ডান বাম শিবির কওমি সবাইকে নিয়েই কমিটি
Published: 1st, March 2025 GMT
নতুন রাজনৈতিক দল জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) ১৭১ সদস্যের আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। জুলাই আন্দোলনের নেতাদের মধ্যে ১০ জন এ দলের শীর্ষ পদে আছেন। গতকাল শুক্রবার রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠানে আখতার হোসেন এ কমিটি ঘোষণা করেন। কমিটি বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, মধ্য, ডান, বাম, শিবির, কওমিপন্থি এবং আদিবাসী ও ১৫ নারী স্থান পেয়েছেন।
শীর্ষ ১০ পদে রয়েছেন– আহ্বায়ক মো.
এ ছাড়া কমিটিতে ১৬ যুগ্ম আহ্বায়ক, ৩২ যুগ্ম সদস্য সচিব, ১২ যুগ্ম মুখ্য সংগঠক, ৪৪ সংগঠক, ১৪ যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক এবং ৪৩ সদস্য রয়েছেন।
দলের আহ্বায়ক ও সদস্য সচিবের নাম ঘোষণা করেন জুলাই অভ্যুত্থানে শহীদ ইসমাঈল হোসেন রাব্বির বোন মীম আক্তার।
গত কয়েক দিন ধরে শীর্ষ পদগুলো নিয়ে বিরোধ চলছিল। বৃহস্পতিবার রাতে রাজধানীর বাংলামটরে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সভায় পদ বাড়িয়ে এর সমাধান করা হয়।
সমকালের বিশ্লেষণে কমিটিতে সাবেক ছাত্র ইউনিয়ন নেতা অনিক রায় যুগ্ম আহ্বায়ক, কওমি মাদ্রাসা থেকে আসা আশরাফ উদ্দিন মাহাদী যুগ্ম আহ্বায়ক এবং রফিকুল ইসলাম আইনী উত্তরাঞ্চলের সংগঠক, আদিবাসী অলিক মৃ যুগ্ম মুখ্য সংগঠক, দলিত সম্প্রদায়ের কৈলাশ চন্দ্র রবিদাস ও ভীম্পাল্লী ডেভিড রাজু যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক হয়েছেন।
এ ছাড়া একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিবির সেক্রেটারি, একজন অবসরপ্রাপ্ত মেজর স্থান পেয়েছেন। কার্যনির্বাহী পদে জুলাই অভ্যুত্থানে আহত খোকন চন্দ্র বর্মণ, দুলাল খান, আব্দুল্লাহ শাফিল, শহীদ জাবির বাবা কবির হোসেন ও শহীদ আহনাফের মা জারতাজ পারভিন পদ পেয়েছেন।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন থেকে গঠিত গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের পদ ছেড়ে অন্তত দু’জন এনসিপির কমিটিতে ঢুকেছেন। ছাত্র সংসদের সিনিয়র যুগ্ম সদস্য সচিব রিফাত রশীদ যুগ্ম আহ্বায়ক এবং সংগঠক শ্যামলী সুলতানা জেদনীকে সদস্য করা হয়েছে।
কেন্দ্রীয় কমিটির আহ্বায়ক হয়েছেন নাহিদ ইসলাম। ছিলেন অন্তর্বর্তী সরকারের তথ্য উপদেষ্টা। এর আগে ছিলেন কোটা আন্দোলনের সমন্বয়ক। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের সমাজবিজ্ঞানের শিক্ষার্থী। বর্তমানে স্নাতকোত্তরে অধ্যয়নরত। ২০১৯ সালে ডাকসুতে সাংস্কৃতিক সম্পাদক পদে ছাত্র অধিকার পরিষদ থেকে নির্বাচন করে হেরে যান। ২০২৩ সালে আহ্বায়ক আখতার হোসেনের সঙ্গে গণতান্ত্রিক ছাত্রশক্তির প্রতিষ্ঠাতা সদস্য সচিব ছিলেন তিনি।
