দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটে পীর রহিম শাহের মাজারে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে ‘সিরাতে মুস্তাকিম পরিষদের’ ব্যানারে এ হামলা চালানো হয়। তারা মাজারে ওরসের নামে অসামাজিক কার্যকলাপ বন্ধের দাবি জানান।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, হামলাকারীরা মারমুখী হওয়ায় রাত ৯টা পর্যন্ত মাজার এলাকায় পুলিশ প্রশাসন উপস্থিত হতে পারেনি।

জানতে চাইলে ঘোড়াঘাট থানার ওসি নাজমুল হক রাত সোয়া ৯টার দিকে বলেন, বিক্ষুব্ধ জনতা মাজারে অবস্থান নিয়ে ভাঙচুর চালাচ্ছে। তাদের সংখ্যা বেশি হওয়ায় নিরাপত্তাজনিত কারণে পুলিশ যেতে পারছে না। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানানো হয়েছে। তাদের নির্দেশনা পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

জানা যায়, ঘোড়াঘাটের রানীগঞ্জ বাজারে পীর রহিম শাহ ভাণ্ডারীর মাজারে প্রতিবছর ২ থেকে ৪ মার্চ বার্ষিক ওরস হয়। এবারও রোববার থেকে ওরস আয়োজনের ঘোষণা দিয়েছে মাজার কর্তৃপক্ষ। তবে ওরসের নামে মাদক সেবন, অসামাজিক কার্যকলাপ বন্ধের দাবিতে শুক্রবার বিকেলে সিরাতে মুস্তাকিম পরিষদ লাঠি মিছিল বের করে। মিছিল থেকে এক পর্যায়ে মাজারে হামলা, ভাঙচুর ও আগুন দেওয়া হয়।
 

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

সংস্কারের পক্ষে ‘মার্চ ফর ঢাকা’ কর্মসূচি দেবে ইসলামী আন্দোলন

জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে অন্তর্বর্তী সরকারকে প্রয়োজনীয় সংস্কার করতে সময় দিতে চায় ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। বিভিন্ন কর্মসূচিতে দলটির নেতারা একাধিকবার জানিয়েছেন, সংস্কারের আগে নির্বাচন মেনে নেবেন না তাঁরা। সংস্কারের পক্ষে দলটি শিগগিরই ‘মার্চ ফর ঢাকা’ কর্মসূচি দেবে বলে জানিয়েছেন ইসলামী আন্দোলনের সিনিয়র নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ ফয়জুল করিম।

আজ শনিবার বিকেলে বায়তুল মোকাররম মসজিদের উত্তর গেটে আয়োজিত এক সমাবেশে মুফতি সৈয়দ ফয়জুল করিম এ কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘আমরা অচিরেই মার্চ ফর ঢাকা ঘোষণা দেব। লাখ লাখ, কোটি কোটি মানুষ ঢাকায় জমায়েত করব। (আমরা জানতে চাই) কারা সংস্কারের পক্ষে আর কারা বিপক্ষে। জনগণই নির্ধারণ করবে আগে সংস্কার হবে নাকি নির্বাচন হবে।’

ভারতের ওয়াক্‌ফ আইনের প্রতিবাদ এবং নারী সংস্কার কমিশন বাতিলের দাবিতে ইসলামী আন্দোলনের ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ শাখা এই সমাবেশের আয়োজন করে। সমাবেশ শেষে একটি গণমিছিল বের করা হয়। মিছিলটি কাকরাইল মোড়ে গিয়ে শেষ হয়।

সমাবেশে মুফতি সৈয়দ ফয়জুল করিম বলেন, বাংলাদেশকে নিয়ে গভীর ষড়যন্ত্র চলছে। কেবলই নির্বাচন, নির্বাচন। আগে সংস্কার হবে, তারপর নির্বাচন হবে। সংস্কারের বাইরে বাংলাদেশের মানুষ নির্বাচন মানবে না। তিনি বলেন, ‘জাতীয় নির্বাচনের আগে টেস্ট হিসেবে আমরা স্থানীয় নির্বাচন চাই। স্থানীয় নির্বাচন সুষ্ঠু করতে পারলে বুঝব জাতীয় নির্বাচনও সুষ্ঠু হবে। নাহলে বুঝতে হবে, নির্বাচনের পরিবেশ এখনো সৃষ্টি হয়নি।’

নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশন বাতিলের দাবি জানিয়েছেন মুফতি সৈয়দ ফয়জুল করিম। তিনি বলেন, ‘শুধু কমিশনের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান এবং কমিশন বাতিল করলেই হবে না; বরং সংশ্লিষ্টদের আইনের আওতায় আনতে হবে।’ ভারতে ওয়াক্‌ফ আইন পরিবর্তন করে সে দেশে মুসলমানদের নির্মূল করার অপচেষ্টা চলছে জানিয়ে এর বিরুদ্ধে দাঁড়াতে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন, জাতিসংঘ, ওআইসিসহ সব সংস্থার প্রতি আহ্বান জানান।

গণমিছিল–পূর্ববর্তী এই সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন ইসলামী আন্দোলনের মহাসচিব মাওলানা ইউনূস আহমদ, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব গাজী আতাউর রহমান, দপ্তর সম্পাদক লোকমান হোসাইন জাফরী, সংখ্যালঘুবিষয়ক সম্পাদক মাওলানা মকবুল হোসাইন, ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি শেখ ফজলে বারী মাসউদ প্রমুখ। সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন দলের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি মাওলানা ইমতিয়াজ আলম।

সম্পর্কিত নিবন্ধ