ব্যবসায়ীর দোকান থেকে ককটেলসদৃশ বস্তু উদ্ধার
Published: 28th, February 2025 GMT
নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলায় নওহাটা বাজার এলাকার এক ব্যবসায়ীর দোকানের পাশ থেকে ককটেল-সদৃশ তিনটি বস্তু উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার পরিত্যক্ত অবস্থায় এগুলো উদ্ধার করে সেনাবাহিনীর একটি দল। নওগাঁ-রাজশাহী মহাসড়কের পাশে বাজারের দোকান থেকে এসব পাওয়া যায়।
সদর থানা থেকে জানা গেছে, নওহাটা বাজারে আব্দুল বাকিদ নামে এক ব্যবসায়ীর দোকানে ককটেল রয়েছে, এমন গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে সেনাবাহিনীর একটি দল শুক্রবার বিকেলে অভিযান চালায়। এ সময় লাল টেপ দিয়ে মোড়ানো অবস্থায় ককটেল-সদৃশ তিনটি বস্তু উদ্ধার করেন তারা।
ব্যবসায়ীর দোকান থেকে তিনটি চাকুও উদ্ধার করা হয়েছে। এসব সামগ্রী সদর থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছে সেনাবাহিনী।
নওগাঁ সদর থানার ওসি নূরে আলম সিদ্দিকী বলেন, সেনাবাহিনীর একটি দল নওহাঁটা বাজার এলাকা থেকে ককটেল-সদৃশ তিনটি বস্তু উদ্ধার করে থানায় জমা দিয়েছে। এগুলো ককটেল না অন্য কিছু, তা পরীক্ষার জন্য পুলিশের বোমা ডিসপোজাল ইউনিটকে ডাকা হয়েছে। বিস্ফোরক হলে নিষ্ক্রিয় করা হবে।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ককট ল ব যবস য় র দ ক ন ককট ল
এছাড়াও পড়ুন:
সাতক্ষীরায় বেড়িবাঁধ ভেঙে ৫ গ্রাম প্লাবিত
সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার খোলপেটুয়া নদীর বেড়িবাঁধ ভেঙে পাঁচটি গ্রামের বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়েছে। কয়েক শত মৎস্য ঘের পানিতে ভেসে গেছে।
হঠাৎ করে বেড়িবাঁধ ভেঙে নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাওয়ায় গ্রামবাসীর মধ্যে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। ঈদের আনন্দ গ্রামবাসীর নিরানন্দে পরিণত হয়েছে। গ্রামবাসী স্বেচ্ছাশ্রমে ভাঙন পয়েন্টে বিকল্প রিং বাঁধ নির্মাণের চেষ্টা করলেও তা ব্যর্থ হয়।
সোমবার (৩১ মার্চ) বেলা সাড়ে ৯টার দিকে আশাশুনি উপজেলার বিছট গ্রামের আব্দুর রহিম সরদারের ঘেরের বাসার কাছ থেকে প্রায় দেড়শত ফুট বেড়িবাঁধ হঠাৎ করে খোলপেটুয়া নদীরগর্ভে বিলীন হয়ে যায়।
আরো পড়ুন:
গঙ্গা পানি চুক্তি নবায়ন: ভারত যাচ্ছে বাংলাদেশের দল
সুনামগঞ্জে ফসল রক্ষা বাঁধ নির্মাণ ৪৫ ভাগ শেষ হয়নি
বিছট গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত স্কুল শিক্ষক নজরুল ইসলাম জানান, সকালে তারা ঈদের নামাজ আদায়ে ব্যস্ত ছিলেন। নামাজ শেষে জানতে পারেন, প্রায় দেড়শত ফুট বেড়িবাঁধ হঠাৎ করে খোলপেটুয়া নদীরগর্ভে ধসে পড়েছে। বিষয়টি গ্রামের মসজিদের মাইকে প্রচার করে দ্রুত লোকজনকে ভাঙন পয়েন্টে যেতে বলা হয়। গ্রামবাসী স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে ভাঙন পয়েন্টে একটি বিকল্প রিং বাঁধ নির্মাণের চেষ্টা করে। দীর্ঘ সাড়ে তিন ঘণ্টা চেষ্টা করেও শেষ রক্ষা হয়নি। সাড়ে ১১টার দিকে প্রবল জোয়ারের তোড়ে বাধের অবশিষ্টাংশ ভেঙে গিয়ে লোকালয়ে পানি ঢুকতে শুরু করে।
স্থানীয়রা জানান, ইতোমধ্যে বিছট, বল্লবপুর, নয়াখালী, আনুলিয়াসহ আশপাশের কয়েকটি গ্রামে পানি ঢুকেছে। শত শত মৎস্য খামার ভেসে গেছে। দ্রুততম সময়ে বাঁধ বাধতে না পারলে পার্শ্ববর্তী খাজরা ও বড়দল ইউনিয়নও প্লাবিত হতে পারে।
স্থানীয় আনুলিয়া ইউপি চেয়ারম্যান রুহুল কুদ্দুস বলেন, বিছট গ্রামে বেড়িবাঁধ ভাঙনের খবর পেয়ে তিনি ঘটনাস্থলে যান। বেড়িবাঁধের প্রায় দেড়শত ফুট নদীর গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। বিষয়টি আশাশুনি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সাতক্ষীরা পানি উন্নয়ন বোর্ড বিভাগ-১ এর নির্বাহী প্রকৌশলীকে হয়েছে। পাউবোর লোকজন ঈদের ছুটিতে। তারা ফেরার চেষ্টা করছেন।
সাতক্ষীরা পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবে) বিভাগ-১ এর নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সাখাওয়াত হোসেন জানান, বেড়িবাঁধে ভাঙনের খবর পেয়ে কর্মকর্তাদের সেখানে পাঠানো হয়েছে। দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকেও জানানো হয়েছে।
ঢাকা/শাহীন/বকুল