কুমিল্লা রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ এলাকার (ইপিজেড) পাশের গ্রাম দিশাবন্দ, রাজাপাড়া ও কাজীপাড়া। এসব গ্রামের ভেতরের একটি খাল দিয়ে ইপিজেড আর সিটি করপোরেশনের ময়লা ও দূষিত পানি দক্ষিণ এলাকায় প্রবাহিত হচ্ছে।
দিশাবন্দ মসজিদের পাশের বাড়ির বাসিন্দা মোজাম্মেল হকের ভাষ্য, ইপিজেড করার আগে পানিতে এমন দুর্গন্ধ ছিল না। এসব বিষাক্ত পানি ইপিজেডের ভেতর থেকেই বের হচ্ছে। খাল থেকে ঘরের ভেতরেও যাচ্ছে দুর্গন্ধ। এমন দাবি পাশের লক্ষ্মীনগর, কাজীপাড়া ও উনাইসার গ্রামের বাসিন্দাদেরও।
তবে কলকারখানার ‘বিষাক্ত তরল বর্জ্য’ নিয়ে ইপিজেড, পরিবেশ অধিদপ্তর, কুমিল্লা সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষ এবং দক্ষিণ জেলা কৃষক সমবায়ী ঐক্য পরিষদের পাল্টাপাল্টি অভিযোগ রয়েছে।
জানা গেছে, ১৯৯৯ সালের মার্চে কুমিল্লা পুরোনো বিমানন্দর এলাকার ২৬৭ দশমিক ৪৬ একর জমিতে কুমিল্লা ইপিজেড প্রকল্প অনুমোদন পায়। ২০০০ সালের ১৫ জুলাই এই ইপিজেড উদ্বোধন করেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এখানে দেশি-বিদেশি ৪৮টি কারখানা রয়েছে। স্থানীয়দের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে ২০১১ সালের ১৩ ডিসেম্বর ইপিজেডের দক্ষিণ প্রান্তে তরল বর্জ্য শোধনাগার (সিইটিপি) স্থাপন কাজ শুরু হয়। ২০১৪ সালের ৩০ নভেম্বর ৩৮ কোটি ৫০ লাখ টাকা ব্যয়ের প্রকল্পটির কাজ শেষ হয়। প্রতিদিন কমপক্ষে ১৫ হাজার ঘনমিটার বর্জ্য পরিশোধন করতে পারে শোধনাগারটি। এর পরও বিষাক্ত তরল বর্জ্যে পরিবেশ দূষণ রোধে ইপিজেড কর্তৃপক্ষের পদক্ষেপ সন্তোষজনক নয় বলে অভিযোগ ভুক্তভোগীদের।
গতকাল শুক্রবার মোস্তফাপুর, দিশাবন্দ, রাজাপাড়া, লক্ষ্মীনগর ও কাজীপাড়া এলাকার বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ইপিজেড প্রতিষ্ঠার আগে নগরীর খালে এমন কালো ও দুর্গন্ধযুক্ত পানি দেখেননি তারা। উনাইসার এলাকায় ইপিজেডের দক্ষিণ-পশ্চিম অংশের সীমানাপ্রাচীরের নিচ দিয়ে বের হচ্ছে এসব বিষাক্ত পানি। এরপর পাশের দিশাবন্দ ও কাজীপাড়া খাল হয়ে এসব বিষাক্ত পানি মোস্তফাপুরে গিয়ে গুংগাইজুরি খালে পড়ছে। এর পর সদর দক্ষিণ উপজেলার 
বিজয়পুর এলাকা হয়ে লালমাই উপজেলার বাগমারা এলাকায় গিয়ে ডাকাতিয়া নদীতে মিশছে। এসব এলাকার খাল-বিল ও নালায় গাঢ় কালো রঙের দুর্গন্ধযুক্ত পানি।
কাজীপাড়া গ্রামের বাসিন্দা মীর হোসেন বলেন, পানির সঙ্গে আসা দুর্গন্ধে বাড়িতে থাকা যায় না। বিষাক্ত গ্যাসের কারণে বাসার ফ্রিজ ও মসজিদের এসিও নষ্ট হয়ে গেছে।
রাজাপাড়া গ্রামের সালেহ আকরামের অভিযোগ, এলাকার বড় একটি ডেইরি ফার্মের বর্জ্য খালে প্রবাহিত হয়ে পরিবেশ দূষণ করছে।
দক্ষিণ জেলা কৃষক সমবায়ী ঐক্য পরিষদ ও কুমিল্লা বাঁচাও মঞ্চ দীর্ঘদিন ধরে স্থানীয়দের দাবি আদায়ে সোচ্চার থাকলেও দৃশ্যমান কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। অস্বস্তিকর পরিবেশের জন্য সিটি করপোরেশন ও ইপিজেড কর্তৃপক্ষ পরস্পরকে দোষারোপ করে আসছে। ইপিজেড কর্তৃপক্ষের দাবি, তাদের কেন্দ্রীয় বর্জ্য শোধনাগারের মাধ্যমে সব বর্জ্য পরিশোধন হচ্ছে। তাদের কোনো ধরনের বর্জ্য খাল ও জলাশয়ে মিশছে না। একই খালে সিটি করপোরেশনের পানি প্রবাহিত হয়। সেই পানিই বিষাক্ত।
কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ছামছুল আলম সমকালকে বলেন, নগরের ড্রেনের পানি এত বিষাক্ত ও দুর্গন্ধযুক্ত নয়। কারণ নগরীর পানি আরও একাধিক পয়েন্ট দিয়ে বের হয়। সেখান থেকে তো এত অভিযোগ আসছে না। তবুও নগরীর বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় একটি উন্নত প্রযুক্তির প্রকল্প চূড়ান্ত পর্যায়ে। তিনি বলেন, ইপিজেড 
