বরেণ্য অভিনেত্রী জিনাত আমান ১৯৭০ সালে বলিউডে পা রাখেন। ১৯৭৮ সালে অভিনেতা-পরিচালক-প্রযোজক সঞ্জয় খানের সঙ্গে ঘর বাঁধেন এই বর্ষীয়ান অভিনেত্রী। সঞ্জয়ের সঙ্গে দাম্পত্য জীবন সুখকর হয়নি। শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগ তুলেছিলেন জিনাত। সর্বশেষ ১৯৭৯ সালে ভেঙে যায় এই সংসার।

সঞ্জয়ের সঙ্গে সংসার ভাঙার ৬ বছর পর অভিনেতা মাজহার খানকে বিয়ে করেন জিনাত আমান। ১৩ বছর পর এ সংসারও ভেঙে যায়। তারপর আর সংসারী হননি ৭৩ বছরের জিনাত। দীর্ঘ জীবনের অভিজ্ঞতা থেকে এ অভিনেত্রী জানালেন— অর্থপূর্ণ সম্পর্ক পাওয়া খুবই কঠিন।

জিনাত আমান বলেন, “আমার বয়স যখন কম ছিল তখন এটা নিয়ে চিন্তা করতাম না। কিন্তু এখন ব্যাপারটি নিয়ে কিছুটা হলেও চিন্তা করি। কথায় আছে— একাকিত্ব উপরে-নিচে সবখানে। আমি উভয়ই অনুভব করেছি।”

আরো পড়ুন:

যুক্তরাষ্ট্রে নাইন-ইলেভেন হামলা: আটক হন সুনীল শেঠি

মা-বাবা হচ্ছেন কিয়ারা-সিদ্ধার্থ

অর্থপূর্ণ সম্পর্ক খুঁজে পাওয়া মুশকিল। তা জানিয়ে জিনাত আমান বলেন, “আমি আমার ব্যক্তিগত জীবনের অভিজ্ঞতা থেকে অপ্রিয় সত্য উপলদ্ধি করেছি। তা হলো— অর্থপূর্ণ সম্পর্ক খুঁজে পাওয়া কঠিন। কারণ জনসাধারণের কাছে আমার যে ব্যক্তিত্ব, তা আমার সত্যিকারের সত্ত্বাকে ঢেকে রাখে। আমাকে নিয়ে মানুষের যে ধারণা, তা কারাগারের মতো। যদিও এর সুবিধাও আছে।”

অর্থপূর্ণ সম্পর্কের মানদণ্ড কী? এ প্রশ্নের জবাবে জিনাত আমান বলেন— “পারস্পরিক সহনশীলতা।” খানিকটা ব্যাখ্যা করে জিনাত আমান বলেন, “একে অপরের সাফল্য উদযাপন করা। খারাপ সময় একসঙ্গে পাড় করা। সর্বোপরি, এমন একটি স্থানে পৌঁছানো যেখানে আপনি মুখোশহীন।”

১৯৭১ সালে ‘হরে রাম হরে কৃষ্ণ’ সিনেমার মাধ্যমে অভিনয়ের পথচলা শুরু করেন জিনাত আমান। তারপর ‘ইয়াদো কি বারাত’, ‘রোটি কাপড়া আউর মাকান’, ‘সত্যম শিবম সুন্দরম’-এর মতো সুপারহিট সিনেমায় অভিনয় করে ঝড় তোলেন এই অভিনেত্রী।

ঢাকা/শান্ত

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

পাবনায় সড়কে গাছ ফেলে ৪০ গাড়িতে ডাকাতি

সানবিডি২৪ এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

পাবনার সাঁথিয়ায় মধ্যরাতে সড়কে গাছ ফেলে বাস-ট্রাকসহ অন্তত ৪০টি গাড়িতে ভয়াবহ ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) দিনগত রাত দেড়টার দিকে পাবনা-সাঁথিয়া সড়কের ছেচানিয়া ব্রিজের পাশে ঘটে এ ঘটনা।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন, সাঁথিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইদুর রহমান।

এ বিষয়ে পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, রাত দেড়টার দিকে ছেচানিয়া ব্রিজের পাশে সড়কে গাছের গুঁড়ি ফেলে প্রথমে একটি পণ্যবাহী ট্রাক আটকে রাখে ডাকাতরা। এতে কিছু সময়ের মধ্যেই বাস, ট্রাক, প্রাইভেটকার ও মাইক্রোসহ প্রায় ৪০টি গাড়ি আটকে পড়ে। এসময় ৪০ থেকে ৫০ জন হাসুয়া, রামদা, ছুরি, চাকুসহ বিভিন্ন অস্ত্র নিয়ে পর্যায়ক্রমে গাড়িগুলোতে ডাকাতি চালায়। গাড়ির গেট খুলতে দেরি করায় কিছু গাড়ি ভাঙচুরও করে। এসময় পরিবহন শ্রমিক ও যাত্রীদের মারধর করে তাদের সঙ্গে থাকা মোবাইল, টাকা ও অন্যান্য মূল্যবান সামগ্রী লুট করে নিয়ে যায়। প্রায় ঘণ্টাব্যাপী চলে এ তাণ্ডব।

ডাকাতির কবলে পড়া আব্দুস সালাম নামে এক ইসলামী বক্তা ফেসবুকে দেওয়া ভিডিও বক্তব্যে বলেন, কিছুক্ষণ আগে এই সড়কে দুর্ধর্ষ ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। সড়কে গাছের গুঁড়ি ফেলে গাড়িগুলোতে ডাকাতি করেছে। হুট করে আমাদের গাড়িতে আক্রমণ করে ডাকাত দলের সদস্যরা। বারবার গাড়িতে আঘাতের পর আমরা ড্রাইভারকে গেট খুলে দিতে বললে ডাকাতরা ঢুকে ড্রাইভারের গলা ও পেটে চাকু ধরে। একইভাবে অন্যদেরও জিম্মি করে সব লুটে নিয়ে যায়। আমরা বলেছি, ভাই যা আছে সব নেন, কিন্তু কাউকে আঘাত কইরেন না। আমাদের গাড়িতে কাউকে আঘাত করেনি। অনুরোধ করায় আমার দুটি মোবাইল ফেরত দিয়ে যায়।

তিনি বলেন, একটি মাইক্রোতে করে দেশে ফিরছিলেন এক প্রবাসী। ওই গাড়িতে আক্রমণ করে কয়েকজনকে মারধর করে সব লুটে নিয়ে গেছে। একইভাবে সব গাড়িতে পর্যায়ক্রমে ডাকাতি চালায়। গাড়ি ভাঙচুর ও অনেককেই মারধর করে।

স্থানীয় ইউপি সদস্য বাবু বলেন, ঘটনা শুনেছি। এখনো বিস্তারিত জানি না। তবে ওই রাস্তাটি খুব বেশি ব্যস্ত না হলেও বেড়া-বাঘাবাড়ি হয়ে ঢাকায় যাওয়ার জন্য বেশকিছু গাড়ি ওই রাস্তা দিয়ে যায়। এটি ডাকাতরা জেনেই গাছ ফেলে ডাকাতি করেছে।

সাঁথিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইদুর রহমান বলেন, খবর পেয়ে রাতেই পুলিশ পাঠানো হয়। সুনির্দিষ্ট করে সংখ্যা বলতে না পারলেও কয়েকটি গাড়িতে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এনজে

সম্পর্কিত নিবন্ধ