যাজুয়েট স্কলারশিপ, ১৯ বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে করুন আবেদন২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: স ব স থ য পর ক ষ র র জন য প র চ ক ৎসক ম ল সনদ কর র প দল ল দ প রথম

এছাড়াও পড়ুন:

ভারতীয়দের বিদেশে পড়াশোনায় আগ্রহ কমছে, কারণ কি শুধুই রাজনীতি

উচ্চশিক্ষার জন্য বিদেশের অনেক নামী প্রতিষ্ঠানে পড়াশোনা করতে যান ভারতের ছাত্রছাত্রীরা। করোনাপরবর্তী সময়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে এলেও শিক্ষার্থীদের বিদেশযাত্রার প্রবণতা কমছে। ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের তথ্য বলছে, বিদেশে অধ্যয়নরত ভারতীয় শিক্ষার্থীর সংখ্যা কমেছে ১৫ শতাংশ। এখন প্রশ্ন উঠছে, কেন উচ্চশিক্ষার জন্য অন্য দেশে যাওয়ার আগ্রহ কমছে ভারতীয়দের?

কেন্দ্রের পরিসংখ্যান

ভারতের সংসদে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ২০২৪ সালে বিদেশে পড়তে যাওয়া ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা তুলে ধরেছে। এ পরিসংখ্যানে দেখা যাচ্ছে, আমেরিকা, ইংল্যান্ড, কানাডা, অস্ট্রেলিয়াসহ কয়েকটি দেশে ২০২৩ সালের তুলনায় গত বছরে (২০২৪) শিক্ষার্থীর সংখ্যা ১৫ শতাংশ কমেছে।

লোকসভায় এক সংসদ সদস্যর প্রশ্নের জবাবে কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার জানিয়েছেন, ২০২৩ সালে ৮ লাখ ৯২ হাজার ৯৮৯ জন ভারতীয় শিক্ষার্থী অন্য দেশে পড়াশোনা করেছেন। ২০২৪ সালে এসে ৭ লাখ ৫৯ হাজার ৬৪ জন শিক্ষার্থী উচ্চশিক্ষার জন্য গেছেন ভিনদেশে। অর্থাৎ এক বছরে সোয়া লাখের বেশি শিক্ষার্থী কমেছে।

সবচেয়ে বেশি কমেছে কানাডায়। এ দেশে শিক্ষার্থী কমার হার ৪২ শতাংশ। ইংল্যান্ডে প্রায় ২৮ শতাংশ, আমেরিকায় প্রায় ১৩ শতাংশ শিক্ষার্থী কম পড়তে গেছেন।

আরও পড়ুনইংল্যান্ডে পড়াশোনা: খণ্ডকালীন চাকরি ও স্কলারশিপের সুযোগ, আইইএলটিএসে ৬.৫ স্কোর হলে আবেদন ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪

ভারতীয় শিক্ষার্থীদের কাছে আমেরিকা, ইংল্যান্ড, কানাডার উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান বরাবরই খুব আকর্ষণীয়। তবে অন্য দেশেও পড়ার ঝোঁক রয়েছে। ভারতের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, অন্য কয়েকটি দেশে বিপরীতমুখী প্রবণতা দেখা গেছে। এর মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য রাশিয়া ও ফ্রান্স। ২০২৩–এর তুলনায় ২০২৪ সালে রাশিয়ায় ভারতীয় শিক্ষার্থীর সংখ্যা বেড়েছে ৩৪ শতাংশ, ফ্রান্সে সংখ্যাটি ১৪ শতাংশ।

রাশিয়ার ক্ষেত্রে মেডিকেলে পড়তে যাওয়ার ঝোঁক বেশি। হাজারো শিক্ষার্থী সে দেশে যাচ্ছেন ডাক্তারি পড়তে। সেখানে পড়াশোনার খরচ যেমন কম, তেমনি মেডিকেলের পাঠ নেওয়ার জন্য কঠিন প্রবেশিকা পরীক্ষার মুখে পড়তে হয় না। এ ছাড়া শিক্ষার্থীদের বৃত্তি থেকে বসবাসের ব্যবস্থা, বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে বিভিন্ন সুবিধা দেওয়া হয়। শুধু এমবিবিএস নয়, পিএইচডি করতেও অনেকে রাশিয়ায় যাচ্ছেন।

আরও পড়ুনলিথুয়ানিয়ায় উচ্চশিক্ষা: ৩৫০টির বেশি প্রোগ্রামে পড়াশোনা, স্কলারশিপের সুবিধা, সপ্তাহে ২০ ঘণ্টা কাজ১৪ নভেম্বর ২০২৪

ছাত্র কমার কারণ—

বিদেশে ভারতীয়দের পড়তে যাওয়ার প্রবণতা কমার পেছনে অনেকগুলো কারণ রয়েছে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। এর মধ্যে অন্যতম রাজনৈতিক কারণ। বিভিন্ন দেশে দক্ষিণপন্থী দলের উত্থান হয়েছে। এর ফলে কঠোর হয়েছে অভিবাসননীতি। ভিসা পাওয়া অনেক কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই কারণে গন্তব্য হিসেবে আমেরিকা, ইউরোপের একাধিক দেশ আগের মতো আর অনুকূল নয় বলে তাঁদের মত।

