ফাগুনের মিষ্টি সোনালি রোদ তখনও ছড়িয়ে পড়েনি। এর আগেই রায়বাহাদুর শ্রীনাথ ইনস্টিটিউশনের প্রাঙ্গণে সমবেত হতে শুরু করেন প্রতিষ্ঠানের প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা। গতকাল শুক্রবার দিনভর এ আয়োজন ছিল মুন্সীগঞ্জের সিরাজদীখান উপজেলার শেখরনগরে অবস্থিত শতবর্ষী প্রতিষ্ঠানটিতে।
প্রতিষ্ঠার ১০৭ বছর উপলক্ষে পুনর্মিলনীতে অংশ নেওয়া ব্যক্তিদের পদচারণায় পুরো এলাকা ছিল উৎসবমুখর। বয়স-শ্রেণির সীমারেখা পেরিয়ে তারা দাপিয়ে বেড়ায় বিদ্যাপীঠ প্রাঙ্গণ। মেতে ওঠেন প্রাণের উচ্ছলতায়। শুধু এই দিনটি উপলক্ষেই পুরোনো বন্ধুকে কাছে পেয়ে প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা হাসি-ঠাট্টা, স্মৃতিচারণ আর আড্ডা জমিয়ে তোলেন। গল্পগুজবের সঙ্গে তোলা হয় সেলফি ও ছবি। স্মরণীয় মুহূর্তে কাছাকাছি হতেই একে অন্যকে জড়িয়ে ধরেন। প্রিয় বন্ধুকে দীর্ঘদিনের না পাওয়া আলিঙ্গনে বেঁধে রাখেন তারা।
১৯৮০ সালে প্রতিষ্ঠানটি থেকে এসএসসি পরীক্ষার্থী ছিলেন আলহাজ শেখ মো.

আব্দুল্লাহ। তিনি তৈরি পোশাক খাতের প্রতিষ্ঠান আল-মুসলিম গ্রুপের কর্ণধার। তিনি বলেন, ‘স্কুল ছেড়ে গিয়েছি ৪৪ বছর আগে। এটি আমার প্রাণের স্কুল; আমার ভালোবাসার ও আবেগের স্কুল। খুবই ভালো লাগছে। পুরোনো অনেক স্মৃতি আজ মনে পড়ছে।’
শেখ মো. আব্দুল্লাহ ছাড়াও এ আয়োজনে সার্বিক সহায়তা করেন সাবেক যুগ্ম সচিব তাহিয়াত হোসেন, প্রতিষ্ঠান পরিচালনা পরিষদের সাবেক সভাপতি আনোয়ার হোসেন বেলু, শিক্ষক রবিউল আউয়াল, আশরাফুল ইসলাম নূর, ইঞ্জিনিয়ার মোবারক হোসেন, অধ্যাপক রওশনউজ্জামান শামীম, সাংবাদিক সৈকত সাদিক প্রমুখ।

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

শিক্ষার্থীদের মনোমুগ্ধকর পরিবেশনায় ‘দ্য সাউন্ড অব মিউজিক’ মঞ্চস্থ

চঞ্চল মারিয়া প্রকৃতির মাঝে ঘুরে বেড়ায় আর মনের আনন্দে গান গায়। নান বা খ্রিষ্টধর্মাচরণের জীবন বেছে নিয়ে এভাবে ভালোই কাটছিল মারিয়ার জীবন। কিন্তু হঠাৎ এই জীবনে ছেদ পড়ে। ক্যাপ্টেন জর্জ ফন ট্রাপের সাত সন্তানের দেখভালের দায়িত্ব দিয়ে মারিয়াকে দূরে পাঠিয়ে দেন নান লিডার মাদার অ্যাবেসে।

ধীরে  ধীরে নতুন পরিবেশে মানিয়ে নেয় মারিয়া। নিজ গুণে অবাধ্য সাত শিশুকে সহজেই নিজের ভক্ত বানিয়ে ফেলে। একটা পর্যায়ে শিশুদের বাবা কঠোর স্বভাবের ক্যাপ্টেন ফন ট্রাপ আকৃষ্ট হয় মারিয়ার প্রতি। গানে গানে এভাবে এগিয়ে চলে গল্প।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রাজধানীর ধানমন্ডির ছায়ানট সংস্কৃতি–ভবন মিলনায়তনে ‘দ্য সাউন্ড অব মিউজিক’ মঞ্চস্থ হয়। ১৯৬৫ সালে তৈরি সংগীতনির্ভর চলচ্চিত্র ‘দ্য সাউন্ড অব মিউজিক’–এর ৬০তম বার্ষিকী উদ্‌যাপন উপলক্ষে এই আয়োজন করে এক্সেল একাডেমি।

এক্সেল একাডেমির শিক্ষার্থীদের পরিবেশনায় গত বুধ ও বৃহস্পতিবার (২৬ ও ২৭ ফেব্রুয়ারি) দুই দিন নাটকটি মঞ্চস্থ হয়। নাটকটি সফলভাবে মঞ্চস্থ করার জন্য অংশগ্রহণকারী শিশুরা প্রায় দেড় মাস অক্লান্ত পরিশ্রম করেছে। অভিনয়ে অংশ নেয় বিভিন্ন শ্রেণির ২০ জন শিক্ষার্থী এবং সংগীতে ১৮ জন।  

মূল চরিত্র মারিয়ার ভূমিকায় অভিনয় করে আরিশা ওহাব। ক্যাপ্টেন ফন ট্রাপের চরিত্রে দেখা যায় সাইফান রাসূলকে।  নাটকটির চিত্রনাট্য রচনা ও নির্দেশনা দেন রকি খান।

বৃহস্পতিবার সমাপনী পরিবেশনার অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নন্দিত অভিনেতা ও নির্মাতা আফজাল হোসেন। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘শৈশবে আমাদের ইচ্ছেগুলো নিজেদের উদ্যোগেই পূরণ করতে হয়েছে। অভিভাবক বা শিক্ষকেরা সেভাবে সহযোগিতা করেননি। শিল্পবোধ তো সব প্রাণেই জাগিয়ে তোলা দরকার। এরা সৌভাগ্যবান যে এদের স্কুল, শিক্ষক ও অভিভাবকেরা তাদের ভেতরের স্পৃহাগুলো জাগিয়ে রাখার চেষ্টা করছে।’

সংগীতনির্ভর চলচ্চিত্র ‘দ্য সাউন্ড অব মিউজিক’–এর ৬০তম বার্ষিকী উদ্‌যাপন উপলক্ষে মঞ্চ নাটক

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • রমজান উপলক্ষে আমিরাতে সহস্রাধিক বন্দির সাজা মওকুফ
  • রমজান উপলক্ষে হিলি দিয়ে বাঙ্গি আমদানি শুরু
  • রমজান উপলক্ষে ১২৯৫ বন্দিকে মুক্তির নির্দেশ আমিরাত প্রেসিডেন্টের
  • শিক্ষার্থীদের মনোমুগ্ধকর পরিবেশনায় ‘দ্য সাউন্ড অব মিউজিক’ মঞ্চস্থ
  • বারো শিবালয় মন্দিরে ৪শ বছরের পুরোনো মেলা
  • আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে ঢাবিতে সেমিনার
  • রমজান উপলক্ষে ওয়েস্টিন ঢাকা ও শেরাটন ঢাকার বিশেষ আয়োজন
  • ৪১ দিনের ছুটিতে যাচ্ছে ইবি, খোলা থাকবে হল
  • আদিনাথ মন্দিরে তীর্থযাত্রীদের ঢল, জমে উঠেছে মেলা