এলাকা থেকে হঠাৎ ড্রেন সরিয়ে নিতে গেলে নগরীর পানি প্রবাহে বড় ধরনের সমস্যা হবে। নগরীর পানিতে বিষাক্ত উপাদান পাওয়ার বিষয়ে পরিবেশ অধিদপ্তর থেকে আনুষ্ঠানিক কোনো চিঠি নগর ভবনে আসেনি।
স্থানীয়দের অভিযোগ, শিল্প প্রতিষ্ঠানের রাসায়নিক বর্জ্য আশপাশের অর্ধশতাধিক গ্রামের ফসলি জমি, খাল-বিল, নদী-নালায় মিশে জীববৈচিত্র্যের ক্ষতি করছে। বিষাক্ত বর্জ্যে জলজ উদ্ভিদ-মাছ মরে যাচ্ছে, উৎকট গন্ধে মানুষের জীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে।
এ অবস্থা থেকে পরিত্রাণ পেতে কুমিল্লা বাঁচাও আন্দোলন ও কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা কৃষক সমবায়ী ঐক্য পরিষদ দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করে আসছে। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়সহ বিভিন্ন দপ্তরে স্মারকলিপিও দেওয়া হয়। সর্বশেষ চলতি বছরের ৯ জানুয়ারি কৃষক সমবায়ী ঐক্য পরিষদের পক্ষ থেকে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব বরাবর অভিযোগ দেওয়া হয়। সংগঠনের সভাপতি অ্যাডভোকেট মুহম্মদ আখতার হোসাইন স্বাক্ষরিত ৬ পাতার অভিযোগে ইপিজেড ও সিটির বিষাক্ত বর্জ্যে দক্ষিণাঞ্চলের ৫৫টি গ্রামের জনগণের জন্য ক্ষতিপূরণ আদায় এবং মহানগরের প্রাকৃতিক খালের সঙ্গে বিষাক্ত বর্জ্যের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার দাবি জানানো হয়। অভিযোগে ইপিজেডের ভেতর থেকে সিটি করপোরেশনের দুটি বড় ড্রেন সরিয়ে নেওয়া, বর্জ্য শোধনাগার নিয়মিত অনলাইন মনিটর এবং অপরিশোধিত তরল সিইটিপি ব্যতীত অন্য কোনো বাইপাস নালার মাধ্যমে অপসারণ না করা এবং সব খালের পুনঃখনন দাবি করা হয়। অভিযোগে বিষাক্ত বর্জ্যে কৃষকের ৫৯০ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতির বিবরণ তুলে ধরা হয়।
কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা কৃষক সমবায়ী ঐক্য পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা মনিরুল হক চৌধুরী সমকালকে বলেন, ইপিজেড প্রতিষ্ঠার পর থেকেই পরিবেশ মারাত্মক দূষণের কবলে পড়ে। বেশ কয়েকবার ইপিজেডের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নিয়ে মাঠে আন্দোলন-সংগ্রাম করা হলেও দৃশ্যমান কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। তিনি বলেন, ইপিজেড কর্তৃপক্ষ ও সিটি করপোরেশন কেউ দায় এড়াতে পারে না। কারণ সিটি কর্তৃপক্ষ আশপাশের খাল ও নালা খনন করলে সমস্যা কিছুটা হলেও কমে আসত। তিনি বলেন, ইপিজেড থেকে সিটি কর্তৃপক্ষ বাড়তি কোনো সুবিধা নেয় কিনা, তাও খতিয়ে দেখতে হবে। আগামী তিন মাসের মধ্য দৃশ্যমান কোনো অগ্রগতি না হলে কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে।
বেপজা কুমিল্লার নির্বাহী পরিচালক আবদুল্লাহ আল মাহবুব জানান, কেন্দ্রীয় তরল বর্জ্য শোধনাগার ২৪ ঘণ্টাই চালু থাকে। ইপিজেডের শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলোর সব ধরনের তরল বর্জ্য পরিশোধন করে দক্ষিণ পাশের খালে নিষ্কাশন করা হচ্ছে। তাঁর দাবি, ইপিজেডের ভেতরে সিটি করপোরেশনের দুটি নালা রয়েছে। সেগুলো দিয়ে মানববর্জ্যসহ শহরের দূষিত পানি ইপিজেডের পরিশোধিত পানির সঙ্গে বের হচ্ছে। মানুষ না বুঝেই ইপিজেডকে দোষারোপ করছে।
কুমিল্লা পরিবেশ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মোসাব্বের হোসেন মোহাম্মদ রাজিব বলেন, ‘শুধু যে ইপিজেডের বর্জ্য থেকে পরিবেশ দূষিত হয় 
তা নয়, আমরা সিটির অভ্যন্তরের কিছু ড্রেন থেকে পানির নমুনা সংগ্রহ করে পরিবেশের জন্য 
ক্ষতিকর উপাদান পেয়েছি। কারণ বাসাবাড়ির মানববর্জ্য, সাবান, ডিটারজেন্ট, নির্মাণাধীন ভবনের রংসহ বিভিন্ন বর্জ্য পাইপলাইনের মাধ্যমে ড্রেনে গিয়ে মিশছে।’