সদস্য সচিব আখতার হোসেন ২০১৯ সালে বিপুল ভোটে নির্বাচিত ডাকসুর সমাজসেবা সম্পাদক এবং জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্য সচিব ছিলেন। তাঁর হাত ধরে গণতান্ত্রিক ছাত্রশক্তির মাধ্যমে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কদের অনেকের রাজনৈতিক হাতেখড়ি। তিনি ২০২৩ সালে গণতান্ত্রিক ছাত্রশক্তি গড়ে তোলেন। কোটা সংস্কার আন্দোলনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে নির্যাতন করা হয়। ৫ আগস্টের পর তিনি মুক্তি পান।
সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নকালে ছাত্র ফেডারেশনের রাজনীতি করেছেন। এর পর রাজনীতিতে বিরতি দেন। শিক্ষাঙ্গনে ছাত্রলীগের নির্যাতনের বিরুদ্ধে আন্দোলনের প্ল্যাটফর্ম নিপীড়নবিরোধী শিক্ষার্থীবৃন্দর অন্যতম সংগঠক ছিলেন তিনি। আরেক সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম আদীব জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র। তিনি ছাত্র অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি ছিলেন। কিছুদিন সাংবাদিকতার সঙ্গে জড়িত ছিলেন।
মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী ২০২০ সালের শুরুর দিকে প্রায় ৪০ দিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যে সীমান্ত হত্যার প্রতিবাদে অনশন করেন। তিনি ছাত্র ফেডারেশন এবং এবি পার্টির ছাত্র সংগঠন ছাত্রপক্ষের রাজনীতি করতেন।
সিনিয়র যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক আবদুল হান্নান মাসউদ জুলাই অভ্যুত্থানের অন্যতম সমন্বয়ক। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউটের অধীনে ইংরেজি ভাষা শিক্ষা বিভাগে অধ্যয়নরত।
সিনিয়র যুগ্ম সদস্য সচিব ডা. তাসনিম জারা ঢাকা মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস ডিগ্রি শেষ করেন। এর পর অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে সর্বোচ্চ ফল অর্জন করে ডিগ্রি শেষ করেছেন। ভ্যাকসিন নিয়ে সচেতনতায় অসামান্য অবদান রাখায় যুক্তরাজ্য সরকার তাঁকে ‘ভ্যাকসিন লুমিনারি’ সম্মাননা প্রদান করে। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আহতদের চিকিৎসায় তিনি ভূমিকা রেখেছেন।
সিনিয়র যুগ্ম সদস্য সচিব নাহিদা সারওয়ার নিভা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের ছাত্রী ছিলেন। ২০১৮ সালে কোটা সংস্কার আন্দোলন, নিরাপদ সড়ক আন্দোলন এবং ডাকসু আন্দোলনের সম্মুখসারির যোদ্ধা। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে মাঠ পর্যায়ে এবং সমন্বয়কদের নানাভাবে সহায়তা করেছিলেন।
মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের অমর একুশে হলের ছাত্র। ২০১৯ সালে ডাকসুতে ছাত্রলীগের প্যানেল থেকে নির্বাচিত হয়েছিলেন তিনি। ডিবেটিং সূত্রে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিচিত মুখ এবং জুলাই আন্দোলনের শুরু থেকে সামনের সারিতে থেকে নেতৃত্ব দেন।
মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আবদুল্লাহ বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের ইংরেজি বিভাগের বিজয় একাত্তর হলের ছাত্র। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক আমলাতন্ত্রের বিরুদ্ধে অনশন করেছিলেন। এ ছাড়া বিভিন্ন সময়ে তিনি অন্যায্যতার বিরুদ্ধে সরব ছিলেন।
