Samakal:
2025-03-31@09:17:24 GMT

দুই বছরের কাজ শেষ হয়নি ছয় বছরেও

Published: 28th, February 2025 GMT

দুই বছরের কাজ শেষ হয়নি ছয় বছরেও

ছয় বছর আগে ভূরুঙ্গামারীর দুধকুমার নদের ওপর দ্বিতীয় সোনাহাট সেতু নির্মাণের কাজ শুরু করে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। দুই বছরের মধ্যে কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সেই সময় পার হয়ে প্রকল্পের মেয়াদ আরও চারবার বাড়ানো হয়। তবুও কাজ শেষ হয়নি। এতে দুর্ভোগে লক্ষাধিক মানুষ। ব্যাহত হচ্ছে দেশের সোনাহাট স্থলবন্দর থেকে পণ্য আনা-নেওয়ার কাজ।
ব্রিটিশ সরকার ১৮৭৯ সালে নর্দান বেঙ্গল রেলওয়ে ও আসামের সঙ্গে যোগাযোগ সুবিধা সম্প্রসারণের জন্য পাইকেরছড়া ও সোনাহাট ইউনিয়ন সীমান্তে দুধকুমার নদের ওপর সোনাহাট রেলসেতু নির্মাণ করে। ১৯৪৭ সালে পাকিস্তান-ভারত বিভক্তির পর সেতুটি দিয়ে রেল যাতায়াত বন্ধ হয়ে যায়। ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় হানাদার বাহিনী যাতে নদী পার হতে না পারে, সে জন্য সেতুর দুটি স্লিপার ডিনামাইট দিয়ে উড়িয়ে দেওয়া হয়। স্বাধীনতার পর সেখানে স্টিলের স্লিপার দিয়ে যাতায়াতের ব্যবস্থা করা হয়।
স্থলবন্দর চালু হলে সেতুটির গুরুত্ব বাড়ে। কিন্তু ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় ২০১৯ সালে পুরোনো সেতুর সামান্য দক্ষিণে দুধকুমার নদের ওপর ৬৪৫.

০১৫ মিটার দীর্ঘ নতুন সেতুর নির্মাণকাজ শুরু হয়। সড়ক ও জনপথ বিভাগের এ সেতুর কাজ করছে এম এম বিল্ডার্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ার্স লিমিটেড ও ন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট ইঞ্জিনিয়ার্স লিমিটেড। ১৩৬ কোটি ৩৩ লাখ টাকার এ সেতুর কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল ২০২১ সালে। ঠিকদারি প্রতিষ্ঠানের ৪ দফা আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে কাজের সময় ও প্রকল্প ব্যয় বাড়লেও  এখন পর্যন্ত অর্ধেক কাজ বাকি। ফলে পুরোনো ও জরাজীর্ণ রেলসেতু দিয়েই ঝুঁকি নিয়ে চলছে যানবাহন। ঝুঁকি এড়াতে সেতুর ওপর একসঙ্গে উভয়মুখী যান চলাচল বন্ধ রেখেছে কর্তৃপক্ষ। একমুখী ও ধীরগতির যাতায়াতের কারণে প্রতিদিন বিড়ম্বনায় পড়ছেন মানুষ ও যানবাহন।
সেতু পারের শফিকুল, শাহজাহান, ফরিদুলসহ অনেকেই বলেন, নড়বড়ে সেতুতে উঠলেই কাঁপতে থাকে। যাতায়াতের বিকল্প পথ না থাকায় ঝুঁকি নিয়েই এ সেতু দিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে।
সোনাহাট স্থলবন্দরের ব্যবসায়ী আবদুল খালেক, মিজানুর রহমান, নুর হোসেন ও জহুরুল ইসলাম বলেন, পুরোনো রেলসেতু দিয়ে পর্যাপ্ত মালপত্র পরিবহন করতে না পেরে ক্ষতির মুখে পড়ছি। গাড়ি লোড করে সময়মতো পার হওয়া যায় না। জানমালের ঝুঁকি নিয়ে চলতে হয়। এতে ব্যাহত হচ্ছে স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি করা পণ্য আনা-নেওয়ার কাজ। রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার। 
গাফিলতির অভিযোগ করেছেন কুড়িগ্রামের সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী নজরুল ইসলাম। তাঁর দাবি, প্রথম দিকে জমি অধিগ্রহণে জটিলতা, নকশা পরিবর্তন ও করোনাকালে স্থবিরতাসহ ঠিকাদারের কাজে ধীরগতির কারণে সেতু নির্মাণ শেষ করতে চারবার সময় বাড়ানো হয়েছে। প্রায় ৫৬ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। ২০২৬ সালের জুন মাসের মধ্যে জনসাধারণের জন্য সেতু খুলে দেওয়া হতে পারে বলে জানান এ কর্মকর্তা।
 

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: র ওপর

এছাড়াও পড়ুন:

টানা ৯ দিন আমদানি-রপ্তানি বন্ধ বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরে

পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ও সাপ্তাহিক ছুটিতে টানা নয়দিন আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকবে বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরে। তবে স্থলবন্দরের ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে বাংলাদেশ-ভারত ভ্রমণকারীদের যাতায়াত স্বাভাবিক থাকবে।

শুক্রবার বিকেলে বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরের আমদানি-রপ্তানিকারক গ্রুপের আহ্বায়ক রেজাউল করিম শাহীন ৯ দিন বন্ধের বিষয়টি নিশ্চিত করে সমকালকে বলেন, ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ভারত, নেপাল ও ভূটানের মধ্যে টানা ৯ দিনের জন্য আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। ঈদ উদযাপনের জন্য বন্দরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা নিজ এলাকায় চলে যাবেন। অন্যদিকে আমদানিকারকরা ঈদের ছুটি পাচ্ছেন, ফলে এই সময়ে কোনো পণ্য খালাস করা হবে না। আবার আগামী ৬ এপ্রিল বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরের আমদানি-রপ্তানিসহ সব ব্যবসা কার্যক্রম চালু করা হবে।

বাংলাবান্ধা  ইমিগ্রেশন চেকপোস্টের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক ফিরোজ কবীর জানান, ঈদের ছুটিতে বন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকলেও পাসপোর্টধারী যাত্রীদের যাতায়াত স্বাভাবিক থাকবে। এই সময়ে ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে বাংলাদেশ-ভারত ভ্রমণকারীদের যাতায়াত কার্যক্রম স্বাভাবিক থাকবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ১২ দিন বন্ধ থাকবে তামাবিল স্থলবন্দরসহ সিলেটে আমদানি-রপ্তানি
  • টানা ৯ দিন আমদানি-রপ্তানি বন্ধ বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরে
  • এনবিআরকে স্থলবন্দর দিয়ে সুতা আমদানি বন্ধের প্রস্তাব বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের
  • ঈদুল ফিতরে বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরে আমদানি-রপ্তানি টানা ৮ দিন বন্ধ থাকছে