দিনাজপুরে মাজারে ভাঙচুর-আগুন, যেতে পারছে না পুলিশ
Published: 28th, February 2025 GMT
দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটে পীর রহিম শাহের মাজারে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে ‘সিরাতে মুস্তাকিম পরিষদের’ ব্যানারে এ হামলা চালানো হয়। তারা মাজারে ওরসের নামে অসামাজিক কার্যকলাপ বন্ধের দাবি জানান।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, হামলাকারীরা মারমুখী হওয়ায় রাত ৯টা পর্যন্ত মাজার এলাকায় পুলিশ প্রশাসন উপস্থিত হতে পারেনি।
জানতে চাইলে ঘোড়াঘাট থানার ওসি নাজমুল হক রাত সোয়া ৯টার দিকে বলেন, বিক্ষুব্ধ জনতা মাজারে অবস্থান নিয়ে ভাঙচুর চালাচ্ছে। তাদের সংখ্যা বেশি হওয়ায় নিরাপত্তাজনিত কারণে পুলিশ যেতে পারছে না। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানানো হয়েছে। তাদের নির্দেশনা পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জানা যায়, ঘোড়াঘাটের রানীগঞ্জ বাজারে পীর রহিম শাহ ভাণ্ডারীর মাজারে প্রতিবছর ২ থেকে ৪ মার্চ বার্ষিক ওরস হয়। এবারও রোববার থেকে ওরস আয়োজনের ঘোষণা দিয়েছে মাজার কর্তৃপক্ষ। তবে ওরসের নামে মাদক সেবন, অসামাজিক কার্যকলাপ বন্ধের দাবিতে শুক্রবার বিকেলে সিরাতে মুস্তাকিম পরিষদ লাঠি মিছিল বের করে। মিছিল থেকে এক পর্যায়ে মাজারে হামলা, ভাঙচুর ও আগুন দেওয়া হয়।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
রোজার চাঁদ দেখলে কী দোয়া পড়বেন
রহমতের মাস রমজানের নতুন চাঁদ দেখলে; বিশ্বনবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) পড়া সেই দোয়া পড়বেন। যেখানে শান্তি ও নিরাপত্তার প্রার্থনা রয়েছে। হাদিসে আছে-হজরত তালহা ইবনে ওবায়দুল্লাহ (রা.) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) যখন নতুন চাঁদ দেখতেন তখন বলতেন-
উচ্চারণ: আল্লাহু আকবার, আল্লাহুম্মা আহিল্লাহু আলাইনা বিল আমনি ওয়াল ঈমানি ওয়াসসালামাতি ওয়াল ইসলামি ওয়াত্তাওফিকি লিমা তুহিব্বু ওয়া তারদা রাব্বুনা ওয়া রাব্বুকাল্লাহ।
অর্থ: আল্লাহ মহান, হে আল্লাহ! এ নতুন চাঁদকে আমাদের নিরাপত্তা, ইমান, শান্তি ও ইসলামের সঙ্গে উদয় কর। আর তুমি যা ভালোবাস এবং যাতে তুমি সন্তুষ্ট হও, সেটাই আমাদের তৌফিক দাও। আল্লাহ তোমাদের এবং আমাদের প্রতিপালক।’ (তিরমিজি, মিশকাত)
রাসুলুল্লাহ (সা.) শাবান মাসের ২৯ তারিখ সন্ধ্যায় রমজানের চাঁদের অনুসন্ধান করতেন। এমনকি সাহাবিদের চাঁদ দেখতে বলতেন। রমজানের নতুন চাঁদ দেখলে প্রিয় নবী (সা.) কল্যাণ ও বরকতের দোয়া করতেন।
আরও পড়ুনইফতারের দোয়া২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪নতুন চাঁদকে আরবিতে বলে ‘হিলাল’। ‘হিলাল’ হচ্ছে এক থেকে তিন তারিখের চাঁদ। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘তোমরা চাঁদ দেখে রোজা রাখো, চাঁদ দেখে রোজা ছাড়ো, ইফতার করো বা ঈদ করো।’ যে সন্ধ্যায় আকাশে চাঁদ দেখা যায়, সে রাত হলো ‘চাঁদরাত’। আরবি চান্দ্র বছরের নবম মাস রমজান এবং দশম মাস শাওয়াল।
যে কোনো মাসের নতুন চাঁদ, এমনকি রোজা ও ঈদের চাঁদ দেখার দোয়া একটিই। হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.) নতুন চাঁদ দেখলে এই দোয়া পড়তেন—
উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা আহিল্লাহু আলাইনা বিল-য়ুমনি ওয়াল ঈমানি, ওয়াসসালামাতি ওয়াল ইসলামি- রাব্বি ওয়া রাব্বুকাল্লাহ।
অর্থ: হে আল্লাহ! আপনি আমাদের জন্য এই চাঁদকে সৌভাগ্য ও ইমান, শান্তি ও ইসলামের সঙ্গে উদিত করুন।আল্লাহই আমার ও তোমার রব। (জামে তিরমিজি, হাদিস : ৩৪৫১)
এ ছাড়াও রমজানের চাঁদ দেখার খবর শুনে দোয়া করা হয়।
উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা সাল্লিমনি লিরমাদান, ওয়া সাল্লিম রামাদানা লি, ওয়া তাসলিমাহু মিন্নি মুতাক্বাব্বিলা। (তাবারানি)
অর্থ: হে আল্লাহ! আমাকে শান্তিময় রমজান দান করুন। রমজানকে আমার জন্য শান্তিময় করুন। রমজানের শান্তিও আমার জন্য কবুল করুন।
আরও পড়ুনরোজার কাজা, কাফফারা ও ফিদিয়া কী০২ মার্চ ২০২৪