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ব ষ ক ত বর জ য বর জ য প দ শ বন দ র বর জ য নগর র প পর ব শ পর শ ধ এল ক র রকল প

এছাড়াও পড়ুন:

রোজা শুরুর আগেই লেবু শসা ও বেগুনে উত্তাপ

অন্য বছরের তুলনায় এবার রোজার আগে বেশির ভাগ নিত্যপণ্যের দাম বলা চলে এক প্রকার স্বাভাবিক। তবে কয়েকটি পণ্যে রোজার আঁচ লেগেছে। বিশেষ করে এ তালিকায় রয়েছে লেবু, বেগুন, শসাসহ ইফতারিতে ব্যবহার হয় এমন পণ্য। চাহিদা বাড়ার সুযোগে পণ্যগুলোর দর কিছুটা বেড়েছে।

শুক্রবার ছুটির দিনে কারওয়ান বাজারসহ রাজধানীর কয়েকটি বাজার ঘুরে এমন চিত্র লক্ষ্য করা গেছে। শনিবার চাঁদ দেখা গেলে রোববার থেকে শুরু হবে পবিত্র মাহে রমজান। এর আগে সবাই অগ্রিম বাজার করে প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছেন। এর কিছুটা প্রভাবও পড়েছে বাজারে।

খুচরা ও পাইকারি পর্যায়ের ব্যবসায়ীরা বলেন, এখন লেবুর মৌসুম নয়। ফলে প্রায় এক মাস ধরে দর বাড়তি। এ ছাড়া বেগুন, শসাসহ যেগুলোর দাম বেড়েছে তার মূল কারণ ক্রেতাদের বেশি পরিমাণে কেনা। রোজার আগমুহূর্তে প্রতিবছরই এসব পণ্যের দর বাড়ে। তবে পণ্যের সরবরাহ স্বাভাবিক থাকলে সামনের দিনগুলোতে দর বাড়ার সম্ভাবনা কম বলে মনে করেন তারা।

শরবত তৈরির অন্যতম উপাদান লেবু। রমজানে ইফতারে কমবেশি সবাই শরবত খাওয়ার চেষ্টা করেন। ফলে লেবুর চাহিদা বেড়ে যায়। আর এ সুযোগে বাড়তি দাম নিচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। বিশেষ করে প্রতি হালি শরবতি বা সুগন্ধি লেবু বিক্রি হচ্ছে ৬৫ থেকে ৭০ টাকা এবং আকারভেদে অন্য লেবুর হালি বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৬০ টাকায়। মাসখানেক আগে অন্তত ১০ থেকে ১৫ টাকা কমে কেনা গেছে লেবুর হালি। তবে এখনও বাড়লেও গত বছরের এ সময়ের তুলনায় কিছুটা কম রয়েছে দাম।

