চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে সেমিফাইনালে খেলার সম্ভাবনা শেষ হয়ে গেছে ইংল্যান্ডের। প্রথম দুই ম্যাচে হেরেছে ইংলিশরা— ব্যর্থতার দায় নিয়ে সরে দাঁড়িয়েছেন দলের অধিনায়ক জশ বাটলারও।  আজ শেষ ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষেও তাই তাদের পাওয়ার তেমন কিছু নেই।

তবে এই ম্যাচে অবশ্য চোখ থাকবে বাংলাদেশেরও। নিশ্চয়ই ভাবছেন ইংল্যান্ড ও বাংলাদেশ তো ভিন্ন গ্রুপে, দুই দলের বিদায়ও নিশ্চিত হয়ে গেছে আগেই। তাহলে বাংলাদেশ কেন ইংল্যান্ড–দক্ষিণ আফ্রিকা ম্যাচে চোখ রাখবে? কারণটা কোনো সমীকরণ নয়, এই ম্যাচে ইংল্যান্ড হেরে গেলে বাংলাদেশ কিছু বাড়তি টাকা পাবে।

ভারতের কাছে হেরে শুরু হয়েছিল বাংলাদেশের চ্যাম্পিয়নস ট্রফির অভিযান.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

গোল যত হোক, যখনই হোক, শেষ পর্যন্ত রিয়ালই জেতে

রিয়াল ৪-৪ সোসিয়েদাদ

(দুই লেগ মিলিয়ে ৫-৪ ব্যবধানে রিয়াল জয়ী)

রাফায়েল নাদালকে দেখা যাচ্ছিল সান্তিয়াগো বার্নাব্যুর গ্যালারিতে। গালে হাত দিয়ে চিন্তা ক্লিষ্ট মুখে বসে ছিলেন। মাঠে তাঁর প্রাণের দল রিয়াল মাদ্রিদ। কোপা দেল রে ফাইনালে উঠতে পারবে কি না, তা নিয়ে নাদালের মতো দুশ্চিন্তায় ছিলেন রিয়ালের আরও অনেক সমর্থক। ১১৫ মিনিটে মাথার এক টোকায় সব দুশ্চিন্তা দূর করলেন আন্তনিও রুডিগার।

আরদা গুলেরের নেওয়া কর্নার থেকে হেডে গোল করেন রিয়াল ডিফেন্ডার। সেমিফাইনাল ফিরতি লেগের ম্যাচে তখন ৪-৪ গোলের সমতা আর দুই লেগ মিলিয়ে ৫-৪ গোলে এগিয়ে যায় রিয়াল। তখন নাদালের উল্লাস দেখে কে! বার্নাব্যু গর্জে ওঠার সঙ্গে নাদালও আসন ছেড়ে লাফিয়ে উঠলেন। হাত-পা ছুড়ে উল্লাস প্রকাশ করে মুখের ভঙ্গিটা এমন করলেন যেন ঘাম দিয়ে জ্বর ছুটল!

তা নয় তো কি? গত ফেব্রুয়ারিতে সান সেবাস্তিয়ানে রিয়াল সোসিয়েদাদের বিপক্ষে প্রথম লেগ ১-০ গোলে রিয়াল জেতার পর তাদের ঘরের মাঠে ফিরতি লেগ আরও সহজ হবে ভেবে নেওয়াই স্বাভাবিক। কিন্তু গতকাল রাতে ফিরতি লেগের স্কোরকার্ডে লেখা হয়েছে অন্য গল্প। যেখানে ৮ গোলের রোমাঞ্চের মধ্যে আছে রিয়ালের ঘুরে দাঁড়ানোর গল্পও। ফিরতি লেগে তিনবার পিছিয়ে পড়েও ড্র করেছে রিয়াল। দুই লেগ মিলিয়ে ৫-৪ গোলের জয়ে নিশ্চিত হয়েছে ফাইনাল। আর এতেই আরও একবার প্রমাণ হলো, ম্যাচে গোল যতই হোক, যখনই হোক, শেষ পর্যন্ত রিয়ালই জেতে!

আরও পড়ুনম্যাচসেরার পুরস্কার কেউ পান ডিম, কেউ সিম১১ ঘণ্টা আগে

রিয়াল ০-১ গোলে পিছিয়ে পড়েছে ম্যাচের ১৬ মিনিটে। ভিনিসিয়ুসের ডিফেন্স চেরা পাস থেকে দারুণ এক চিপে রিয়ালকে সমতায় ফেরান একাদশের হয়ে নামা এনদ্রিক। ডেভিড আলাবার আত্মঘাতী গোলে ৭২ মিনিটে রিয়াল আবারও পিছিয়ে পড়ে ১-২ গোলে। ৮০ মিনিটে সেই পিছিয়ে পড়ার ব্যবধানই দাঁড়ায় ১-৩। জুড বেলিংহামের ৮২ মিনিটের গোল ও চার মিনিট পর অঁরেলিয়ে চুয়ামেনির গোলে সমতায় ফেরে রিয়াল। কিন্তু যোগ করা সময়ের ৩ মিনিটে মিকেল ওইরাজাবালের গোলে আবারও এগিয়ে যায় রিয়াল সোসিয়েদাদ। শেষ পর্যন্ত রুডিগারে রক্ষা।

সোসিয়েদাদ ম্যাচে একাধিকবার এগিয়ে গিয়েও শেষ পর্যন্ত পারেনি

সম্পর্কিত নিবন্ধ