বিভিন্ন দেশের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক ও পররাষ্ট্রনীতি ছাত্রসংখ্যা কমার পেছনে কিছুটা দায়ী বলে মন্তব্য তাঁদের। এ ক্ষেত্রে কানাডার প্রসঙ্গ বিশেষভাবে উল্লেখ্য। এ দেশেই সবচেয়ে বেশি কমেছে ভারতীয় শিক্ষার্থীর সংখ্যা। বিশেষজ্ঞদের মতে, শিখ নেতা হরদীপ সিং নিজ্জরের হত্যা নিয়ে দুই দেশের সম্পর্ক তলানিতে ঠেকেছিল। তার প্রভাব পড়েছে ভিসার ক্ষেত্রে।

ভারতের রাজনৈতিক বিশ্লেষক রাজাগোপাল ধর চক্রবর্তী বলেন, ‘ডোনাল্ড ট্রাম্পের আমেরিকার যে নীতি, তা কোনো ভিনদেশির পক্ষে সুবিধাজনক নয়। কানাডার সঙ্গে সম্পর্ক খারাপ হয়ে গেছে। এর ফলে এই দুটি দেশে পড়তে যাওয়া ভারতীয় শিক্ষার্থীরা অন্য দিকে ঝুঁকেছেন। ইউক্রেন, রাশিয়ায় অনেক মেডিকেল ছাত্র পড়তে যেতেন, সেখানে যুদ্ধ হলেও যাচ্ছেন। আমেরিকা বা কানাডার মতো সেখানে পড়তে যাওয়ার ক্ষেত্রে বাধা নেই, পড়াশোনার খরচও কম।’

বিদেশে না যাওয়ার ক্ষেত্রে বড় হয়ে উঠেছে অর্থনৈতিক কারণ। বিশেষজ্ঞদের মতে, সার্বিক মন্দা, শিল্প উৎপাদনে ঘাটতি, কর্মসংকোচন নিয়োগের ক্ষেত্রকে অনিশ্চিত করে তুলেছে। অতীতে ভারতীয় শিক্ষার্থীরা বিদেশে পড়তে যেতেন যে লক্ষ্য নিয়ে, সেখানে কোথাও নিয়োগ খুঁজে নেওয়া, তেমন পরিস্থিতি আর নেই। বড় বহুজাতিক সংস্থায় কর্মী ছাঁটাইয়ের খবর পাওয়া যায় মাঝেমধ্যে।

আরও পড়ুনথাইল্যান্ডে উচ্চশিক্ষা: ২০ ঘণ্টা খণ্ডকালীন কাজ, আইইএলটিএসে ৫.৫–এ আবেদন০২ অক্টোবর ২০২৪

আসাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য তপোধীর ভট্টাচার্য বলেন, ‘দক্ষিণপন্থী রাজনীতির উত্থানের সঙ্গে সঙ্গে জনকল্যাণের ধারণাটা ফিকে হয়ে আসছে। যে উদারনৈতিক নীতির ফলে অন্য দেশের ছাত্রছাত্রীরা স্বাগত ছিল, সেখানে আজ বাধা তৈরি হয়েছে। এর ফলে আমেরিকাসহ অন্যান্য দেশে তাদের নিজেদের রাজনৈতিক বাধ্যবাধকতা বেশি গুরুত্ব পাচ্ছে। ভারতীয় ছাত্রদের যে মেধা ও পরিশ্রম, তার গুরুত্ব কমে যাচ্ছে। এই প্রবণতা আগামী দিনেও বজায় থাকবে।’

শুধু বিদেশযাত্রা নয়, দেশের সার্বিক শিক্ষার পরিবেশের সঙ্গে বিষয়টিকে সংশ্লিষ্ট করতে চাইছেন রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য শিক্ষাবিদ পবিত্র সরকার। তিনি বলেন, ‘আমাদের দেশে শিক্ষার গুরুত্ব কমছে। বাজেট কমছে, নিয়োগের সম্ভাবনা কমছে। তাই কলেজে ছাত্র ভর্তি কমে গিয়েছে। বিদেশে পড়ার ক্ষেত্রে সম্ভবত সেই প্রতিফলন দেখা যাচ্ছে। বাইরের উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পড়ার উৎসাহ কমে যাচ্ছে অথবা যোগ্যতাতেও ঘাটতি হচ্ছে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ভারতের অর্থনীতিতে সাড়ে ৬ শতাংশ প্রবৃদ্ধির আরেকটি পূর্বাভাস
  • ইয়ার্ন ইঞ্জিনিয়ারিং-ফেব্রিক ইঞ্জিনিয়ারিং-অ্যাপারেল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে পড়াশোনা, আবেদনের সুযোগ আরও ২০ দিন
  • দেশে স্ট্রবেরির নতুন জাত ফ্রিডম–২৪
  • নাটোরে পুরাতন ডিসি বাংলো থেকে গত সংসদ নির্বাচনের ১০০ বস্তা ব্যালট পেপার উদ্ধার
  • ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি: বিষয় পছন্দক্রমে ফোন ভেরিফিকেশনে বিশেষ নির্দেশনা
  • ভারতীয়দের বিদেশে পড়াশোনায় আগ্রহ কমছে, কারণ কি শুধুই রাজনীতি
  • ট্রাম্পের বিভাজন নীতি