দীর্ঘদিনের না পাওয়া আলিঙ্গনে প্রিয় বন্ধুরা
Published: 28th, February 2025 GMT
ফাগুনের মিষ্টি সোনালি রোদ তখনও ছড়িয়ে পড়েনি। এর আগেই রায়বাহাদুর শ্রীনাথ ইনস্টিটিউশনের প্রাঙ্গণে সমবেত হতে শুরু করেন প্রতিষ্ঠানের প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা। গতকাল শুক্রবার দিনভর এ আয়োজন ছিল মুন্সীগঞ্জের সিরাজদীখান উপজেলার শেখরনগরে অবস্থিত শতবর্ষী প্রতিষ্ঠানটিতে।
প্রতিষ্ঠার ১০৭ বছর উপলক্ষে পুনর্মিলনীতে অংশ নেওয়া ব্যক্তিদের পদচারণায় পুরো এলাকা ছিল উৎসবমুখর। বয়স-শ্রেণির সীমারেখা পেরিয়ে তারা দাপিয়ে বেড়ায় বিদ্যাপীঠ প্রাঙ্গণ। মেতে ওঠেন প্রাণের উচ্ছলতায়। শুধু এই দিনটি উপলক্ষেই পুরোনো বন্ধুকে কাছে পেয়ে প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা হাসি-ঠাট্টা, স্মৃতিচারণ আর আড্ডা জমিয়ে তোলেন। গল্পগুজবের সঙ্গে তোলা হয় সেলফি ও ছবি। স্মরণীয় মুহূর্তে কাছাকাছি হতেই একে অন্যকে জড়িয়ে ধরেন। প্রিয় বন্ধুকে দীর্ঘদিনের না পাওয়া আলিঙ্গনে বেঁধে রাখেন তারা।
১৯৮০ সালে প্রতিষ্ঠানটি থেকে এসএসসি পরীক্ষার্থী ছিলেন আলহাজ শেখ মো.
শেখ মো. আব্দুল্লাহ ছাড়াও এ আয়োজনে সার্বিক সহায়তা করেন সাবেক যুগ্ম সচিব তাহিয়াত হোসেন, প্রতিষ্ঠান পরিচালনা পরিষদের সাবেক সভাপতি আনোয়ার হোসেন বেলু, শিক্ষক রবিউল আউয়াল, আশরাফুল ইসলাম নূর, ইঞ্জিনিয়ার মোবারক হোসেন, অধ্যাপক রওশনউজ্জামান শামীম, সাংবাদিক সৈকত সাদিক প্রমুখ।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
কলকাতায় ঈদের নামাজের আগে স্বাধীন ফিলিস্তিনির দাবিতে মিছিল
সারা ভারতসহ পশ্চিমবঙ্গে পালিত হচ্ছে ঈদুল ফিতর। এ উপলক্ষে বিভিন্ন মসজিদ ও ঈদগাহে ঈদের জামাতে সামিল হন ধর্মপ্রাণ মুসলিমরা। সকাল সাড়ে নয়টার দিকে ঈদের সবচেয়ে বড় জামাত অনুষ্ঠিত হয় কলকাতার রেড রোডে। নামাজে ইমামতি করে কাজি ফজলুর রহমান। লাখো মুসল্লি এতে অংশ নেন। এছাড়াও নাখোদা মসজিদ, টিপু সুলতান মসজিদ, পার্ক সার্কাস, ময়দান, খিদিরপুরসহ রাজ্যের অসংখ্য মসজিদে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। নামাজ শেষেই একে অপরকে আলিঙ্গন, কুশল বিনিময় করেন ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা।
তবে ঈদের নামাজ শুরুর আগেই স্বাধীন ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দাবি করে কলকাতায় সংহতি মিছিলে অংশ নেন মুসল্লিরা। হাতে ব্যানার এবং স্লোগানে স্লোগানে মুখর ছিল মিছিলটি। বিশাল মিছিল নিয়ে কলকাতার রেড রোডে প্রবেশ করেন মুসল্লিরা। বড়দের পাশাপাশি অনেক বাচ্চারাও সেই মিছিলে শামিল হয়।
ওই মিছিলে অংশগ্রহণকারী শেখ আমির নামে এক মুসুল্লি জানান, ‘আজকে আমাদের খুশির দিন, আনন্দের দিন। কিন্তু ফিলিস্তিনে আমাদের ভাই-বোনেদের সঙ্গে যে অন্যায় হচ্ছে তার প্রতিবাদ জানাচ্ছি। তারাও যেন শান্তিতে থাকতে পারেন। আমরা যেভাবে পরিবারের সঙ্গে ঈদ পালন করছি, ঠিক সেভাবে তারাও যেন পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে ঈদ পালন করতে পারেন। আমি যেমন আমার বাচ্চাকে সঙ্গে নিয়ে এসে নামাজ আদায় করছি, ঠিক তারাও যেমন এ রকম করতে পারেন। কিন্তু তাদের সঙ্গে অত্যাচার এবং জুলুম হচ্ছে। নিরপরাধ বাচ্চাদের হত্যা করা হচ্ছে সেটা কি অপরাধ নয়? ইসরায়েলের উচিত ওই বাচ্চাদের সঙ্গে মানবিক আচরণ করা। ইসরায়েলের আক্রমণে যেসব বাচ্চারা প্রাণ হারিয়েছে তাদের প্রতি সংহতি জানিয়ে আমরা আজ রাস্তায় নেমেছি।’
পরে রেড রোডের ঈদের নামাজে অংশ নেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। সঙ্গে ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী জাভেদ খান, তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক ও মমতার ভাতিজা অভিষেক ব্যানার্জি, কলকাতার পুলিশ কমিশনার মনোজ ভার্মা প্রমুখ।
পশ্চিমবঙ্গের পাশাপাশি ঈদ পালিত হচ্ছে দিল্লি, লখনৌ, হায়দ্রাবাদ, মুম্বাই, জম্মু-কাশ্মীর, ভোপাল, পাটনাসহ দেশের প্রতিটি শহরে। দিল্লির জামা মসজিদে হাজার হাজার মুসল্লি নামাজে অংশ নেন।
সম্প্রতি মহারাষ্ট্রের নাগপুরে দুইটি গোষ্ঠীর সংঘর্ষের পরিপ্রেক্ষিতে ঈদ উপলক্ষে কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল নাগপুর, মুম্বাইসহ মহারাষ্ট্রের বড় শহরগুলোতে। নাশকতা এড়াতে দিল্লিসহ প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ শহরেই ছিল পুলিশের কড়া নজরদারি।
এছাড়া বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারাও এই মসজিদে নামাজ আদায় করেন। নেতাকর্মীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করতেও দেখা যায়।