কমিটিতে ১৬ জনকে যুগ্ম আহ্বায়ক করা হয়েছে। তারা হলেন– নুসরাত তাবাসসুম, মনিরা শারমিন, মাহবুব আলম, সারোয়ার তুষার, অ্যাডভোকেট মুজাহিদুল ইসলাম শাহিন, তাজনুভা জাবীন, সুলতান মুহাম্মদ জাকারিয়া, ড. আতিক মুজাহিদ, আশরাফ উদ্দীন মাহাদী, অর্পিতা শ্যামা দেব, তানজিল মাহমুদ, অনিক রায়, খালেদ সাইফুল্লাহ, জাবেদ রাসিন, এহতেশাম হক ও হাসান আলী।
যুগ্ম সদস্য সচিব করা হয়েছে ৩২ জনকে। এরা হচ্ছেন– আব্দুল্লাহ আল আমিন, আরিফ সোহেল, রশিদুল ইসলাম রিফাত, মাহিন সরকার, নিজাম উদ্দিন, আকরাম হুসাইন সিএফ, এসএম সাইফ মোস্তাফিজ, সালেহ উদ্দিন সিফাত (দপ্তরে সংযুক্ত), আলাউদ্দিন মোহাম্মদ, ফরিদ উদ্দিন, ফরহাদ আলম ভূঁইয়া, মিরাজ মিয়া, লুৎফর রহমান, মঈনুল ইসলাম তুহিন, মুশফিক-উস সালেহীন, জাহিদুল ইসলাম, জহিরুল ইসলাম মুসা, হুমায়ুরা নূর, মুশফিকুর রহমান জোহান, মোল্লা মোহাম্মদ ফারুক এহসান, সাগুফতা বুশরা মিশমা, আহনাফ সাঈদ খান, আবু সাঈদ মো. সুজাউদ্দিন, মীর আরশাদুল হক, ফয়সাল মাহমুদ শান্ত, তারেক রেজা, মশিউর রহমান, জয়নাল আবেদীন শিশির, মুনতাসির রহমান, গাজী সালাহউদ্দিন তানভীর, তামিম আহমেদ এবং তাহসিন রিয়াজ।
যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক হয়েছেন ১৪ জন। তারা হলেন– অ্যাডভোকেট মো. তারিকুল ইসলাম (যুব), ডা. আব্দুল আহাদ, দিলশানা পারুল, আবু হানিফ, আব্দুজ জাহের, মাজহারুল ইসলাম ফকির, কৃষিবিদ গোলাম মোর্তজা সেলিম, আশেকীন আলম, ডা. জাহিদুল বারী, কৈলাশ চন্দ্র রবিদাস, ভীম্পাল্লী ডেভিড রাজু, শেখ মোহাম্মদ শাহ মঈনুদ্দিন, মারজুক আহমেদ ও সাদ্দাম হোসেন।
দক্ষিণাঞ্চলের ৫ যুগ্ম মুখ্য সংগঠক পদে আছেন মো. আতাউল্লাহ, ডা. মাহমুদা মিতু, মোল্লা রহমতউল্লাহ, এসএম শাহরিয়ার ও জোবায়ের আরিফ।
দক্ষিণাঞ্চলে ২৬ সংগঠক হয়েছেন– আকরাম হোসাইন রাজ, হামজা মাহবুব, ওয়াহিদুজ্জামান, আসাদ বিন রনি, মোহাম্মদ রাকিব, আরমান হোসাইন, রাসেল আহমেদ, মনজিলা ঝুমা, শওকত আলী, ডা. আশরাফুল ইসলাম সুমন, মুনতাসীর মাহমুদ, ডা. মিনহাজুল আবেদীন, সাকিব শাহরিয়ার, মেজবাহ কামাল মুন্না, অ্যাডভোকেট সাকিল আহমাদ, ইমন সৈয়দ, আজিজুর রহমান রিজভী, আব্দুর রহমান, ফয়সাল আহমেদ, নয়ন আহমেদ, কাউছার হাবিব, রকিব মাসুদ, আব্দুল্লাহ আল মামুন ফয়সাল, আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ জিহান, মাওলানা সানাউল্লাহ খান ও আরিফুল ইসলাম।
উত্তরাঞ্চলে ৭ যুগ্ম মুখ্য সংগঠক হলেন– সাইফুল্লাহ হায়দার, আলী নাসের খান, সাকিব মাহদী, মেজর (অব.) আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ, সাদিয়া ফারজানা দিনা, অলিক মৃ ও হানিফ খান সজীব।
উত্তরাঞ্চলের ১৮ সংগঠক হলেন– আসাদুল্লাহ আল গালিব, রাসেল আহমদ, মেহেরাব সিফাত, ইমরান ইমন, আবু সাঈদ লিওন, ফরহাদ সোহেল, রফিকুল ইসলাম আইনী, আজাদ খান ভাসানী, দ্যুতি অরণ্য চৌধুরী, এস এম শোয়াইব, আব্দুল্লাহ আল মনসুর, মিয়াজ মেহরাব তালুকদার, মোস্তাক শিশির, নাহিদ উদ্দিন তারেক, অ্যাডভোকেট শিরীন আক্তার শেলী, আবুল বাশার, আব্দুল্লাহ আল মুহিম ও প্রীতম সোহাগ।