কারওয়ান বাজারের পাইকারি লেবু ব্যবসায়ী জালাল আহমেদ সমকালকে বলেন, লেবুর উৎপাদন কম। কারণ, এখন লেবুর মৌসুম নয়। তাছাড়া অনেক দিন ধরে বৃষ্টিপাত নেই। এ জন্য ফলন ভালো হচ্ছে না। সেজন্য বাজারে লেবু কম আসছে। কিন্তু রোজার কারণে মানুষ আগেভাগে লেবু কিনছেন। মূলত এ জন্য দর বাড়তি।

বাজারে এখন ভরপুর শসা রয়েছে। হাইব্রিড ও দেশি শসার পাশাপাশি ছোট আকারের খিরাও পাওয়া যাচ্ছে। হাইব্রিড শসা ও খিরার কেজি ৪০ থেকে ৬০ টাকা কেনা গেলেও দেশি জাতের শসা কিনতে ক্রেতাকে গুনতে হচ্ছে ৬০ থেকে ৮০ টাকা। সপ্তাহখানেক আগে এসব শসা অন্তত ১০ থেকে ৩০ টাকা কমে কেনা গেছে। অবশ্য, এ দর গেল রমজানের চেয়ে বেশ কম। গত বছর এ সময় শসার কেজি সর্বোচ্চ ১১০ টাকা ছুঁয়েছিল।

এখনও টমেটোর ভর মৌসুম চলছে। ফলে বাজারে দেশি টমেটোর পর্যাপ্ত সরবরাহ দেখা গেছে। সেজন্য দাম এখনও নাগালে। কেজিপ্রতি বিক্রি হচ্ছে ২৫ থেকে ৪০ টাকায়।
বেগুনি তৈরি করতে লম্বা বেগুনের দরকার হয়। সেজন্য রোজার সময় লম্বা বেগুনের চাহিদা বেড়ে যায়। যার প্রভাব পড়েছে দামে। পাঁচ-ছয় দিন আগেও প্রতি কেজি লম্বা বেগুন কেনা গেছে ৪০ থেকে ৫০ টাকায়। প্রায় দ্বিগুণের মতো দর বেড়ে এখন বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৮০ টাকায়। তবে পাড়া-মহল্লায় ভ্যান থেকে কিনতে গেলে ক্রেতাকে কেজিতে বাড়তি গুনতে হচ্ছে অন্তত আরও ১০ টাকা। বছরের অন্য সময়ে গোল বেগুনের দর বেশি থাকলেও এখন স্বাভাবিক। প্রতি কেজি কেনা যাবে ৫০ থেকে ৬০ টাকায়।

কারওয়ান বাজারের খুচরা সবজি বিক্রেতা ইয়াকুব আলী বলেন, এখনও শীতের সবজিতে বাজার ভরপুর। লম্বা বেগুনের চাহিদা বেশি। এ কারণে কেউ কেউ দর বেশি নিচ্ছে। তবে অন্য জায়গায় দর বাড়লেও কারওয়ান বাজারে বাড়েনি বলে দাবি করেন এই বিক্রেতা।

গাজরের সরবরাহ রয়েছে বেশ ভালো। ফলে দর বাড়ার তালিকায় উঠতে পারেনি মিষ্টি জাতীয় সবজিটি। প্রতি কেজি গাজর কেনা যাচ্ছে ৩০ থেকে ৪০ টাকায়। গত বছরের তুলনায় এ বছর কম দরে মিলছে পেঁয়াজ। মানভেদে দেশি প্রতি কেজি পেঁয়াজ কেনা যাচ্ছে ৪৫ থেকে ৫০ টাকায়।

রমজানে কাঁচামরিচের চাহিদা বেশি থাকে। তবে এবার ঝালজাতীয় পণ্যটির দর নাগালের মধ্যেই রয়েছে। কেজিপ্রতি বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৬০ টাকায়। মাস দুই-তিনেক ধরে এ দরের আশপাশেই বিক্রি হচ্ছে মরিচ।

এ বিষয়ে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক ও ঢাকা বিভাগীয় প্রধান বিকাশ চন্দ্র দাস সমকালকে বলেন, রোজা উপলক্ষে রোববার থেকে ঢাকা মহানগরে ১০টি বিশেষ তদারকি দল মাঠে নামবে। তারা বিভিন্ন বাজারে তদারকি করবে। রমজানজুড়ে চলবে এ তদারকি কার্যক্রম। রোববার সকালে অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কারওয়ান বাজারে এ তদারকি কার্যক্রম উদ্বোধন করবেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