চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে সেমিফাইনালে খেলার সম্ভাবনা শেষ হয়ে গেছে ইংল্যান্ডের। প্রথম দুই ম্যাচে হেরেছে ইংলিশরা— ব্যর্থতার দায় নিয়ে সরে দাঁড়িয়েছেন দলের অধিনায়ক জশ বাটলারও।  আজ শেষ ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষেও তাই তাদের পাওয়ার তেমন কিছু নেই।

তবে এই ম্যাচে অবশ্য চোখ থাকবে বাংলাদেশেরও। নিশ্চয়ই ভাবছেন ইংল্যান্ড ও বাংলাদেশ তো ভিন্ন গ্রুপে, দুই দলের বিদায়ও নিশ্চিত হয়ে গেছে আগেই। তাহলে বাংলাদেশ কেন ইংল্যান্ড–দক্ষিণ আফ্রিকা ম্যাচে চোখ রাখবে? কারণটা কোনো সমীকরণ নয়, এই ম্যাচে ইংল্যান্ড হেরে গেলে বাংলাদেশ কিছু বাড়তি টাকা পাবে।

ভারতের কাছে হেরে শুরু হয়েছিল বাংলাদেশের চ্যাম্পিয়নস ট্রফির অভিযান.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

ইসরায়েলের কাছে যুক্তরাষ্ট্রের ৩ বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র ও বুলডোজার বিক্রি

সানবিডি২৪ এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

যুক্তরাষ্ট্র দখলদার ইসরায়েলের কাছে ৩ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি মূল্যের যুদ্ধাস্ত্র, বুলডোজার এবং সংশ্লিষ্ট সরঞ্জাম বিক্রির অনুমোদনের ঘোষণা দিয়েছে। স্থানীয় সময় শুক্রবার  এই ঘোষণা দেওয়া হয়। ইসরায়েল ঘনবসতিপূর্ণ গাজায় আমেরিকার তৈরি অস্ত্র ব্যবহার করে ধ্বংসাত্মক প্রভাব ফেলেছিল।

এ বিষয়ে মার্কিন প্রতিরক্ষা নিরাপত্তা সহযোগিতা সংস্থা (ডিএসসিএ) জানিয়েছে, মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও ২.০৪ বিলিয়ন ডলারের বোমা বডি এবং ওয়ারহেড, ৬৭৫.৭ মিলিয়ন ডলারের অন্যান্য বোমা বডি এবং নির্দেশিকা কিট ও ২৯৫ মিলিয়ন ডলারের বুলডোজারসহ সংশ্লিষ্ট সরঞ্জাম বিক্রির চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছেন।

ডিএসসিএ বলেছে, ‘রুবিও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে ইসরায়েল সরকারের কাছে উপরোক্ত প্রতিরক্ষাসামগ্রী এবং প্রতিরক্ষা পরিষেবা অবিলম্বে বিক্রি করা জরুরি বলে জানিয়েছেন।’  এর ফলে কংগ্রেস কর্তৃক অনুমোদিত এ ধরনের বিক্রয়ের স্বাভাবিক প্রয়োজনীয়তা থেকে অব্যাহতি পাওয়া যায় বলে ডিএসসিএ জানিয়েছে।

ডিএসসিএ আরো বলেছে, ‘মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলের নিরাপত্তার প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’ এই মাসের শুরুতে ওয়াশিংটন ইসরায়েলের কাছে ৭.৪ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি বোমা, ক্ষেপণাস্ত্র এবং সম্পর্কিত সরঞ্জাম বিক্রির অনুমোদন দেওয়ার পর সর্বশেষ অস্ত্র লেনদেন শুরু হয়েছে।

ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠীর অভূতপূর্ব আক্রমণের প্রতিক্রিয়ায় ইসরায়েল ২০২৩ সালের অক্টোবরে গাজায় হামাসের বিরুদ্ধে একটি বিশাল ধ্বংসাত্মক আক্রমণ শুরু করে।

যুদ্ধে ভূমধ্যসাগরের তীরবর্তী সংকীর্ণ উপকূলীয় অঞ্চল গাজার বেশির ভাগ অংশ ধ্বংস হয়ে যায়। এর ফলে ফিলিস্তিনি জনসংখ্যার বেশির ভাগই বাস্তুচ্যুত  হয়ে পড়ে। তবে গত মাস থেকে একটি যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়েছে।

বেসামরিক মৃত্যুর উদ্বেগের প্রতিক্রিয়ায় তৎকালীন রাষ্ট্রপতি জো বাইডেনের প্রশাসন গত বছর ইসরায়েলে দুই হাজার পাউন্ড বোমার চালান আটকে দেয়। কিন্তু তার উত্তরসূরি ডোনাল্ড ট্রাম্প সেই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করেছেন এবং শুক্রবার ঘোষিত বিক্রিতে সেই আকারের অস্ত্র অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

সূত্র : এএফপি

এনজে

সম্পর্কিত নিবন্ধ