দলটির সদস্যপদে অভ্যুত্থানে আহত ও নিহত ব্যক্তিদের স্বজনসহ ৪৩ জনকে রাখা হয়েছে। সদস্যরা হলেন– খোকন চন্দ্র বর্মন (আহত), মো. দুলাল খান (আহত), আব্দুল্লাহ শাফিল (আহত), কবির হোসেন (শহীদ জাবিরের বাবা), জারতাজ পারভিন (শহীদ আহনাফের মা), মো. আরিফুর রহমান তুহিন, মাহবুব আলম, মো. ফাহিম রহমান খান পাঠান, রাফিদ ভূঁইয়া, ইমরান নাঈম, মশিউর আমিন শুভ, আল আমিন শুভ, ওমর ফারুক, জোবায়ের হোসেন, আসাদুল ইসলাম মুকুল, ফিহাদুর রহমান দিবস, সাইদ উজ্জ্বল, আব্দুল্লাহ আল মুঈন, নাজমুল হাসান সোহাগ, ইমামুল হক রামিম, এস আই শাহীন, আসাদুজ্জামান হৃদয়, শ্যামলী সুলতানা জেদনী, তানহা শান্তা, মোস্তফা আল হোসেইন আকিল, কাউসার হাবিব, মশিউর রহমান, নেসার উদ্দিন, ইমরান শাহরিয়ার, আহসানুল মাহবুব জোবায়ের, নাহিদা বুশরা, আব্দুল্লাহিল মামুন নিলয়, আজাদ আহমেদ পাটওয়ারী, জাহিদুল ইসলাম সৈকত, ইমরান তুহিন, আবুল বাশার, আরজু আহমাদ, মোহাম্মাদ মনিরুজ্জামান, তাওহিদ তানজিম, তারিক আদনান মুন, তৌহিদ হোসেন মজুমদার, নফিউল ইসলাম ও নীলা আফরোজ।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: এনস প য গ ম ম খ য সমন বয়ক য গ ম ম খ য স গঠক গণত ন ত র ক ছ ত র শ ক ষ বর ষ র আখত র হ স ন দ ল ইসল ম ফ ল ইসল ম র র জন ত র রহম ন কম ট ত হয় ছ ন হ স ইন আবদ ল ইমর ন ল আহম আহম দ
এছাড়াও পড়ুন:
আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে তৈরি ‘মুজিব বর্ষ ১০০’ পঞ্জিকার এখন অস্তিত্বই নেই
‘মুজিব বর্ষ ১০০’ নামে একটি বিশেষ পঞ্জিকা যৌথভাবে তৈরি করেছিল শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় ও কেন্দ্রীয় তহবিল। এতে ব্যয় করা হয়েছিল প্রায় তিন লাখ টাকা। মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে বানানো এই পঞ্জিকার প্রথম মাসের নাম ছিল ‘স্বাধীনতা’। আর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিন (১৭ মার্চ) ছিল এই মাসের প্রথম দিন। ইংরেজি ক্যালেন্ডারের মতো এটিরও গণনা করার কথা ছিল ৩৬৫ দিন ধরে। ২০২০ সালের ১৬ মার্চ পঞ্জিকাটির উদ্বোধন করেছিলেন তখনকার সরকারের দায়িত্বপ্রাপ্ত সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। তবে পঞ্জিকাটি শেষ পর্যন্ত আর আলোর মুখ দেখেনি।
এই পঞ্জিকায় ১২টি মাস আছে। তবে কোনো অধিবর্ষ (ইংরেজি লিপইয়ার) নেই। ১২ মাসের নাম দেওয়া হয়েছিল—স্বাধীনতা, শপথ, বেতারযুদ্ধ, যুদ্ধ, শোক, কৌশলযুদ্ধ, আকাশযুদ্ধ, জেলহত্যা, বিজয়, ফিরে আসা, নবযাত্রা ও ভাষা। ২০২০ সালের ১৬ মার্চ শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের তৎকালীন শ্রমসচিব কে এম আলী আজম পঞ্জিকাটির মোড়ক উন্মোচন করে গণমাধ্যমকে বলেছিলেন, পঞ্জিকায় বেশ কিছু সংস্কার প্রয়োজন। সব অংশীজনের মতামত নিয়ে ক্যালেন্ডারটি চূড়ান্ত করে এরপর সরকারি সব দপ্তরে রাখার বিষয়ে উদ্যোগ নেওয়া হবে।
মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে বানানো পঞ্জিকা