স্পিডবোটে এসে এলোপাতাড়ি গুলি, পালানোর সময় গণধোলাইয়ে নিহত ২ ডাকাত
Published: 1st, March 2025 GMT
শরীয়তপুরের আঙ্গারিয়া এলাকায় ডাকাত দলের ছোড়া এলোপাতাড়ি গুলিতে চারজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাদের মধ্যে দুজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা পাঠানো হয়েছে। ডাকাতরা পালিয়ে যাওয়ার সময় তাদের ধরে গণপিটুনি দিয়েছেন স্থানীয়রা। এতে দুজন নিহত এবং পাঁচজন আহত হয়েছেন। শুক্রবার রাত ৯টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
গুলিবিদ্ধরা হলেন- পিরোজপুরের ভাণ্ডারিয়া উপজেলার জয়নাল মিয়ার ছেলে ও বাল্কহেড শ্রমিক মাসুম মিয়া, নাজিরপুর উপজেলার কালিকাঠী এলাকার আনিস ফকিরের ছেলে ও বাল্কহেড শ্রমিক আলামিন (১৯ ও শরীয়তপুরের পালং থানার ডোমসার মোল্লা কান্দি এলাকার দলিল উদ্দিনের ছেলে তোতা মিয়া (৩৫)। আরেকজনের নাম জানা যায়নি।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রাতে একটি স্পিডবোটে করে একদল ডাকাত আঙ্গারিয়া এলাকায় প্রবেশ করে। স্থানীয়রা বিষয়টি বুঝতে পেরে তাদের প্রতিহত করার চেষ্টা করলে ডাকাতরা এলোপাতাড়ি গুলি ছোড়ে। এতে তিনজন গুলিবিদ্ধ হন।
ডাকাতির খবর চারদিকে ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয়রা সতর্ক হয়ে যান। পালানোর সময় ডাকাতরা রামগঞ্জ এলাকা দিয়ে নদীপথে বের হওয়ার চেষ্টা করে। তবে স্থানীয়রা বাল্কহেড দিয়ে নদীপথ আটকে দেয়। বাধা পেয়ে ডাকাতরা স্পিডবোট তীরে রেখে পালানোর চেষ্টা করলে জনতা তাদের ধাওয়া করে সাত জনকে ধরে ফেলে এবং গণধোলাই দেয়।
ঘটনার পর আহতদের দ্রুত শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার পর গুরুতর আহত দুজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
পালং মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হেলাল উদ্দিন বলেন, ‘ডাকাতদলের দুই জন নিহত হয়েছে বলে জেনেছি। এছাড়া তাদের পাঁচ সদস্যকে স্থানীয়দের সহায়তায় আটক করা হয়েছে। তারা বর্তমানে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এ ঘটনায় স্থানীয়রাও আহত হয়েছেন। প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।’
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: গণধ ল ই
এছাড়াও পড়ুন:
জমি নিয়ে বিরোধ, চাটমোহরে দুই পক্ষের সংঘর্ষে নারীসহ আহত ৩০
পাবনার চাটমোহরে জমিজমা নিয়ে বিরোধের জের ধরে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় নারীসহ কমপক্ষে ৩০ জন আহত হয়েছেন।
ঈদের পরদিন মঙ্গলবার বিকেল ৩টার দিকে উপজেলার নিমাইচড়া ইউনিয়নের ধানকুনিয়া উত্তরপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসে।
আহতরা হলেন- কুকড়াগাড়ি গ্রামের রিয়াজ উদ্দিন, ধানকুনিয়া গ্রামের রুমা খাতুন, ইদ্রিস আলী, শাহাদৎ হোসেন, সোলাইমান হোসেন, মুক্তা খাতুন, আখিরুল ইসলাম, উজ্জ্বল হোসেন, জাহিদুল ইসলাম, শিবলু হোসেন, ইতিয়ারা খাতুন, হৃদয় হোসেন, রাসেল হোসেন, সাথী খাতুন, শামসুন্নাহার, আবু হানিফ, আম্বিয়া খাতুন, হাবিবুর রহমান, হাবিল প্রামানিক, সলকী খাতুন। অন্যদের নাম পাওয়া যায়নি।
জানা গেছে, ধানকুনিয়া উত্তরপাড়া গ্রামের ইদ্রিস আলী ও মোন্নাফ প্রামানিকের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে জমি নিয়ে বিরোধ চলছিল। বিষয়টি নিয়ে একাধিকবার স্থানীয়ভাবে সালিশ হয়। কিন্তু কোনো সুরাহা হয়নি। মঙ্গলবার বিকেলে ওই জমি নিয়ে দুইপক্ষের লোকজনের মধ্যে প্রথমে কথা কাটাকাটি হয়। পরে উভয়পক্ষের লোকজনই দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।
পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং আহতদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। এদের মধ্যে ১১ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসক পাবনা জেনারলে হাসপাতালে স্থানান্তর করেন।
এ ব্যাপারে চাটমোহর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মঞ্জুরুল আলম বলেন, জমিজমা নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে পূর্ব বিরোধের জেরে এ ঘটনা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। এখন পর্যন্ত কোনো পক্ষই অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।